ELECTION PLANE CHOPPER

ঘন্টায় ভাড়া ৫ লক্ষ, তবু আকাশযানের চাহিদা চড়া ভোটপ্রচারে

জাতীয় লোকসভা ২০২৪

চাহিদা বাড়ছে হেলিকপ্টারের। চাহিদা বাড়ছে ব্যক্তিগত ব্যবহারের জেট বিমানেরও। চাহিদা বাড়ছে কারণ লোকসভা নির্বাচনের প্রচারের গতিও বাড়ছে।
সাতটি দফায় ভোট ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। পশ্চিমবঙ্গে ভোট হচ্ছে সাত দফাতেই। তবে রাজ্যে রাজ্যে ভোট নেওয়ার প্রক্রিয়ায় ফারাক রয়েছে। যেমন হিমাচল প্রদেশে রাজ্যের চারটি আসনের জন্য ভোট নেওয়া হবে এক দফাতেই। আবার জম্মু ও কাশ্মীরে পাঁচটি আসনের জন্য ভোট নেওবা হবে পাঁচ দফাতেই।
অসামরিক বিমান পরিবহণ শিল্পমহলের অনুমান, অন্য সময়ের তুলনায় ১৫ থেকে ২০ শতাংশ অন্তত বাড়তি আয় হবে নির্বাচনে। 
কিন্তু জেট বিমানে বা হেলিকপ্টারে খরচ কত?
বিমান নিলে তার ভাড়া প্রতি ঘন্টায় সাড়ে ৪ লক্ষ থেকে সোয়া ৫ লক্ষ টাকা। দুই ইঞ্জিনের হেলিকপ্টারের ভাড়া ঘন্টায় দেড় লক্ষ থেকে ১ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা। তবে ভোটের সময়ে এই ধরনের হেলিকপ্টারের ভাড়াই পৌরছাচ্ছে ঘন্টায় সাড়ে ৩ লক্ষে। 
স্বাভাবিক সময় তো বটেই, গত বারের লোকসভা ভোটের তুলনাতেও চাহিদা এবার বেশি বলে জানাচ্ছে শিল্প বিশেষজ্ঞরা। তবে বিমান এবং হেলিকপ্টার, যেগুলি বেশি ভাড়া নেওয়া হয়, এবার তার জোগান কিছু কম। 
রোটারি উইং সোসাইটি অব ইন্ডিয়ার পশ্চিমাঞ্চলের সভাপতি ক্যাপ্টেন উদয় গেলি সংবাদসংস্থাকে জানিয়েছেন যে হেলিকপ্টারের চাহিদা ২৫ শতাংশ বেশি। স্বাভাবিক সময়কে বিচারে রেখে তুলনা করেছেন তিনি। সাধারণভাবে প্রার্থীরা হেলিকপ্টার ভাড়া নিচ্ছেন। আর নির্বাচন কমিশনকে দেওবা তালিকায় ‘তারকা প্রচারকরা’ বিমান ভাড়া নিচ্ছেন।
নির্বাচনী খরচে রাশ টানার দাবি উঠলেও বাস্তবে দেখা যায় বিপুল খরচের দৃশ্য। নরেন্দ্র মোদীকে প্রধানমন্ত্রীর মুখ ঘোষণা করে ২০১৪’র নির্বাচন লড়ে বিজেপি। তখন থেকেই দেখা গিয়েছে বিজেপি’র প্রচারে বিপুল টাকার ব্যবহার। প্রার্থী এবং ‘তারকা প্রচারক’-দের খরচে নির্বাচন কমিশন নজরদারি চালাতে পারে। কিন্তু রাজনৈতিক দলের নামে খরচ হলে নিয়ন্ত্রণ করার ব্যবস্থা নেই। যে কারণে নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় সংস্কারের দাবি জোরালো হয়েছে।
বিজনেট এয়ারক্র্যাফট অপারেটরস অ্যসোসিয়েশনের ম্যানেজিং ডিরেক্টর আরকে বালি আবার সংবাদসংস্থাকে জানাচ্ছেন যে চার্টার্ড বিমানের চাহিদা ৩০-৪০ শতাংশ বেড়েছে নির্বাচনের মরশুমে। 
নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে টাকার প্রায় অর্ধেক বিজেপি’র ভাণ্ডারে গিয়েছে। তৃণমূল এক রাজ্যে সরকার চালিয়েই বন্ডের টাকা রোজগারে দ্বিতীয়। বামপন্থীরা সরব রাজনীতি এবং নির্বাচনে বিপুল অর্থশক্তির ব্যবহারের বিরুদ্ধে। অর্থশক্তির দাপট কতটা, বোঝা যাচ্ছে বিমান এবং কপ্টার ভাড়ার তথ্যেই।

Comments :0

Login to leave a comment