মিজোরামের নাহথিয়াল জেলায় পাথর খাদানে ধসে নিহতদের মধ্যে ৫ জনই পশ্চিমবঙ্গ থেকে আসা পরিযায়ী শ্রমিক। এই দুর্ঘটনায় নিহতদের নামের একটি তালিকা মঙ্গলবার দুপুরে প্রকাশ করেছেন জেলাশাসক আর লালরেমসাঙ্গা। সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে অনুযায়ী, ধসে ১২ জন শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। এরমধ্যে মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত আটজনের দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বাকি চারজনের দেহ উদ্ধারের কাজ চলছে।
সোমবার ঘটনার দিন বিভিন্ন সূত্র থেকে বলা হয়েছিল নিহতরা সকলেই বিহারের বাসিন্দা। মঙ্গলবার সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে নিহতদের কেউ বিহারের নন। গতকাল নিহতের সংখ্যা পনেরো জানানো হলেও এদিন তা শুধরে নিয়ে বারোজনের মৃত্যুর কথা জানানো হয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গের পাঁচ জন ছাড়াও মৃতদের মধ্যে রয়েছেন আসামের তিন, ঝাড়খণ্ডের দুই ও মিজোরামের দুই শ্রমিক। পশ্চিমবঙ্গের নিহতরা হলেন নদীয়া জেলার পিঁপড়াগাছির মদন দাস (২৪), একই জেলার তেহট্ট কালীতলা পাড়ার রাকেশ বিশ্বাস (২১), মিন্টু মণ্ডল (২২), বুদ্ধদেব মণ্ডল (২৫) এবং উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার ধলখালি খুলনা এলাকার সুব্রত রাপ্তান (২৪)। আসামের মৃতরা পরিযায়ীরা হলেন কাছাড় জেলার কাটিগড়ার ফুলবাড়ি এলাকার সুরজিৎ রায় (২৬), গোয়ালপাড়া জেলার জলেশ্বর এলাকার শফিকুল ইসলাম(২৬), বরপেটা জেলার সত্রকানারা এলাকার জহিদুল ইসলাম(২৭)। ঝাড়খণ্ডের নিহতরা হলেন ছত্র জেলার মনমত এলাকার খেমলাল কুমার (২২) ও একই এলাকার ওমপ্রকাশ কুমার (১৮)। এছাড়া নিহত অজয় চাকমা (২৫) ও কাহামরাই (৪৯)-র বাড়ি মিজোরামের লুংলেই জেলায়।
সরকারি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, নিহতদের মধ্যে চারজন নির্মাণ সংস্থা এবিসিআই’র নিযুক্ত শ্রমিক। বাকি আটজন পাথর খাদানের ঠিকাদার নিযুক্ত শ্রমিক। পাথর খাদানে দুর্ঘটনা নিয়ে বিরোধী কংগ্রেস সরকারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছে। বেআইনি খাদানে পাথর খননের ফলে এত বড় দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ করেছে কংগ্রেস।
Comments :0