PRC HEALTH RAYGANJ

গড়তে হবে চিকিৎসার বিকল্প ব্যবস্থাপনা, রায়গঞ্জে হালিম

জেলা

PRC HEALTH RAYGANJ

বিশ্বনাথ সিন্‌হা: রায়গঞ্জ

মানুষের স্বাস্থ্য ও চিকিৎসার অধিকার খর্ব হচ্ছে। চিকিৎসা ব্যবস্থা বহুজাতিক সংস্থার হাত ধরে বেসরকারি করণের দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। ওষধের দাম নাগালের বাইরে। ছোট ছোট নার্সিং হোমগুলো মুখ থুবড়ে পরছে। দিন যতই যাচ্ছে স্বাস্থ্য পরিষেবাতে বাজেট বরাদ্দ বাস্তবে কমছে। বিকল্প চিকিৎসা ব্যবস্থাপনার পরিকল্পনা গড়ে তুলতেই হবে। 

রবিবার রায়গঞ্জে স্বাস্থ্য ও চিকিৎসার অধিকার বিষয়ক কর্মশালায় এই আহ্বান জানিয়েছেন পিপলস রিলিফ কমিটির সাধারণ সম্পাদক চিকিৎসক ফুয়াদ হালিম। পিপলস রিলিফ কমিটি (পিআরসি)র ৮০ বছর পালনে কর্মশালা হয় রায়গঞ্জে। স্বাস্থ্য নীতি, ওষুধ নীতি, স্বাস্থ্যের অধিকার নিয়ে মুখ্যত আলোচনা হয়েছে। কর্মশালা থেকে বোঝাপড়া তৈরি করে স্বাস্থ্য আন্দোলনকে জেলার সর্বত্র পৌঁছে দেওয়ার জন্যই এই উদ্যোগ। এই আলোচনা সভার উদ্যোক্তা পিআরসি’র সঙ্গে পশ্চিম বঙ্গ বিঙ্গান মঞ্চ, হেলথ সার্ভিস ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন এবং মেডিক্যাল অ্যান্ড সেলস রিপ্রেজেনটেটিভস ইউনিয়ন। 

হালিম বলেছেন, প্রতি বছর প্রাতিষ্ঠানিক প্রসব কমছে। পুষ্টির অভাবে বহু গর্ভবর্তী মায়েদের মৃত্যুর ঘটনাও ঘটছে। তিনি বিশ্ব অর্থনীতি থেকে দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার বিভিন্ন সূচক ব্যাখ্যা করেন কর্মশালাতে। 

রায়গঞ্জের শীলা ভবনে রবিবার সভায় সভাপতিত্বে করেন ডা. ধীমান পাল। ছিলেন অঞ্জন মজুমদার, নির্মাল্য দাস। স্বাস্থ্যের অধিকার, স্বাস্থ্যের রাজনীতি ও অর্থনীতি এবং ওষুধের দাম বিষয়ক কর্মশালায় প্রধান বক্তা পিআরসির সাধারণ সম্পাদক ডা. ফুয়াদ হালিম।

অনুষ্ঠানে জেলার বিশিষ্ট সমাজ কর্মী কৃষ্ণা সেনগুপ্ত পিআরসির তহবিলে ১ লক্ষ টাকা দান করে। তিনি ডা. ফুয়াদ হালিমের হাতে অর্থ তুলে দেন। কৃষ্ণা সেনগুপ্ত বলেন, আপদে বিপদে করোনাকালে রাজ্যজুড়ে সামান্য খরচে যে ভাবে মানুষের স্বার্থে নিরলস কাজ করেছে পিআরসি, তাকে সম্মান জানিয়েই তাঁর বোন প্রয়াত স্বপ্না সেনগুপ্তের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এই টাকা দান করা হচ্ছে।

এদিন সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে পিআরসির সাধারণ সম্পাদক ডা. ফুয়াদ হালিম বলেন, স্বাস্থ্যসাথী কার্ড চালুর সময় যে ঘোষণা ছিল তা থেকে অনেক সুবিধা সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। হার্নিয়া অপারেশন, কেমো থেরাপি বিভিন্ন হাসপাতালের পরষেবার তালিকা থেকে বাদ দিয়েছে রাজ্য সরকার। 

তিনি জানান যে পশ্চিমবঙ্গের প্রায় সমস্ত জেলায় পিআরসি কাজ করে চলেছে, উত্তর দিনাজপুরে জেলায় বহু কাজ আমরা করেছি। কাজের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে প্রয়োজন হলে রায়গঞ্জে পিআরসির ক্লিনিক খোলা হতে পারে।

হালিম বলেন, রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার হাল উদ্বেগজনক। লকডাউনে করোনা রোগে কত মানুষের মৃত্যু হয়েছে, কত মানুষের ডেঙ্গু হয়েছে তা জানার উপায় নেই। ২০১৫-২০১৬ সালের পর থেকে স্বাস্থ্য দপ্তরে ওয়েবসাইটে বিভিন্ন তথ্যের প্রকাশ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। দেশেরও স্বাস্থ্য ব্যবস্থা রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা তলানিতে। 

Comments :0

Login to leave a comment