টাকার বিনিময়ে ভোট, ভোটারদের টাকা বিলি। ভোটারদের টাকা দিয়ে পা ধরে প্রণাম তৃণমূল প্রার্থীর। ঘটনা ধূপগুড়ির।
নির্বাচনী আচরণ বিধিকে না মেনে প্রকাশ্য দিবালোকে গ্রামে ভোট প্রচার করতে এসে টাকা বিলি করলেন শাসকদলের জেলা পরিষদ আসনের প্রার্থী দিনেশ মজুমদার। সেই ভিডিও এখন ভাইরাল। তবুও ভীত নন টাকা বিলি করা প্রার্থী ও তাঁর দলের নেতা কর্মীদের। এই ঘটনা নিয়ে তুমুল আলোড়ন ধূপগুড়ি জেলাজুড়ে। শনিবার সকালে ধূপগুড়ি পঞ্চায়েত সমিতির বিদায়ী সভাপতি দিনেশ মজুমদার এবারের নির্বাচনে ধূপগুড়ি ব্লকে জলপাইগুড়ি জেলাপরিষদের ৬ নম্বর আসনের তৃণমূলের প্রার্থী। এদিন সকালে সাকোয়াঝোরা দুই নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের সোনাখালি এলাকায় আসেন ভোট প্রচারে।
প্রথমে তিনি একটা মাজারে গিয়ে চাদর চড়ান। তারপর প্রচার শুরু করেন। ভিডিও তে দেখা যাচ্ছে প্রার্থী নিজে হাতে পকেট থেকে টাকা বের করছেন এবং ভোটারদের মধ্যে বিলি করছেন। এখানেই শেষ নয়। আরও দেখা যাচ্ছে টাকা বিলির সাথে সাথে তিনি ভোটারদের পায়ে হাত দিয়ে প্রণামও করছেন। এই ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পরতেই তুমুল সমালোচনার ঝর ওঠে। মানুষ বলতে থাকেন উনি সভাপতি থাকাকালীন কত টাকা চুরি করে আয় করেছেন যে এভাবে টাকা বিলি করছেন। অনেকে বলেন, বালি কয়লা গরু পাচারের টাকা রাজ্যব্যাপী পঞ্চায়েত নির্বাচনে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। অনেকেই বলছেন ধূপগুড়ি পঞ্চায়েত সমিতির এলাকায় বেশ কয়েকটি বালি পাথরের নদীর খাদান আছে যার সবগুলি শাসক দলের তত্বাবধানে পরিচালিত হয় সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে। এদিনের টাকা বিলি নিয়ে প্রার্থী এবং দলের জেলা সম্পাদক রাজেশ সিং সাংবাদিকদের বলেন, ভোটারদের টাকা বিলির খবর ভিত্তিহীন। প্রার্থী দলের কর্মীদের চা খাওয়া এবং পতাকা কেনার টাকা দিয়েছেন। প্রার্থী দীনেশচন্দ্র মজুমদার বলেন, পতাকা কেনার জন্য দুজনকে টাকা দিয়েছি। প্রচারে বের হয়ে একজন প্রার্থী এভাবে কোনো কিছুর জন্য টাকা বিলি করতে পাতেননা যা নির্বাচনের আচরণ বিরুদ্ধ।
সেই সাথে ভোটারদের পায়ে পড়ে গিয়ে প্রণাম করে ভোটারদের প্রভাবিত করাটাও বে আইনি। এবিষয়ে শাসক দলের নেতা এবং প্রার্থী মন্তব্য এড়িয়ে যান। আরও জানা গেছে এই সাকোয়াঝোরা দুই নং গ্রামপঞ্চায়েতের ২১২ নম্বর বুথের তৃণমূল প্রার্থী শ্যামল রায় তিনিও নিজের বুথের অনেক ভোটারকে টাকা বিলি করেছেন। এই ঘটনা প্রসঙ্গে পঞ্চায়েত সমিতির সিপিআই(এম) প্রার্থী পার্টির জেলা কমিটির সদস্য মুকুলেশ রায় বলেন, তৃণমূল দল আইন মানেনা, নীতি নৈতিকতার ধার ধারে না, এটা সবাই জানে। ওরা পেশিশক্তি এবং অর্থ শক্তির সাহায্য নিয়ে ভোটে জিততে চায়। এই দলের নিচু তলা থেকে ওপর তলা সবাই চুরি দূর্নীতির সাথে যুক্ত। আমরা নির্বাচন কমিশনকে বলব দ্রুত তদন্ত করে আইন মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করুক।
Comments :0