Raniganj Picnic Pollution

পিকনিকের নামে মাইক-আবর্জনা, ছড়ালো দূষণ, প্রশাসন নির্বিকার

জেলা

নদীর ধারে পিকনিক স্পটে আবর্জনা। প্রশাসন নির্বিকার।

মলয়কান্তি মণ্ডল▫️ রানিগঞ্জ

ইংরেজি বছর স্বাগত জানাতে রাত থেকেই তারস্বরে ডিজে বাজিয়ে চলল উদ্দাম নাচ। বছরশেষে নদী-জলাশয়ের ধারে পিকনিকের আয়োজন করে প্লাস্টিক-থার্মোকলের থালা-বাটি-গ্লাস ছড়িয়ে ফিরে যাওয়ায় পরিবেশেও মারাত্মক দূষণ ছড়িয়েছে বলে জেলার পরিবেশকর্মীদের অভিযোগ। শীতের মরসুমে বেশির ভাগ পিকনিক স্পটের এটাই চেনা ছবি। 
পুরো শীতকালে জেলায় পিকনিক স্পটগুলিতে চড়ুইভাতির আসর জমে ওঠে। দামোদর, অজয় সহ বিভিন্ন নদী ও জলাশয়ের  ধারে আগুন জ্বালিয়ে চলে রান্না-খাওয়া। সঙ্গে চলে ডিজে বাজিয়ে নাচ ও গান। পরিবেশকর্মীদের অভিযোগ, প্রশাসন হাত গুটিয়ে থাকায় লাগামহীম ভাবে দূষণ ছড়ায়। পরিযায়ী পাখির সংখ্যাও দিন দিন কমে যাচ্ছে। পিকনিক স্পট থেকে পার্কগুলি ভর্তি হয়ে যায় পর্যটক এবং পিকনিক দলের ভিড়ে। সেই  সমস্ত জায়গায় ঘুরে দেখা গিয়েছে, প্লাস্টিকের ক্যারিব্যাগ বা গ্লাস, কাপ অথবা থার্মোকলের থালা-বাটির অবাধ ব্যবহার চলছে। এ নিয়ে আদৌ সচেতনতা গড়ে ওঠেনি। বহু ক্ষেত্রেই ব্যবহারের পরে ওই সব প্লাস্টিক বা থার্মোকলের সামগ্রী ফেলা হয় নদীর ধারে। সেগুলো নদীর জলেও পড়ে। এর ফলে নদী দূষিত হয়।ফলে  জলজ বাস্তুতন্ত্রে প্রভাব পড়ে। শুধু তাই নয়,   ম্যাটাডর বা অন্য গাড়িতে করে অত্যন্ত জোরে ডিজে বক্স বাজিয়ে রাস্তা দিয়ে যায় পিকনিকের দল। ডিজে বাজানোর ব্যাপারে আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকলেও তা কেউই মানে না। প্রশাসন নির্বিকার। 
প্রত্যেকটি পিকনিক স্পটকে প্লাস্টিক, থার্মোকল এবং ডিজে বক্স বর্জিত এলাকা বলে ঘোষণা করারও দাবি জানিয়েছেন পরিবেশকর্মীরা। প্রশাসনের পক্ষ থেকে সচেতনতার প্রচার চালানো হচ্ছে বলে দাবি করা হলেও তা যে আসলে ফাঁকা আওয়াজ। বছরের শুরু দিনে মাত্রাতিরিক্ত শব্দ ও পরিবেশ দূষণে তা ফের স্পষ্ট হয়েছে।

Comments :0

Login to leave a comment