RSS MAMATA

‘গীতার জন্মদিন’ পালনে সঙ্ঘ চাইছে মোদীর পাশে মমতাকে

রাজ্য

গীতা পাঠের অনুষ্ঠানে নরেন্দ্র মোদী এবং মমতা ব্যানার্জিকে এক মঞ্চে পাশাপাশি বসাতে চাইছে সঙ্ঘ পরিবার। ব্রিগেডে গীতা পাঠের আয়োজন করা হয়েছে আগামী ২৪ ডিসেম্বর। তার আগে নয়াদিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী-মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠক হয়ে যাবে। আরএসএস’র মদতপুষ্ট গীতা পাঠের আয়োজনকারীদের অনুমান, সেই বৈঠকের উপরেই নির্ভর করছে ব্রিগেডে মোদী-মমতা ব্যানার্জির পাশাপাশি বসার সম্ভাবনা। তবে আমন্ত্রণ জানালেও রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু আসছেন না।
সনাতন সংস্কৃতি পরিষদ, মতিলাল ভারত তীর্থ সেবা মিশন আশ্রম এবং অখিল ভারতীয় সংস্কৃতি পরিষদ এই গীতা পাঠের উদ্যোক্তা। বৃহস্পতিবার কলকাতা প্রেস ক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলনে আয়োজকদের পক্ষ থেকে নির্গুণানন্দ ব্রহ্মচারী জানান, ‘‘আগামী ২৩ ডিসেম্বর গীতার জন্মজয়ন্তী। গত বছর রাজ্যে প্রথমবার গীতার জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে গীতা পাঠের আয়োজন করা হয়েছিল মায়াপুরে। সেখানে ৬৫০০ জন সমবেত হয়েছিলেন। এবার আমরা ব্রিগেডে গীতা পাঠের উদ্যোগ নিয়েছি। আমাদের লক্ষ্য লক্ষ কন্ঠে গীতা পাঠ।’’
কেন এখন, কেন রামমন্দির উদ্বোধনের এক মাস আগে পশ্চিমবঙ্গে ‘গীতার জন্মদিন’ পালনের উদ্যোগ? এর কোনও সরাসরি উত্তর রিষড়ার প্রেম মন্দিরের সচিব নির্গুণানন্দ ব্রহ্মচারী দেননি। তিনি বলেছেন, ‘‘দেশে অনেকদিন থেকেই এই দিনটি পালন করা হয়।’’ তবে ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের ট্রাস্টি স্বামী প্রদীপ্তানন্দ বলেছেন, ‘‘দেশে একটি ধারণা আছে যে, বাংলায় এই ধরনের সংস্কৃতি নেই, হয় না। তাই এই উদ্যোগ।’’ তাহলে বাংলায় কোন ধরনের ‘সংস্কৃতি’ আছে বলে প্রচার? তার উত্তর দেননি কেউই।
নির্গুণানন্দ দাবি করেছেন, রাজ্যের সর্বত্র আগামী ২৪ ডিসেম্বরের গীতাপাঠ নিয়ে প্রচার হয়েছে। এই অনুষ্ঠান আয়োজনের টাকা কারা দিয়েছেন? এই প্রশ্নের উত্তরে প্রদীপ্তানন্দ বলেছেন, ‘‘ধনাঢ্য ব্যক্তিরা দিয়েছেন অনেকে। বিভিন্ন সংগঠন, যারা স্পনসর করেছে, তারাও টাকা দিয়েছে।’’ প্রসঙ্গত, ১৯৪৫-৫২’র সময়কালের মতোই বাংলায় বিভিন্ন সময়ে হিন্দুত্ববাদী শক্তিগুলিকে টাকা দিয়ে বলীয়ান করার চেষ্টা করেছেন ‘ধনাঢ্য’ ব্যক্তিরা।
নির্গুণানন্দ জানিয়েছেন, রাজ্যের সব বিধায়ককে তাঁরা গীতা পাঠের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানাচ্ছেন। সাংসদ, মন্ত্রীদেরও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। অনেকেই আসবেন বলে কথা দিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রীকে ইতিমধ্যেই আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। তাঁর সঙ্গে দেখা করার সময় চাওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী দেখা করেছেন এবং নিজেই আসতে চেয়েছেন। অনুষ্ঠানে কুরুক্ষেত্র থেকে মাটি আনা হবে। মাটি আনা হবে রাজ্যের ১০০০টি আশ্রম ও মঠ থেকে। উত্তরবঙ্গ থেকে ৬০০০ লোক আসবেন বলে তাঁদের ধারণা। অনুষ্ঠানের শুরুতে কাজী নজরুল ইসলামের ‘হে পার্থসারথী...’ গানটি গাওয়া হবে। ২টি মঞ্চ হবে। তার একটি হবে প্রধান মঞ্চ। ১৫০০ সাধু আসবেন। অনুষ্ঠানে ধুতি, শাড়ি পড়ে আসতে হবে। গীতা পাঠের এই অনুষ্ঠানের আগে চন্ডীপাঠের উদ্যোগ নিয়েছেন তৃণমূল নেতারা। নির্গুণানন্দ জানিয়েছেন যে, তাঁরাও চন্ডীপাঠে যোগ দেবেন।

Comments :0

Login to leave a comment