সংসদীয় গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা থাকবে তো? নির্বাচিত বিধানসভায় পাস বিল তা’হলে রাজ্যপাল আটকে রাখবেন কেন?
পাঞ্জাব এবং তামিলনাডুর রাজ্যপালদের উদ্দেশ্যে এই মর্মে কড়া বার্তা পাঠালো সুপ্রিম কোর্ট। দেশের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ বলল, ‘‘নির্বাচিত বিধানসভায় পাস বিলের গতি রোধ করবেন না। বিষয়টি অত্যন্ত উদ্বেগজনক।’’
বিরোধী শাসিত সরকার হলে কেন্দ্র নিযুক্ত রাজ্যপালরা আটকে রাখছেন বিধানসভায় পাশ হওয়া বিল। ফলে সরকার যে বিল পাশ করাচ্ছে বিধানসভায় তা আর আইনে পরিণত করা যাচ্ছে না। বিধানসভায় বিল পাশ হওয়ার পর তা আইনে পরিণত হওয়ার জন্য রাজ্যপালের সই প্রয়োজন। সেই সুযোগেই কেন্দ্রের বিজেপি সরকার নিযুক্ত রাজ্যপালরা বিল আটকে রাখছেন।
রাজ্যপালদের আচরণ এবং মনোভাবে দেশের যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর গুরুতর ক্ষতি হচ্ছে, বারবারই এই অভিযোগ তুলেছেন বিরোধীরা।
তামিলনাডুতে সরকার পরিচালনা করছে ডিএমকে, পাঞ্জাবে আম আদমি পার্টি বা ‘আপ’। একাধিক বিল আটকে রাখায় রাজ্যপালদের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করে দুই সরকারই। শুক্রবার ছিল মামলার শুনানি।
প্রধান বিচারপতিদের বেঞ্চ বলেছে, ‘‘পাঞ্জাবে যা হচ্ছে তা মোটেই কাঙ্ক্ষিত নয়। আমরা কী সংসদীয় গণতন্ত্রের পথে থাকব?’’ বিচারপতিরা মনে করিয়েছেন যে ভারত দীর্ঘদিনের সংসদীয় রীতি এবং পরম্পরা মেনে চলে। তার সঙ্গে গণতন্ত্র জড়িত। এই পরম্পরা বাতিল করা বিপজ্জনক হবে।
পাঞ্জাব সরকার শীর্ষ আদালতে বলেছে, রাজ্যপাল বানোয়ারিলাল পুরোহিত সংবিধান অগ্রাহ্য করে নিষ্ক্রিয় থাকছেন। প্রশাসনিক কাজ থমকে যাচ্ছে। রাজ্যপাল অন্তত সাতটি বিল আটকে রেখেছেন। তার মধ্যে আর্থিক পরিচালনা এবং শিক্ষা সংক্রান্ত বিলও রয়েছে।
আদালত কেন্দ্রের সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতাকে নির্দেশ দিয়েছে যে বিলে সই করার অনুরোধ পাওয়ার পর পাঞ্জাবের রাজ্যপাল ঠিক কী কী পদক্ষেপ নিয়েছেন নির্দিষ্ট করে জানাতে হবে।
তামিলনাডুতেও রাজ্যপাল এন রবির বিরুদ্ধে এমনই অসহযোগিতার অভিযোগে সরব হয়েছে ডিএমকে সরকার। আবেদন জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্টে।
Comments :0