গোটা রাজ্যজুড়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনে, তৃনমূলের লাগামহীন সন্ত্রাসের ছবি সামনে এসেছে। নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়ে রীতিমতো ক্ষুব্ধ সিপিআই(এম) রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। কেন্দ্রীয় বাহিনীকেও সঠিকভাবে ব্যবহার করা হয়নি। তার মধ্যে দাঁড়িয়েও, কালিকাপুর-১ এবং ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতে জানকবুল লড়াই করলেন সিপিআই(এম) কর্মী এবং সমর্থকরা।
এই অঞ্চলের ২৫৫ নম্বর বুথের দুজন প্রার্থী হলেন আলতাফ বৈদ্য এবং মমতাজ মন্ডল। কুশবেরিয়া বুথে গ্রামসভার প্রার্থী রমজান সর্দার। জেলা পরিষদের প্রার্থী পরিতোষ কুমার মন্ডল এবং পঞ্চায়েত সমিতির প্রার্থী লেখা মন্ডল।
নির্বাচনের দিন সকাল থেকেই, লড়াইয়ের মেজাজে ছিলেন বাম কর্মী এবং সমর্থকরা। হুমকি ও প্রলোভন উপেক্ষা করে, সকাল থেকেই বুথ ক্যাম্পগুলিতে ছাত্র, যুব এবং মহিলা কর্মীদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। গত ২০১৮ সালে যে পরিস্থিতি ছিল, তার থেকে এইবছরের চিত্র সম্পূর্ণ আলাদা। শুধু তাই নয়, যাঁরা তৃণমূলের বিকল্প হিসেবে বিজেপিকে বেছে নিয়েছিলেন তাঁরাও আবার লাল ঝান্ডার আশ্রয়েই ফিরে এসেছেন। সেইসঙ্গে, তৃণমূলের অন্দরেও ভাঙন শুরু হয়েছে।
গোটা ভোটপর্বে, কোনওভাবেই ছাপ্পা ভোট পড়তে দেননি এই অঞ্চলের সিপিআই(এম) কর্মী এবং পোলিং এজেন্টরা। সাহসিকতার সঙ্গেই বুথ আগলেছেন এবং মানুষকে সঙ্গে নিয়েই প্রতিরোধ গড়তে সক্ষম হয়েছেন। যত বেলা গড়িয়েছে, ভোটারদের লাইন ততই বেড়েছে। অনেক রাত পর্যন্ত ভোটগ্রহণ পর্ব চলেছে।
ভোট শেষ হওয়ার পর, বাম কর্মীরা ব্যালট বাক্সগুলিকে পাহারা দিয়ে নিয়ে যান স্ট্রংরুম পর্যন্ত। সেইখানেও উপস্থিত ছিলেন সিপিআই(এম) কর্মী এবং সমর্থকরা। রক্তপাতহীন নির্বাচন দেখল কালিকাপুর। অন্যদিকে, এই দুটি গ্রাম পঞ্চায়েতে ২০১৩ সালে জয় পেয়েছিল বামেরা। মাঝে ২০১৮ সালে পরাজিত হলেও, এবার তাঁরা আশাবাদী জয়ের বিষয়ে।
গোটা রাজ্যের মতো এখানেও, মানুষকে সঙ্গে নিয়েই লড়াই করলেন সিপিআই(এম) কর্মী এবং সমর্থকরা।
Comments :0