আদালতের নজরদারিতে নির্বাচনী বন্ড সংক্রান্ত তদন্তের আবেদন জমা পড়েছিল আগেই। শুক্রবার সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে এই জনস্বার্থ মামলার শুনানি ২২ জুলাই হবে।
নির্বাচনী বন্ড প্রকল্প বাতিল করেছে সুপ্রিম কোর্ট। স্টেট ব্যাঙ্কের নানা গড়িমসি সত্ত্বেও কে কাকে কত টাকা দিয়েছে তার বড় অংশই প্রকাশও হয়ে গিয়েছে। দেখা গিয়েছে বন্ডের মাধ্যমে নির্বাচনী তহবিলে অর্থের বিনিময়ে বরাত মিলেছে বিভিন্ন বাণিজ্যিক সংস্থার। এই প্রকল্পে সবচেয়ে বেশি লাভবান হয়েছে বিজেপি।
এদিন সুপ্রিম কোর্টে দু’টি এনজিও ‘কমন কজ’ এবং ‘সেন্টার ফর পাবলিক ইন্টারেস্ট লিটিগেশন’-র তরফে তদন্তে আর্জি জানান আইনজীবী প্রশান্ত ভূষন। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, জেবি পারদিওয়ালা এবং মনোজ মিশ্রের বেঞ্চ জানায় এই মামলার সঙ্গে নির্বাচনী বন্ড প্রকল্পে তদন্ত সংক্রান্ত সব মামলারই শুনানি হবে ২২ জুলাই।
ভূষণের আবেদনে বলা হয়েছে, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, বাণিজ্যিক সংস্থা এবং তদন্ত সংস্থার মধ্যে অর্থের বিনিময়ে বোঝাপড়া হয়েছে এই প্রকল্পে। উল্লেখ্য, ডিয়ার লটারির পরিচালক সংস্থার মতো একাধিক ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে নির্বাচনী বন্ডে টাকা দেোয়ার পর থেমে গিয়েছে কেন্দ্রীয় সংস্থার তদন্ত। ডিয়ার লটারি যদিও নির্বাচনী বন্ডে সবচেয়ে বেশি অর্থ দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসকে।
আবেদনে আরও বলা হয়েছে, বিশেষ সুবিধার বিনিময়ে যে অর্থ দেওয়া হয়েছে, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলির থেকে তা বাজেয়াপ্ত করা হোক। কারা কোন দলকে বন্ডে টাকা দিয়ে বিশেষ সুবিধা পেয়েছে তা তদন্ত করা হোক। তদন্তে নজরদারি করুক শীর্ষ আদালত।
নির্বাচনী বন্ড প্রকল্পে গোড়া থেকে আপত্তি জানিয়ে গিয়েছে সিপিআই(এম) এবং বামপন্থীরা। সংসদের মধ্যে সংশ্লিষ্ট আইন পাশের সময় সিপিআই(এম) যে যে আশঙ্কা জানিয়েছিল বাস্তবে তা মিলেও গিয়েছে। নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে কোনও অনুদান সিপিআই(এম) গ্রহণ করেনি। সুপ্রিম কোর্টে মামলাও দায়ের করা হয়। পার্টির পক্ষে আবেদনকারী ছিলেন সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি। এই প্রকল্প বাতিলের দাবিতে সরব অন্য গোষ্ঠীগুলির পাশাপাশি একমাত্র সিপিআই(এম)-কে এই মামলায় অংশীদার করে সুপ্রিম কোর্ট।
আবেদনে বলা হয়েছে, ‘‘টু-জি স্পেকট্রাম বা কয়লা কেলেঙ্কারিতে আদালতের নজরদারিতে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। সেক্ষেত্রে অর্থ পাচার এবং লেনদেনের কোনও প্রমাণ পাোয়া যায়নি। দু’টি তদন্তে বিশেষ সরকারি আইনজীবী নিয়োগ করা হয়েছিল। এক্ষেত্রেও তা করা উচিত।’’
ELECTORAL BOND SC
নির্বাচনী বন্ড কেলেঙ্কারির তদন্ত, আবেদনের শুনানি ২২ জুলাই
×
Comments :0