MD SALIM on MAMATA

সম্প্রীতিতে বিশ্বাস করেন মুখ্যমন্ত্রী?
মমতার ভাষণে প্রশ্নের ঝাঁক সেলিমের

রাজ্য

MD SALIM on MAMATA শনিবার চাকরিপ্রার্থীদের ধরনা মঞ্চে মহম্মদ সেলিম।

সম্প্রীতিতে বিশ্বাস করেন মুখ্যমন্ত্রী? তা’হলে এ রাজ্যে আরএসএস’কে ডাকলেন কেন? বারবার রাজনীতিতে কেন ধর্মীয় প্রতীক, ধর্মীয় উৎসবকে ব্যবহার করছেন? রেড রোডের নমাজ অনুষ্ঠানে হাজির হয়ে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তৃতার পরিপ্রেক্ষিতে এই প্রশ্ন তুললেন সিপিআই(এম) রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। 

এদিন ঈদের নমাজের অনুষ্ঠানে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। তাঁর দাবি, সম্প্রীত পক্ষে, একতার পক্ষে তিনি আপসহীন রয়েছেন। বিভাজন তৈরির চেষ্টা হচ্ছে। তাকে ঠেকাতে হবে। বিভেদ নয়, সম্প্রীতির বার্তা দিতে হবে। 

শনিবার ধর্মতলায় শিক্ষকপদে নিয়োগপ্রার্থী আন্দোলনরতদের অবস্থান মঞ্চে যান সেলিম। সিপিআই(এম)’র এই পলিট ব্যুরো সদস্যকে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তৃতার অংশ তুলে মতামত জানতে চাওয়া হয়। সেলিমের প্রতিক্রিয়া, ‘‘সম্প্রীতিতে মুখ্যমন্ত্রী নিজে বিশ্বাস করেন? তা’হলে এ রাজ্যে আরএসএস’কে ডাকলেন কেন? আদবানি বাজপায়ীর সঙ্গে সরকার করেছিলেন কেন? পশ্চিমবঙ্গে খাল কেটে কুমির আনলেন কেন?’’ 

তৃণমূল কংগ্রেস এবং দলনেত্রী মমতা ব্যানার্জির রাজনীতিতে প্রশ্ন তুলে সেলিম বলেন, ‘‘সম্প্রীতিতে বিশ্বাস করলে একইসঙ্গে হিন্দু সাম্প্রদায়িক আর মুসলিম মৌলবাদীদের সঙ্গে হাত মেলাচ্ছেন কেন? জামাত, জমিয়ত, আরএসএস’কে একসঙ্গে এ রাজ্যে কে জায়গা দিয়েছে? বিভাজনের রাজনীতি কেন করে চলেছেন?’’ 

পুরীর মন্দিরের অনুকরণে রাজ্যে মন্দির তৈরির পরিকল্পনা সম্প্রতি জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। গঙ্গা আরতির আয়োজন হয়েছে সরকারি পরিকল্পনায়। আবার মুসলিম ধর্মীয় অনুষ্ঠানে বারবারই মমতাকে ধর্মীয় রীতির অনুকরণে প্রকাশ্য অনুষ্ঠানে দেখতে অভ্যস্ত রাজ্যবাসী। সেলিম বলেছেন, ‘‘এ রাজ্যে এমন সংস্কৃতি ছিল? কেন বারবার ধর্মীয় প্রতীক, ধর্মীয় উৎসব, ধর্মীয় চিহ্নকে ব্যবহার করছেন রাজনীতিতে? সরকারের কাজ তো শিক্ষা, স্বাস্থ্য কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা। সে কাজ করলে এমন নাটক করতে হতো না।’’ 

সেলিমের ক্ষোভ, ‘‘যাঁরা লড়ছেন তাঁদের জেলে পাঠানো হচ্ছে, খুনও করা হচ্ছে। আর ধর্ম নিয়ে রাজনীতি চলছে। এটাই তো অপরাধ।’’ 

তৃণমূল এবং মুখ্যমন্ত্রী বিভিন্ন সময়েই অভিযোগ তুলছেন যে রাজ্যে সংখ্যালঘু ভোট ভাগ করতে আরএসএস টাকা দিচ্ছে। এনআরসি, সিএএ আনা হচ্ছে। এ সংক্রান্ত এক প্রশ্নে সেলিম বলেন, ‘‘মমতার চেয়ে ভালো আর কেউ আরএসএস’র এ সব কাজ জানেন না। আরএসএস-বিজেপি’র টাকায় দল গড়েছেন উনি।’’ 

সেলিম বলেন, ‘‘একসঙ্গে অমিত শাহ এবং মমতা ব্যানার্জি এনআরসি-সিএএ’র মতো বিভাজনের উপাদান সম্পর্কে বলছেন। এক ধর্মের সঙ্গে অন্য ধর্ম, এক ভাষার সঙ্গে অন্য ভাষা, এক রাজ্যের সঙ্গে অন্য রাজ্যের সঙ্গে ঝামেলা পাকানোর মতো বিষয়। মানুষের অভিন্ন স্বার্থ বেকারদের চাকরি, সতকারি শূন্যপদে নিয়োগ, ওএমআর শিটে জালিয়াতদের শাস্তি, চাকরির জন্য ঘুষের শাস্তির মতো বিষয়। সমাজের অভিন্ন স্বার্থ রয়েছে এমন বিষয়গুলিতে মুখ খুলবে না তৃণমূল বা বিজেপি।’’  

Comments :0

Login to leave a comment