kalna

জল প্রকল্পের পাইপ চুরির অভিযোগে কালনায় গ্রেপ্তরা ৩

জেলা

এইভাবেই রাতের অন্ধকারে মাটি খুঁড়ে জল প্রকল্পের লোহার পাইপ পাচার করা হয়েছে।

রাতারাতি মাটি খুঁড়ে জল প্রকল্পের লোহার পাইপ পাচার করে দেওয়ার অভিযোগে তিনজনকে গ্রেপ্তার করে কালনা থানার পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে মঙ্গলবার কালনা আদালতে পাঠানো হয়। ধৃতদের জামিন নাকচ করে দেন বিচারপতি। ধৃত বিশ্বজিৎ বিশ্বাসের বাড়ি কালনা থানার বিষহরি ডাঙ্গা গ্রামে। ধৃত সোমনাথ দাস ও আনারুল শেখের বাড়ি নাদনঘাট থানার অন্তর্গত যথাক্রমে গোপীনাথপুর ও পারুলডাঙ্গা গ্রামে। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ কালনা ২ ব্লকের সাতগাছি গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত বন্দেবাজ গ্রামের পিএইচিই জল প্রকল্পের কয়েকশো ফুট লোহার পাইপ তুলে রাতারাতি পাচার করে দেয়। সোমবার এই এলাকার মানুষ সোচ্চার হতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান স্থানীয় প্রধান হরেকৃষ্ণ মন্ডল। সেখানে জানতে পারেন, পিএইচই দপ্তরের একজন ঠিকাদারের লোকজন এলাকায় নতুন পাইপলাইন বসাতে আসে। কিন্তু নতুন পাইপ না বসিয়ে রবিবার রাতে মাটি খুঁড়ে জল প্রকল্পের পুরানো লোহার পাইপ তুলে পাচার করে দেয়। সকাল হতেই সোমবার মানুষজন দেখতে পান রাস্তা খুঁড়ে এফোঁড়-ওফোঁড় করা হয়েছে। রাস্তা চলার অযোগ্য তো হয়েছেই, পাশাপাশি সোমবার সকাল থেকেই এলাকায় জল সরবরাহ বন্ধ। তা মঙ্গলবারও অব্যাহত রয়েছে। প্রধান হরেকৃষ্ণ মন্ডল ঠিকাদারের প্রতিনিধি বিশ্বজিৎ বিশ্বাসকে জিজ্ঞাসা করেন, মাটি খুঁড়ে তোলা লোহার পাইপগুলি কোথায় ? উত্তরে বিশ্বজিৎ বিশ্বাস জানায়-- ওই পাইপগুলি ধাত্রীগ্রাম পিএইচই দপ্তরে জমা দেওয়া হয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে সেখানকার অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ারের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, আমাদের দপ্তরে এইরকম কোন পাইপ জমা পড়েনি। কালনা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে তদন্ত শুরু করতেই আসল ঘটনা বেরিয়ে পড়ে। জানা যায় নাদনঘাট থানার ডাঙ্গাপাড়ায় কোন ভাঙাচোরা ব্যবসায়ীকে চুরি করা পাইপগুলো বিক্রি করা হয়েছে। সেখান থেকে কিছু পাইপ উদ্ধার হয়। এই ঘটনার সাথে জড়িত বিশ্বজিৎ বিশ্বাস, আনারুল শেখ এবং সোমনাথ দাসকে গ্রেপ্তার করা হয়।
 

Comments :0

Login to leave a comment