State election commission

অন্যদের অভিযোগ অগ্রাহ্য, বিজেপি’র দাবিকে খতিয়ে দেখার নির্দেশ কমিশনের

রাজ্য

পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভোটগ্রহণের পরের দিন ৯জুলাই রাজ্য নির্বাচন কমিশনে ই-মেইল করে প্রায় ৫হাজার বুথে পুর্ননির্বাচনের দাবি জানিয়েছিল বিজেপি। এবার বিজেপি’র দেওয়া সেই সমস্ত বুথের তালিকা খতিয়ে দেখতে জেলাশাসকদের নির্দেশ দিল কমিশন। ১৪জুলাই, জেলাশাসকদের এই নির্দেশ দিয়েছে। দ্রুত রিপোর্ট পাঠাতে বলা হয়েছে ২২‍‌টি জেলাকে। প্রসঙ্গত, নির্বাচনের দিন এবং তারপরেও আরও কয়েকটি রাজনৈতিক দল, সংগঠন, এবং কর্মচারীদের বিভিন্ন সংগঠন ভূরি ভূরি অভিযোগ আনে নির্বাচনকে ঘিরে। সেগুলিকে নিয়ে এমন তৎপরতা কমিশনের তরফে লক্ষ্য করা যায়নি, যেমন দেখা গেল বিজেপি’র অভিযোগকে ঘিরে।


গত ৮জুলাই ছিল পঞ্চায়েত ভোট। পরের দিন কমিশনকে মেইল করে বিজেপি। সেখানে তারা বুথের তালিকা দিয়ে প্রায় ৫হাজার বুথে পুনর্নির্বাচনের দাবি জানায়। ওই বুথগুলির মধ্যে কটিতে পুনর্নির্বাচন হওয়া উচিত, তা জেলাশাসকদের এবার সুপারিশ করতে বলল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। এবং তা নিয়ে রিপোর্টও চাওয়া হয়েছে জেলাশাসকদের কাছে।
প্রসঙ্গত, রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোটের একেবারে শুরু থেকেই হিংসার অভিযোগ ওঠে। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার দ্বিতীয় দিন থেকেই মৃত্যুর মিছিলও শুরু হয়ে যায়। ৮জুলাই ভোটের দিন ১৫জনের মৃত্যু হয়। ভোটের দিন বেলাগাম সন্ত্রাসের শিকার হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন কয়েকজন। তাঁদের মধ্যে হাসপাতালে ৭জন মারা যান। গণনার দিন বা তার পরের হিংসায় নিহত হন আরও ৭জন। মনোনয়ন জমা দেওয়া থেকে শুরু করে এদিন পর্যন্ত পঞ্চায়েত নির্বাচনে মৃত্যু হয়েছে ৫২জনের।


এদিকে নির্বাচনের দিন রাজ্যের বিভিন্ন ভোট কেন্দ্রে সংঘর্ষকে ঘিরে ক্ষয়ক্ষতির হিসাব শুরু হয়েছে। শনিবার পর্যন্ত কমিশন সূত্রে যে হিসাব পাওয়া গেছে তাতে এগিয়ে রয়েছে কোচবিহারের দিনহাটা। এখানেই ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ সবচেয়ে বেশি। দিনহাটা এক নম্বর ব্লকের ৯টি স্কুলে ক্ষতির পরিমাণ ৩লক্ষ ১৫হাজার টাকারও বেশি। মোট ক্ষয়ক্ষতির ১০শতাংশ টাকা দিনহাটা ব্লক থে‍‌কে মেটানো হয়েছে। এই ৯টি স্কুলই ভোটের দিন ভোটগ্রহণ কেন্দ্র হিসাবে ব্যবহার করা হয়েছিল। এরপরে দক্ষিণ ২৪পরগনার ভাঙড়ে কাঁঠালিয়া হাইস্কুল। এখানে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ১লক্ষ ৬০হাজার টাকারও বেশি। মুর্শিদাবাদে ডোমকলে একটি স্কুলে ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৮০হাজার টাকা। পঞ্চায়েত নির্বাচনে বহু স্কুলের সম্পত্তি নষ্ট হয়েছে। শেষ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী মুর্শিদাবাদে ১৩৫টি স্কুল ভাঙচুর করা হয়েছে। দরজা, জানালা, টেবিল চেয়ার সহ স্কুলের বিভিন্ন সম্পত্তি ভাঙচুর করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, ওয়াটার ফিল্টার, প্লাস্টিকের ট্যাপ চুরি করে নিয়ে গেছে। সূত্রের খবর, রাজ্যজুড়ে এখন‍‌ও পর্যন্ত ২০৬টি স্কুলের সম্পত্তি ভাঙচুর হয়েছে নয় চুরি করে নিয়ে গেছে। একটি স্কুলে তো পায়খানার প্যান পর্যন্ত উধাও হয়ে গেছে। বহু স্কুলে বাথরুমে ওয়াশ বেসিন পর্যন্ত নেই। মুর্শিদাবাদে বহু স্কুলে টেবিল, চেয়ার তো গেছেই, সেই সঙ্গে বহু স্কুলের জানালা, মিড ডে মিলের রান্নার গ্যাসের সিলিন্ডার, বাল্ব ইলেকট্রিক বোর্ড, বাথরুমের প্যান, মগ সব চুরি হয়ে গেছে।
 

Comments :0

Login to leave a comment