বিমানবাহিনীর পাইলটকে মহাশূন্যে ফলাতে হয়েছে মেথির চারাও। কেবল এই একটিই নয়, সরাসরি অন্তত ৭ ধরনের বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা চালিয়েছেন শুভাংশু শুক্লা।
বুধবার বিকেলে ক্যালিফোর্নিয়ার সান দিয়াগোর সমুদ্রে তাঁদের নিয়ে ঝাঁপ দিয়েছে মহাকাশযান ‘ড্রাগন ক্যাপসুল’। সঙ্গীদের সঙ্গে বেরিয়ে এসেছেন শুভাংশু। আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্রে ১৮ দিন কাটিয়ে পৃথিবীতে ফেরার পর ভেসে গিয়েছেন অভিনন্দনের বন্যায়।
ভারতের শুভাংশু শুক্লার মহাকাশ অভিযানে সঙ্গী ছিলেন পেগি হুইটসন, পোলান্ডের স্লজ উজানস্কি উইসেনস্কি এবং হাঙ্গেরির টিবর কাপু। ‘নাসা’ জানিয়েছে মোট ৬০ ধরনের পরীক্ষা চালিয়েছে চার মহাকাশচারীর এই দলটি। আর ভারতের মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান ‘ইসরো’ জানিয়েছে শুভাংশু নিজেই চালিয়েছেন ৭ ধরনের পরীক্ষা। তার কোনো কোনোটিতে তাঁর শরীরকেই গবেষণার বিষয় করেছেন তিনি নিজেই। সেভাবেই দেওয়া হয়েছিল দীর্ঘ প্রশিক্ষণ।
মুগ এবং মেথির বীজ মহাকাশে মাধ্যাকর্ষণ বিহীন অবস্থায় কী করে দেখেছেন শুভাংশু। বীজ থেকে চারা ফলানোর জন্য আন্তর্জাতিক মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্রের সরঞ্জাম ব্যবহার করেছেন।
আন্তর্জাতিক মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র আসলে একটি কৃত্রিম উপগ্রহ। পৃথিবীকে ঘিরে পাক খায়। পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য এখানেই মহাকাশযান নিয়ে পৌঁছান মহাকাশচারীরা।
ইসরো জানাচ্ছে, মানবশরীরের পেশিতে মহাকাশের প্রভাব নিয়েও গবেষণা করেছেন শুক্লা। পেশি তৈরি হওয়া বা মায়োজেনেসিস প্রক্রিয়া দেখতে হয়েছে। ভারতের ‘গগনায়ন’ প্রকল্প বেরিয়ে আসা তথ্যে বিশেষ উপকৃত হবে।
শুক্লার গবেষণার তালিকায় ছিল টারডিগ্রেডস নামে অনুজীবও। কঠিন আবহাওয়ায় টিকে থাকতে পারে এই অনুজীব। তারই ভারতীয় প্রকরণে মহাশূন্যের প্রভাব দেখেছেন তিনি।
এক ধরনের ব্যাকটেরিয়ার ওপরও গবেষণা হয়েছে। মনে করা হয় জলজ উদ্ভিদের সালোকসংশ্লেষ, অর্থাৎ উদ্ভিদের খাদ্য তৈরির প্রক্রিয়া, যা থেকে পরিবেশে আসে অক্সিজেন, তা নিয়েও গবেষণা চালিয়েছেন শুক্লা। গবেষণা করেছেন, খাদ্য ও জ্বালানি নিয়ে। লক্ষ্ণৌয়ের শুভাংশুর গবেষণার তালিকায় থেকেছে অভিকর্ষ বিহীন অবস্থায় বিশেষ ধরনের কম্পিউটার স্ক্রিনে প্রভাবও।
Shubhanshu Shukla
মহাশূন্যে মেথি, মুগের বীজও পরীক্ষা করেছেন ভারতের শুভাংশু

×
Comments :0