Sunlight on demand

রোদ নেবেন স্যার! রোদ!

বিশেষ বিভাগ

শিবানন্দ পাল

শিশুসাহিত্যিক সুকুমার রায় লিখেছিলেন, 
"রোদে রাঙা ইটের পাঁজা তার উপরে বসল রাজা—
ঠোঙাভরা বাদাম ভাজা খাচ্ছে কিন্তু গিলছে না।
গায়ে আঁটা গরম জামা পুড়ে পিঠ হচ্ছে ঝামা;
রাজা বলে “বৃষ্টি নামা—নইলে কিচ্ছু মিলছে না।”

তা বিজ্ঞানীরা ইচ্ছে মতো বৃষ্টি নামাতে সক্ষম হয়েছেন। কিন্তু রোদ? এই যে মাঝে মাঝে বেদম ঠান্ডায় কিংবা কনকনে শীতের রাতে, লেপ কম্বল মুড়ি দিয়েও ঠান্ডা যায় না, কি করা যায়! সকালে ছাদে উঠতেও ভরসা হয় না! রোদ উঠবে অনেক বেলায়, দূষণের হাত ধরে শহর অস্পষ্ট। যদি একটু রোদ পাওয়া যেত! সুকুমারী ভাষায় বলতে ইচ্ছে করে— ও মশাই, একটু রোদ পাই কোথায় বলতে পারেন? অথবা নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর ভাষায়, রোদ্দুরের কথা ভাবতে-ভাবতে অমলকান্তি নিজেই রোদ্দুর হতে চেয়েছিল!

রোদ খেতে ইচ্ছা করে, অথচ রোদ নেই!  মোবাইলে 'অর্ডার' দিয়ে যদি একটু রোদ পাওয়া যেত! উঠে গেলাম তে তলার ছাদে। কিছু পরেই আকাশ চিরে নেমে এল এক ফালি রোদ। অথবা আকাশের মুখ ভার, কয়েকদিন রোদ ওঠেনি, চারপাশ বেশ স্যাঁতসেঁতে, জড়তা কাটাতে রোদ দরকা— অনলাইনে অর্ডার দিলাম। কিছুক্ষণ পর ডেলিভারি বয় এসে অর্ডার তালিম করে গেল! ঘরে বসেই রোদ পাওয়া, সাংঘাতিক ব্যাপার!

অথবা পাশের বাড়ির ছাদ থেকে কেউ ডেকে বলল, ও মশাই শুনছেন! আসুন আমাদের বাড়িতে রোদ খেয়ে যান। দশ মিনিট মাত্র দশ টাকা। আধঘণ্টার স্পেশাল প্যাকেজ পঁচিশ টাকা! সেই রোদ কিনে খাওয়ার জন্য ছুটোছুটি লুটোপুটি। কিংবা ধরুন যুবভারতী স্টেডিয়াম! রোদ নামানো হবে। কলকাতার নেটিজেনরা ছুটছে। একটু উষ্ণতার জন্য কত না ছটফটানি! রূপকথা মনে হচ্ছে হয়তো! না, রূপকথার দিন শেষ।

যেদিন প্রথম বোতলে জল কিনে খেয়েছিলেন, দিনটা কি মনে আছে? কেউ কি ভেবে ছিলাম জল কিনে খেতে হবে? আজকাল রেস্টুরেন্টে বিনা পয়সায় জল দিলেও অনেকেই খেতে চায় না, বলে মিনারেল জলের বোতল দাও! সেই জলের দাম গুনতে গায়ে ব্যথা লাগে না।

আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়ার 'স্টার্টআপ' সংস্থা "রিফ্লেক্ট অরবিটাল"এর সিইও বেন নোয়াক এইরকম ভাবনা থেকেই রোদ 'বিক্রি' করার এক প্রকল্পের কথা শুনিয়েছেন। বিষয়টি যদিও তাঁর মাথাতেই প্রথম আসেনি! ১৯৯০-এর দশকে সোভিয়েত রাশিয়ার বিজ্ঞানীরা রাত্রে নির্দিষ্ট কিছু অঞ্চলে, সূর্যালোক নামানোর নানা রকম পরীক্ষা নিরীক্ষা করেছিলেন, দুর্ভাগ্যবশত সেই সময়ের প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে সফল হতে পারেননি, শেষ পর্যন্ত সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর বিষয়টি পরিত্যক্ত হয়।

সেই বুদ্ধি নিয়েই "রিফ্লেক্ট অরবিটাল" কোম্পানির জন্ম।  প্রতিষ্ঠাতা প্রযুক্তিবিদ বেন নোয়াক, স্পেসএক্সের সাথে যুক্ত ছিলেন এবং আরেক প্রতিষ্ঠাতা উড়ন্ত যানবাহনে উৎসাহী ট্রিস্টান সেমেলহ্যাক, যার ড্রোন তৈরি করার অভিজ্ঞতা রয়েছে, অনলাইন কেনাকাটার এই যুগে তাঁদের মাথায় এই কর্মসূচির জন্ম হয়েছে। 'সানলাইট অন ডিমান্ড' ব্যাপারটা ভালো বাজার পাবে বলেই তাঁদের ধারণা। হাতে হাতে তাঁরা ফল‌ও পেয়েছেন। প্রচুর উৎসাহ, আগাম বুকিং তাঁদের হাতে এসেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদ মাধ্যম ডেইলি মেইল বলছে, লন্ডনে অনুষ্ঠিত গত এপ্রিল (২০২৪) মাসে "ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স অন এনার্জি ফ্রম স্পেস" সম্মেলনে "সূর্যের আলো বিক্রি" করার আকাশচুম্বী একটি পরিকল্পনার কথা শুনিয়েছেন বেন নোয়াক। কীভাবে রাতে নির্দিষ্ট কোনও জায়গায় সূর্যের আলো পাওয়া যেতে পারে, বিশদে তা ব্যাখ্যা‌ করেছেন। জানিয়েছেন, গোটা ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রিত হবে মহাকাশে থাকা সাতান্নটি কৃত্রিম উপগ্রহের মাধ্যমে। ভূপৃষ্ঠ থেকে তিনশো সত্তর মাইল উপরে এই কৃত্রিম উপগ্রহগুলো স্থাপন করা হবে। প্রত্যেকটায় লাগানো থাকবে তেত্রিশ বর্গফুটের উচ্চ প্রতিফলন ক্ষমতার পলিয়েস্টার ফিল্মের 'মাইলার' আয়না। যেগুলো সূর্যাস্তের পরেও সূর্যের আলো প্রতিফলিত করে পৃথিবীতে পাঠাতে সক্ষম। পৃথিবীর অক্ষাংশ- দ্রাঘিমাংশ হিসাব কষে স্থির করা হবে প্রতিফলিত সূর্যরশ্মি প্রয়োজন সাপেক্ষে কোন জায়গায় ফেলা যেতে পারে। ডিমান্ড এবং সাপ্লাইয়ের মেলবন্ধন সেভাবেই ঘটানো হবে।

প্রাথমিকভাবে এই প্রকল্পের মাধ্যমে বিশ্বে সৌরশক্তি উৎপাদনের ক্ষেত্রে বিপ্লব আনার স্বপ্ন দেখছেন বিজ্ঞানীরা। বেন নোয়াকের সংস্থার ওয়েবসাইটে লেখা হয়েছে, পৃথিবীতে সৌরশক্তি এখন যতটা ব্যবহার হয়, তার থেকে চব্বিশ ট্রিলিয়ন গুণ বেশি শক্তি উৎপাদন করে সূর্য। সূর্যের এই বাড়তি শক্তিকেই তারা ব্যবহার করতে চায়। এতে দূষণের কোন‌ও সমস্যা নেই, শক্তির ভারসাম্য অটুট থাকবে এবং এভাবে পৃথিবীর শক্তি-সমস্যার চাহিদা মেটানো সম্ভব।

খুব আশার কথা!

বিশ্বব্যাপী পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তির সংযোজনে সৌর বিদ্যুৎ শক্তি তিন-চতুর্থাংশ প্রতিনিধিত্ব করে। ২০০০ সালে ১.২২ গিগাওয়াট থেকে, বিশ্বের সৌর ক্ষমতা ২০২৩ সালে ১.৪১৯ গিগাওয়াটে বেড়েছে, যা মূল চাহিদার মাত্র ৩৬% শতাংশ। শক্তির ভাঁড়ারে টান পড়ায় বিশ্বের সর্বত্র সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্পে জোর দেওয়া হয়েছে। কিন্তু রাতে সূর্যরশ্মি না থাকায় সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্পগুলো অচল হয়ে যায়। সূর্য ডোবার পরেও যদি সূর্যের আলো কোনোকভাবে ওই কেন্দ্রগুলোতে পৌঁছে দেওয়া যায়, সৌরবিদ্যুতের উৎপাদন বাড়বে।

সংবাদ মাধ্যম 'দ্য ডিপ ডাইভ' জানিয়েছে, নোয়াকের মতে, বর্তমানে তারা সম্ভাব্য সর্বোচ্চ চাহিদার সময়ে সূর্যাস্তের পরে বা সূর্যোদয়ের আগে সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোতে এভাবে অতিরিক্ত ৩০ মিনিট রোদ সরবরাহ করতে সক্ষম। সেজন্য তাঁরা ২০২৫ সালেই তাঁদের প্রকল্প চালু করতে চান।

সীমিত ক্ষমতাসম্পন্ন হলেও প্রাথমিকভাবে "রিফ্লেক্ট অরবিটাল" কোম্পানির ঝুলিতে ইতিমধ্যেই ৩০,০০০-এর‌ বেশি আবেদন জমা পড়ে গেছে। নতুন আবেদন নেওয়া বন্ধ। তবে ব্যাপকভাবে কাজটি শুরু হতে আরও কিছুদিন সময় লাগবে, তাছাড়া প্রকল্পটি অত্যন্ত ব্যয়বহুল। কারণ মহাকাশের নির্দিষ্ট কক্ষপথে উপগ্রহ স্থাপনের ব্যাপারটা রয়েছে।

বেন নোয়াক অবশ্য খুবই আশাবাদী, রোদ বিক্রি করে আখেরে তাঁদের বড় অঙ্কের লাভ‌ই হবে। কোম্পানির পক্ষে বলা হয়েছে, ২০২৫-এর চতুর্থ ত্রৈমাসিকে ডেলিভারি শুরু হবে। আবেদনপত্র অনুসারে উপভোক্তারা ৫ কিলোমিটার ব্যাসার্ধ পরিমাণ জায়গায় চার মিনিটের সূর্যের আলোর স্থায়ী পরিষেবা পাবেন।‌

মিডিয়া আউটলেট ভাইসের সাথে এক সাক্ষাৎকারে বেন নোয়াক বলেছেন, "সৌর শক্তি অপ্রতিরোধ্য, সর্বত্র সোলার প্যানেল ব্যবহার বেড়েছে। কিন্তু রাতে সূর্যালোক বন্ধ হয়ে যায়। এটাই মূল সমস্যা, এই সমস্যার সমাধান করতে পারলেই সর্বত্র সৌর শক্তি ব্যবহার সম্ভব।" বেন নোয়াকের চিন্তা ভাবনা অনুযায়ী সৌর শক্তি ব্যবহারের পদ্ধতিকে কাজে লাগিয়ে বিশ্বের বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী সংস্থাগুলো নিজেদের ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য উৎসাহিত হয়েছে। সংবাদ মাধ্যমকে বেন একটি অসাধারণ চিত্তাকর্ষক ভিডিও ফুটেজে নিজেদের কর্মকাণ্ড দেখিয়ে চমকে দিয়েছেন।

রিফ্লেক্ট অরবিটাল-এর পক্ষে সাতজনের একটি দল, বেলুনে চড়ে আট বাই আট ফুট মাপের একটি মাইলার আয়না নিয়ে আকাশে প্রায় ২৪২ মিটার উপরে উঠে যায়। আয়নার মাধ্যমে সূর্যালোক প্রতিফলিত করার জন্য একটি ট্রাকে বিশাল সৌর প্যানেল নিয়ে গিয়ে আটশো ফুট দূরে বিশেষ একটি জায়গায় স্থাপন করে। পরীক্ষামূলকভাবে সৌরপ্যানেলে সফলভাবে সূর্যরশ্মি প্রতিফলিত করে আশাব্যঞ্জক এই ফল দেখিয়েছে, প্রতি বর্গমিটার প্যানেল থেকে পাঁচশো ওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হয়।

মাইলার আয়না তৈরি করা হয় কাচের বদলে অ্যালুমিনিয়াম ফ্রেমের উপর পলিয়েস্টার ফিল্ম ব্যবহার করে। নোয়াকের দলবলের বিশ্বাস মহাকাশে উপগ্রহ পাঠানোর খরচ বর্তমানে অনেক কম, তাছাড়া নিষেধাজ্ঞা‌ও নেই, তাই তাঁদের পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করতে সমস্যা হবে না। আর এই উদ্যোগ ভীষণভাবে লাভজনক হবে।

ডেইলি মেইল বিষয়টি সমর্থন করেছে। যদিও অনেক প্রশ্ন রয়েছে, রাতে এভাবে সূর্যালোক প্রতিফলিত করার যথেচ্ছ অনুমতি আলোক দূষণের উচ্চ মাত্রা বাড়িয়ে তুলতে পারে। অথবা এসব কর্মকাণ্ড সেই এলাকার লোকেদের বিরক্তির কারণ ঘটাতে পারে, অন্তত রাত্রে যারা ঘুমাতে চান। বন্যপ্রাণীদের কথা তো বিবেচনাতেই আনা হয়নি। বেন নোয়াকের কোম্পানি "রিফ্লেক্ট অরবিটাল"র লক্ষ্য প্রকৃতির মূল্যবান সৌরশক্তি বিক্রি করে মুনাফা অর্জন করা। নোয়াক যদিও লোভ দেখিয়েছেন, ভবিষ্যতে এই শক্তি ব্যক্তি পরিষেবার জন্য বিতরণ করাও সম্ভব।

ভারতে সৌরশক্তির সম্ভাবনা বিশাল। দিনের বেলায় ভারতের ভূপৃষ্ঠের বেশিরভাগ অংশে প্রতি ঘণ্টায় প্রায় ৫,০০০ ট্রিলিয়ন কিলোওয়াট শক্তির সূর্যের আলোর প্রতিফলন ঘটে। যা ফটোভোলটাইক প্যানেলের মাধ্যমে প্রতি বর্গমিটারে ঘন্টায় ৪-৭ কিলোওয়াট সৌর শক্তি উৎপাদনে কার্যকরী ভূমিকা নিতে সক্ষম। ২০৭০ সালের মধ্যে শূন্য কার্বন নির্গমন অর্জনের লক্ষ্যে ভারত এগিয়ে চলেছে। শীর্ষে পাঁচটি রাজ্য রাজস্থান, গুজরাট, কর্নাটক, তামিলনাড়ু এবং মহারাষ্ট্র। যদিও পূর্বাঞ্চলের একটাও রাজ্য নেই। এপ্রিল, ২০২৪ এর হিসাব বলছে সৌরশক্তিতে ভারতের উৎপাদন ৮২.৬৩ গিগাওয়াটে পৌঁছেছে। যা সৌর শক্তি উৎপাদনের ক্ষেত্রে এশিয়ার তৃতীয় বৃহত্তম এবং বিশ্বে চতুর্থ। কোনও কোনও জাতীয় সংবাদ মাধ্যম দাবি করে বিশ্বে সৌর শক্তি উৎপাদনে ভারত তৃতীয় বৃহত্তম উৎপাদনকারী দেশ। বিশ্বব্যাপী সৌর শক্তি উৎপাদনে ভারতের অবদান এখন ৫.৫%। ভারত ২০৩০ সালের মধ্যে প্রায় ২৭০ গিগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতা অর্জনের লক্ষ্য স্থির করেছে। ভারতে সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদনে রাজস্থান সবচেয়ে এগিয়ে।‌ যোধপুরে ভাদলা সোলার পার্ক হলো ভারতের বৃহত্তম সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্র যার ক্ষমতা ২,২৪৫ মেগাওয়াট। ১৪০০ একর জায়গা জুড়ে বিস্তৃত এই সোলার পার্কটি রাজস্থান সরকারের সঙ্গে বিখ্যাত বা কুখ্যাত আদানিদের যৌথ ভেঞ্চার।

উন্নত দেশগুলিতে শীতের দেশের মানুষ পকেট থেকে রেস্ত খরচ করলেই সহজে পেয়ে যাবেন রোদ। আমাদের দেশে জল‌ও এখন জলের দামে পাওয়া যায় না, রীতিমতো দামি হচ্ছে প্রতিদিন। ভূগর্ভস্থ জলে টান পড়েছে। পাইপ লাইন থাকলেও জলের খোঁজ পাওয়া যায় না। বৃষ্টির জল বা ব্যবহার করা জল সঞ্চয় এবং রিসাইক্লিং করে ব্যবহার সম্ভব হলেও এমনকি সৌরশক্তির সাহায্য নিয়ে গৃহস্থালির কাজ মেটানো সম্ভব হলেও একটু উষ্ণতার জন্য কৃত্রিমভাবে রোদ গায়ে লাগানোর কথা আমাদের ব্যক্তি কল্পনার বাইরে।

রোদ নিয়ে বিশাল ব্যবসা ফাঁদার ব্যবস্থা হচ্ছে সুনিশ্চিত। বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষমতা বৃদ্ধির কথা বলা হলেও সূর্যাস্তের পরে রোদ নিয়ে বিশ্বজুড়ে একটা বিশাল বাণিজ্যিক সম্ভাবনা সংশ্লিষ্ট সকলের নজর যথেষ্ট কেড়েছে। প্রকৃতির দান সৌরশক্তি নতুন করে বিশ্বময় একটি বাজার তৈরির সম্ভাবনা খুলে দিয়েছে, এটা স্পষ্ট। সূর্যের আলো এবার পণ্য তালিকায় যুক্ত হতে চলেছে। রোদ কিনতে হবে।

কিন্তু আকাশে যদি মেঘ থাকে? রোদ নামানো যাবে তো? তাহলে কী মেঘ সরিয়ে রোদ নামানো হবে? সেতো আবার বিশাল খরচের ধাক্কা! আর আকাশে মেঘ না থাকলে তো এমনিতেই রোদ আসবে! কি বলেন? তাহলে কি রোদটুকুও কেড়ে নিয়ে রোদ বিক্রি করার ব্যবস্থা হচ্ছে! অথবা নিকট ভবিষ্যতে আমাদের হয়তো গ্যাসের মতো প্রতি মাসে রোদ বুক করবার জন্য অনলাইন পরিষেবার দ্বারস্থ হতে হবে। অন্তত শীতের সময়। দিনের আলোয় তৈরি সৌরশক্তির তুলনায় রাতের অন্ধকারে কেনা সূর্যের আলোয় তৈরি সৌরশক্তির দাম অনেক বেশি হবেই। ভাবনা নেই। সে কেনার ক্ষমতা কজনের হয় ভবিষ্যৎ বলবে। তবে কিছু কর্মসংস্থান নিশ্চয়ই হবে। লেখাপড়া শেখা বেকার ছেলেমেয়েদের কয়েকজন পাড়ায় পাড়ায় আপনার আমার বাড়ির কড়া নেড়ে জানতে চাইবে, "আপনার রোদ চাই স্যার! রোদ নেবেন! রোদ!"
 

Comments :0

Login to leave a comment