Facebook

ফেসবুকে আগ্রহ হারাচ্ছে মার্কিন ‘জেনারেশন জেড’, রিপোর্ট

আন্তর্জাতিক

ফেসবুকের ব্যবহার দ্রুত কমছে জেন-জেড (Gen Z) প্রজন্মের মধ্যে। নবীনতম অংশের ওপর প্রযুক্তি ও সোশ্যাল মিডিয়ার উপর করা পিউ রিসার্চ সেন্টারের (pew research center) গবেষণায় উঠে এসেছে এই তথ্য। 

আবার একই সঙ্গে এই গবেষণা থেকে যদি কেউ ভেবে বসেন ‘জেনারেশন জেড’ প্রবল সোশ্যাল মিডিয়া আসক্তিতে ভুগছে, সেক্ষেত্রেও হতে পারে ভুল। সমীক্ষায় ৪৫ শতাংশ জানিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া পৃথিবী থেকে উঠে গেলেও তাদের কোনো সমস্যা নেই।

সমীক্ষা জানাচ্ছে, ১৩-১৭ বছর বয়সী মার্কিন কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে মাত্র ৩২ শতাংশ ফেসবুক ব্যবহার করে। ২০১৪-১৫ সালের সমীক্ষায় এই হার ছিল ৭১ শতাংশ। সমীক্ষায় উঠে এসেছে, তরুণ প্রজন্ম ফেসবুকের মধ্যে আর কোনো নতুনত্ব খুঁজে পাচ্ছে না। বিশেষত ফেসবুকে অনেক ক্ষেত্রেই অভিভাবকদের অ্যাকাউন্ট থাকায় স্বাধীনভাবে কন্টেন্ট তৈরি করতে সমস্যা হয় বলে মত উঠে এসেছে। এমনকি ২০১৩ সালেও যখন ৭৭ শতাংশ তরুণ প্রজন্ম যখন ফেসবুক ব্যবহার করছিল সেই সময়ও তাদের মধ্যে ফেসবুক সম্পর্কে এক ধরণের নেতিবাচক ধারণাই ছিল বলে জানা যাচ্ছে সমীক্ষায়। 

পিউ’র ২০১৩ সালের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জেনারেশন জেড ফেসবুক বাদে অন্য প্ল্যাটফর্মে আগ্রহী বেশি। ফেসবুকের মতো যদিও বারবার ব্যবহার করছে না সেই প্ল্যাটফর্ম। সেই প্রবণতাটিই বজায় রয়েছে একেবারে নতুন প্রজন্ম সোশ্যাল মিডিয়ায় যোগ দিলেও ফেসবুক (Facebook) ব্যবহার প্রায় করছেন না

গবেষণায় এও দেখা গেছে যে ২০১৯ সাল থেকে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে ১৩ শতাংশ হারে হ্রাস পেয়েছে ফেসবুকের ব্যবহার অনুমান আগামী দুবছরে আরও ৪৫ শতাংশ কমবে ফেসবুকের ব্যবহার। সামগ্রিকভাবে, ফেসবুক (Facebook) ব্যবহারকারীর সংখ্যা বাড়ছে না এই ‘ড্রপ-অফ’ (drop-off) ফেসবুকের বিজ্ঞাপন এবং ব্যবসার জন্য খারাপ খবর। 

‘‘বেশিরভাগ প্রাপ্তবয়স্ক তরুণ ফেসবুককে চল্লিশ এবং পঞ্চাশ বছর বয়সীদের জায়গা হিসাবে দেখে,’’ দ্য ভার্জের ২০২১ সালের অভ্যন্তরীণ ফেসবুক নথিতে একথা বলা হয়েছে। এছাড়াও ফেসবুকে ভুয়ো বিষয়বস্তু ছড়ানোর রমরমাকে বিরক্তিকর, বিভ্রান্তিকর এবং নেতিবাচক হিসাবে মনে করে তরুণ অংশ। 

ফেসবুক থেকে মুখ ঘোরালেও পরিচালক সংস্থা মেটা’র আরেক প্ল্যাটফর্ম (meta platform) ইনস্টাগ্রামে (instagram) তরুণ অংশের আগ্রহ যথেষ্টই। ২০১৪-১৫ সালের সমীক্ষা দেখা গিয়েছে, ৫২ শতাংশ থেকে ৬২ শতাংশ কিশোর-কিশোরী ইনস্টাগ্রাম ব্যবহার করে কিন্তু টিকটক (Tiktok) এখন ৬৭ শতাংশ মার্কিন কিশোর-কিশোরী ব্যবহার করে। 

পঁচানব্বই শতাংশ কিশোর বলেছে যে তারা ইউটিউব (You Tube ) ব্যবহার করে, কারণ এটি একটি প্রভাবশালী সামাজিক প্ল্যাটফর্ম। অনেক ব্যবহারকারী অনলাইনে অন্যদের সাথে কথপোকথনে না জড়িয়ে কেবল ভিডিও দেখার জন্য এই প্ল্যাটফর্মের জড়িয়ে।

 

পিউ ১,৩১৬ জনের মধ্যে সমীক্ষা করেছে। এই কিশোর-কিশোরীদের কাছে এই অ্যাপগুলি কতবার ব্যবহার করে তা জানতে চেয়েছিল সমীক্ষা। ১৯ শতাংশ জানিয়েছে তারা প্রায় প্রতি মুহূর্তেই টিকটক ব্যবহার করে, ইউটিউবের পাশাপাশি।  টিকটক, ইনস্টা, স্ন্যাপচাট (Snapchat) যথাক্রমে ১৬ শতাংশ, ১০ শতাংশ এবং ১৫ শতাংশের ‘‘প্রায় সর্বক্ষণের মনোযোগ’’ রয়েছে। যেখানে ফেসবুক সম্পর্কে মাত্র ২ শতাংশ এই কথা বলেছে।

Comments :0

Login to leave a comment