কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য্য হিসাবে সোনালী চক্রবর্তী ব্যানার্জির পুনর্নিয়োগের আবেদন খারিজ করলো সুপ্রিম কোর্ট। এর পূর্বে এই একই আবেদন খারিজ করেছিল কলকাতা হাই কোর্ট। হাই কোর্টে এই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দারস্থ হন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এবং রাজ্য। এদিন সুপ্রিম কোর্টের এই রায়ের ফলে মুখ পুড়েছে দুই পক্ষেরই। জগদীপ ধনকড় রাজ্যপাল থাকাকালিন তার সম্মতি ছাড়াই কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় সহ রাজ্যের ২৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ করে রাজ্য। আচার্যের অনুমতি ছাড়া উপাচার্য নিয়োগকে কেন্দ্র করে সেই সময় প্রশ্ন ওঠে শিক্ষা মহলে। এর পাশাপাশি সোনামী চক্রবর্তী ব্যানার্জির নিয়োগকে কেন্দ্র করে কলকাতা হাই কোর্টের প্রদান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়। সেই মামলাতেই এই পুনর্নিয়োগকে বেআইনি বলে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।
প্রসঙ্গত উপাচার্য নিয়োগের ক্ষেত্রে যেই যেই নিয়ম মানা উচিত তা এই ক্ষেত্রে মানা হয়নি। এই নিয়োগকে কেন্দ্র করে স্বজন পোষনের অভিযোগও সামনে আসে।
এই বিষয় কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সনাতন চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ‘দেশের প্রাচীনতম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের নিয়োগে আইনের অপপ্রয়োগের এই ঘটনা চোখে আঙুল দিয়ে আবার দেখিয়ে দিলো যে শিক্ষাব্যবস্থাকে অগণতান্ত্রিক এবং স্বেচ্ছাচারের ভিত্তিতে পরিচালনা করলে কি ভয়ঙ্কর বিপর্যয় ও নৈরাজ্য নামতে পারে। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি বারবার বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাধিকার ও গণতান্ত্রিক পরিচালন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করার বিরুদ্ধে তার দৃঢ় মত ব্যক্ত করেছে। আমরা চাই বিশ্ববিদ্যালয়ে পঠনপাঠন ও গবেষণার সুস্থ, নির্ভয় ও স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরে আসুক। বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল অংশীদার যেন নির্ভয়ে, সসম্মানে গণতান্ত্রিক পরিবেশে কাজ করতে পারে।’
Comments :0