শ্রুতিনাথ প্রহরাজ
রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয় গুলিতে উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজ্য সরকার তথা শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে রাজ্যপালের সংঘাত চরম আকার নিয়েছে। প্রথম দফায় তিনটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী উপাচার্য একতরফা নিয়োগ করেছিলেন আচার্য তথা রাজ্যপাল। এবার এক ধাক্কায় ১১টি বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ করেছেন একই কায়দায়। গতবারের সঙ্গে তফাৎ শুধু এই, এবার যাদের নিয়োগ করলেন, আগের দিন তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। শিক্ষা মন্ত্রী ব্রাত্য বসু যতই হুমকি দিন না কেন, নবনিযুক্ত অস্থায়ী উপাচার্যগণ ইতিমধ্যেই তাদের কাজে যোগ দিয়েছেন। আমরা অডিটিং পড়াতে গিয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের বলি, আপাদমস্তক দুর্নীতির কাজে যুক্ত কোনও সংগঠনে অডিট করতে যাওয়া আসলে বাটপাড়ের বাড়ির নেমন্তন্ন খাওয়া, যেখানে আলু ভাজা থেকে চাটনি সবটাই পচা থাকে, সঠিক কোনটা খুঁজে পাওয়া দুষ্কর হয়ে দাঁড়ায়। রাজ্যপালের সঙ্গে রাজ্য সরকারের এই টানাপড়েন দেখে মনে হয়, দুপক্ষই যেন বাটপাড়ের বাড়ির নেমন্তন্ন খাওয়ার প্রতিযোগিতায় নেমেছে।
তৃণমূল কংগ্রেস এখন হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে ক্ষমতায় এসে একতরফা দলীয় দখলদারির লক্ষ্যে একটা অর্ডিনান্সে রাজ্যের সব কটি বিশ্ববিদ্যালয়ের গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নির্বাচিত সিনেট/সিন্ডিকেট বা কোর্ট/কাউন্সিল ভেঙে দেওয়ার চরম পরিণতি কি হতে পারে! তারপর সেই লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়গুলির নতুন আইন করেছে তারা। আজ পর্যন্ত কোনও বিশ্ববিদ্যালয়ে সেই অইন তারা কার্যকর করেনি। বিশ্ববিদ্যালয়গুলির দৈনন্দিন কাজ পরিচালিত হয় স্ট্যাটিউট বা বিধি অনুসারে। প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে আলাদা আলাদা বিধি তৈরি করার কথা। বারংবার দাবি করা সত্ত্বেও সেই স্ট্যাটিউট এখনো তৈরি হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয়গুলি বস্তুত পরিচালিত হচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেসের নির্দেশে তাদের মনোনীত ব্যক্তিদের মাধ্যমে। পদাধিকার বলে অল্প কয়েকজন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনে থাকলেও তাদের স্বাধীন মত প্রকাশের অধিকার খুবই সীমিত। ফলস্বরূপ বিশ্ববিদ্যালয়গুলি ও তার অধীনে থাকা কলেজগুলি হয়ে দাঁড়িয়েছে শাসকদলের অফিস ও নানাবিধ দুর্নীতির আখড়া। ছাত্রভর্তি থেকে শুরু করে ছাত্রসংসদ নির্বাচন না হওয়া সত্ত্বেও সংসদের নামে সোশাল আয়োজনের আড়ালে লক্ষ লক্ষ টাকার অনৈতিক লেনদেন হচ্ছে। নিয়োগ দুর্নীতি তো আছেই। এছাড়া কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়গুলির দৈনন্দিন কাজকর্মের বরাত পাওয়ার বিষয়টি এখন কারা নিয়ন্ত্রণ করছে তা একটু খোঁজ নিলেই জানা যায়। উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গণতান্ত্রিক প্রশাসন না থাকার কারণে যাবতীয় অনৈতিক কাজকর্মের সুবিধা ভোগ করছে শাসক তৃণমূল কংগ্রেস। ইতিমধ্যেই সারা দেশের কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও অন্যান্য গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলির দখল নিয়েছে বিজেপি তথা সঙ্ঘ পরিবার। এবার রাজ্যপালের পদ ও অফিসকে কাজে লাগিয়ে রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলির পাল্টা দখলদারির নেশায় আসরে নেমেছে বিজেপি। মাঝখান থেকে ছাত্র-ছাত্রীদের প্রাণান্তকর দশা। সম্প্রতি নেতাজী মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য না থাকা জনিত অচলাবস্থার কারণে বিপদ চরম আকার নিয়েছিল।
অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়েরও একই অবস্থা। বেগতিক দেখে রাজ্য সরকার, শত বাধা সত্ত্বেও মুখ্যমন্ত্রীকেই সব বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য করবার বিল এনেছে বিধানসভায়, যা এখন আইন হবার অপেক্ষায় রাজ্যপালের কাছে পড়ে আছে। তৃণমূল বিজেপির এই মারামারিতে লেখাপড়া ও অন্যান্য দৈনন্দিন প্রশাসনিক কাজকর্ম লাটে উঠবার যোগাড়!
বামফ্রন্ট সরকার থাকাকালীন বিশ্ববিদ্যালয় গুলিতে ছাত্র-শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীদের গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নির্বাচিত প্রতিনিধিত্বের মাধ্যমে আইনানুগ প্রশাসন ছিল। এখন যারা টিভির চ্যানেলে বাম আমলের মুন্ডুপাত করেন, সেই সব অধ্যাপক বন্ধুরাও প্রতিনিধিত্ব করবার নির্বাচনে অংশ নিতেন— যা গত ১২ বছরে এ রাজ্যে দেখার সুযোগ হয়নি। বিরোধীদের মত প্রকাশের ন্যূনতম পরিসর দেয়নি তৃণমূল কংগ্রেস। বাম আমলে বিশ্ববিদ্যালয়গুলির উপাচার্য নিযুক্ত হতেন ইউজিসি গাইডলাইন মেনে। সার্চ কমিটি বা সিলেকশন কমিটিগুলি গঠিত হতো বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি, ইউজিসির প্রতিনিধি ও আচার্যের প্রতিনিধিদের নিয়ে। শিক্ষা দপ্তরের সচিব পর্যায়ের কোনো আধিকারিক এই কমিটির আহ্বায়কের দায়িত্ব পালন করতেন। তিনজনের প্যানেল যেত আচার্যের কাছে চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য কারণ উপাচার্যের নিয়োগকর্তা তিনি। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য সন্তোষ ভট্টাচার্যর নিয়োগ নিয়ে কিছু বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছিল এ কথা ঠিক, তবে এটা অস্বীকার করা যাবেনা সেই নিয়োগের ক্ষেত্রেও তিনজনের প্যানেল তৈরির গোটা পদ্ধতি করা হয়েছিল ইউজিসি গাইডলাইন মেনে গণতান্ত্রিক রীতিনীতি অনুসারে। তৎকালীন রাজ্যপাল এপি শর্মা চূড়ান্ত অনুমোদনের সময় এই রীতি নীতির মান্যতা না দেওয়ায় বিরোধ বেধেছিল। এখন মাঝেমধ্যেই সেই ঘটনার বিকৃত ব্যাখ্যা দেয় বর্তমান শাসক দল ও অন্যান্য বাম বিরোধী শক্তি।
পার্থ চ্যাটার্জি শিক্ষামন্ত্রী হওয়ার পর প্রকাশ্যে ঘোষণা করেন, ‘‘বিশ্ববিদ্যালয় গুলিকে আমরা টাকা দিই, তাই মাথা গলাবো বেশ করব’’। পাল্টে গেল উপাচার্য নিয়োগের প্রক্রিয়া। তিনজনের প্যানেল নয়, একজন বিশ্বস্ত অনুচরকে বাছা এবং তাকে উপাচার্যের চেয়ারে বসিয়ে দেওয়া, এটাই হয়ে দাঁড়াল তৃণমূল জমানায় উপাচার্য নিয়োগের দস্তুর। এইভাবে অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয়ের মাথায় বসানো হলো অস্থায়ী উপাচার্যদের। কথা শুনে কাজ করলে টার্ম রিনিউ হবে নতুবা ঘরে ফিরে যেতে হবে। টিকে থাকার লড়াইয়ে সেই সব উপাচার্যগণ ব্যস্ত থাকার কারণে, বিশ্ববিদ্যালয়গুলির দীর্ঘমেয়াদি পঠন পাঠন, উন্নয়ন ও গবেষণার কাজগুলি বাধা প্রাপ্ত হতে শুরু করল। দু’একজন উপাচার্য শাসকদলের এই স্বেচ্ছাচারিতা মানতে না পারায় মাঝপথে বিদায় নিতে হয়েছে। এইভাবে ছাঁটাই হওয়া টেকনিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (আবুল কালাম আজাদ ইউনিভার্সিটি) উপাচার্য রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে মামলা করে স্বপদে পুনর্বহাল হয়েছিলেন। একাধিক উপাচার্য আবার একই সাথে কলেজের অধ্যক্ষ এবং স্কুল সার্ভিস কমিশনের বা কলেজ সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান পদেও বহাল রইলেন। একই সাথে দায়িত্ব নিয়ে তিনটি সংগঠনেই দলীয় দখলদারি সুনিশ্চিত করলেন। এখন দুর্নীতির দায়ে জেল খাটছেন সেইসব ‘স্বনামধন্য’ উপাচার্যদের একজন যিনি আবার এই রাজ্যের উপাচার্য কুলের শিরোমণি হিসেবে নিজের পরিচয় দিতেন। আরো কজন জেলে যাওয়ার পথে আছেন আমরা জানিনা। পশ্চিমবঙ্গে অতীতে কখনো এ ধরনের নৈরাজ্য বা লজ্জাজনক ঘটনা ঘটেনি।
সিলেকশন বা সার্চ কমিটির মাধ্যমে স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগের ক্ষেত্রে ইউজিসির প্রতিনিধিকেই হিসেব করে বাদ দিল বর্তমান সরকার। সঙ্গত কারণে স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গেল। স্ট্যাটিউট তৈরি না হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় গুলিতে ইউজি, পিজি কোনো কাউন্সিলই নিয়ম মেনে তৈরি হয়নি। সবটাই চলছে অ্যাডহক ভিত্তিতে। সিনেট/সিন্ডিকেট বা কোর্ট/কাউন্সিলও বস্তুত তাই। ফলে সিলেকশন কমিটিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিত্ব কার্যত শাসক দলের প্রতিনিধিত্ব হয়ে দাঁড়ালো। সম্প্রতি ইউজিসির চাপে পড়ে রাজ্য সরকার অর্ডিন্যান্স জারি করে উপাচার্য নিয়োগের ক্ষেত্রে পাঁচজনের সার্চ কমিটি তৈরি করার কথা বলেছে। সরকারের প্রতিনিধি, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি ছাড়াও মুখ্যমন্ত্রীর একজন প্রতিনিধি এই সার্চ কমিটিতে থাকবেন বলা হয়েছে। এছাড়া থাকবেন আচার্য ও ইউজিসির প্রতিনিধি। অর্থাৎ হিসেব করে ৩:২ অনুপাতে নিজেদের দখলদারি সুনিশ্চিত করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী আচার্য হলে এই অনুপাত গিয়ে দাঁড়াবে ৪:১ এ। ব্যস, আরকি চাই!!
২০১৮ সালে ইউজিসির নতুন রেগুলেশন আসার পর তাদের প্রতিনিধি বাদ দিয়ে উপাচার্য নির্বাচনের প্রক্রিয়া চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ল। কলকাতা সহ একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমান উপাচার্যের মেয়াদ বেআইনিভাবে বাড়াতে গিয়ে আদালতের বাধার মুখে পড়ল তৃণমূল কংগ্রেস। জগদীপ ধনকড় রাজ্যপাল হিসেবে আটকে দিলেন একের পর এক উপাচার্য নিয়োগের ফাইল। আটকে গেল মুখ্যমন্ত্রীর বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য হবার ফাইলও। শিক্ষা দপ্তর শাসক দলের নিয়ন্ত্রণ যাতে বাধা প্রাপ্ত না হয় তার জন্য কোনো ঝুঁকি না নিয়ে একের পর এক পার্ট টাইম উপাচার্য নিযুক্ত করতে শুরু করল। নতুন রাজ্যপাল দায়িত্ব নেওয়ার পর, আচার্য হওয়ার আকাঙ্ক্ষায় তার হাতে খড়ি দিলেন মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং। মনে হলো বিল পাশ হয়ে বেরোলো রাজভবন থেকে! তবে ভবি ভুলবার নয়। রাজ্যপালের পদে নিয়োগ এখন আড়াল থেকে পুরোটাই নিয়ন্ত্রণ করে সঙ্ঘ পরিবার, তাদের দীর্ঘমেয়াদী হিন্দুত্ব ও হিন্দু রাষ্ট্র গঠনের লক্ষ্যে। বর্তমান রাজ্যপালের নিয়োগও তার বাইরে নয়। তিনি দায়িত্ব নেওয়ার পর একের পর এক বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিদর্শনের নামে উপস্থিত হয়ে শিক্ষক শিক্ষাকর্মীদের জড়ো করে শিক্ষা স্বার্থ বিরোধী নয়া শিক্ষা নীতির প্রচারকের দায়িত্ব পালন করতে শুরু করলেন, যা দেশের অন্যত্র করছে সঙ্ঘ প্রচারকের দল। পণ্ডিত সিভি আনন্দ অর্থাৎ রাজ্যপাল মশাইয়ের একবারও মনে হলো না, এ রাজ্যের যারা প্রকৃত প্রথিতযশা শিক্ষাবিদ, বা শিক্ষা সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের ডেকে নয়া শিক্ষা নীতির বিষয়ে তাদের মতামত জানাটাও সমান জরুরি। যুক্তরাষ্ট্রীয় গণতন্ত্রের বাধ্যবাধকতা না মেনে একতরফা কোনও কিছু চাপিয়ে দিলে তার ফল ভালো হয় না বরং বিপদ বাড়ে। কর্পোরেট মালিকরা লাভবান হলেও চরম ক্ষতিগ্রস্ত হয় বর্তমান প্রজন্মের ছাত্রছাত্রীরা।
তাই শিক্ষাক্ষেত্রকে বাঁচানো ও কলুষমুক্ত করার তাগিদে রাজ্যপাল ও রাজ্য সরকারের এই সংঘাত দ্রুত বন্ধ হওয়া জরুরি। ইদানিংকালে ইউজিসির একের পর এক ফরমান দেখলে বোঝা যায়, এখন ইউজিসি ও পরিচালনা করে সঙ্ঘ পরিবার। দেশজুড়ে হিন্দুত্বের কর্মসূচি কার্যকর করা শুরু হয়েছে পাঠ্যসূচির ভয়ঙ্কর সব অবৈজ্ঞানিক ও মধ্যযুগীয় বদলের মধ্যে দিয়ে। তাই ইউজিসির গাইডলাইন মেনে উপাচার্য নিয়োগ কতটা স্বাস্থ্যকর হবে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই পারে। ২০১৮’র গাইডলাইনে ইউজিসি বলেছে, উপাচার্য নিয়োগের ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনও প্রতিনিধি যেন না থাকে। এই পরামর্শ অত্যন্ত বিপদজনক। বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বার্থ সুরক্ষিত করবার দায় যাঁদের উপর বর্তায়, তাদের কোনো প্রতিনিধি উপাচার্য নিয়োগের সার্চ কমিটিতে থাকবেন না, এটা মানা যায় না। ইউজিসির রেগুলেশনের সীমাবদ্ধতা উল্লেখ করছি মানে এই নয় যে, শাসক দলের স্তাবকদের উপাচার্য পদে বসিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলির দখল নেওয়া যুক্তিযুক্ত কাজ।
আমরা মনে করি, বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য হওয়া উচিত বিতর্কের ঊর্ধ্বে থাকা বিশিষ্ট কোনও শিক্ষাবিদের, তাঁর সঙ্গে শাসক দলের মতে মিল ঘটুক ছাই নাই ঘটুক। একইভাবে উপাচার্যের নিয়োগ হোক গণতান্ত্রিক রীতিনীতি মেনে শিক্ষা ও গবেষণার কাজে যুক্ত বিশিষ্ট মানুষদের মধ্য থেকে। সর্বোপরি যত দ্রুত সম্ভব উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রশাসন গুলিতে ছাত্র-শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীদের গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নির্বাচিত প্রতিনিধিত্ব সুনিশ্চিত করতে হবে। এই একটি কাজ সদিচ্ছার সঙ্গে সম্পন্ন করতে পারলে বাকি সমস্যার মোকাবিলায় শুভবুদ্ধির সম্মিলন ঘটানো সম্ভব। ভুললে চলবে না, শিক্ষা বাঁচলে দেশ বাঁচে। তৃণমূল-বিজেপির এই লড়াইয়ের নামে কানামাছি খেলায় নিছক প্রতিক্রিয়াহীন দর্শক হয়ে থাকলে আগামী প্রজন্ম আমাদের ক্ষমা করবে না। শিক্ষা বাঁচাতে শিক্ষার স্বার্থের সঙ্গে যুক্ত সব অংশের মানুষের সঙ্গবদ্ধ প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ আন্দোলন গড়ে তোলা জরুরি।
Comments :0