CPI(M) young candidate

ভরা ক্লাসঘর, প্রকল্পের সুবিধা সবাইকে দিতে কাজ করতে চান মৈত্রী, নন্দদুলালরা

রাজ্য জেলা পঞ্চায়েত ২০২৩

প্রতীম দে, কাকদ্বীপ

‘‘কাকদ্বীপের মানুষ যদি আমায় সমর্থন করে তবে আমার প্রথম লক্ষ হবে আর্থিক ভাবে পিছিয়ে থাকা পরিবারের ছেলে মেয়ের স্কুলের আঙিনায় নিয়ে আসা। তারা যাতে লেখা পড়া করতে পারে সেই দিক নিশ্চিত করা।’’ কাকদ্বীপের কিষান মজদুর ভবনের সামনে দাঁড়িয়ে একথা বললেন মৈত্রী ভুঁইঞা। কাকদ্বীপ ব্লকের সুভাষনগর দ্বিতীয় খেরী বুথের সিপিআই(এম) প্রার্থী মৈত্রী। কলেজ পড়ুয়া মৈত্রী ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত। এসএফআইয়ের রাজ্য কমিটির সদস্য। 


গত বছর জেলে পাড়ার ছেলে মেয়েদের থেকে সরকারের নির্ধারিত ফি’র বেশি টাকা যখন গ্রামের প্রাথমিক স্কুলে নেওয়া হচ্ছিল তখন তার প্রতিবাদ করেছিলেন মৈত্রীরা। অভিভাবক পড়ুয়াদের নিয়ে আন্দোলন করেছিলেন ফি কমানোর দাবিতে। তাদের আন্দোলনের চাপে স্কুল কর্তৃপক্ষ বাধ্য হয়েছিল ফি কমাতে। 
প্রচারে যাচ্ছেন তিনি। মানুষের সঙ্গে কথা বলছেন। তাঁদের কথা শুনছেন। নিজের মতো করে বলছেন নির্বাচনে জয়ী হলে কি করবেন। গণশক্তি ডিজিটালের পক্ষ থেকে যখন মৈত্রীর সাথে কথা বলা হচ্ছে তখন তাঁর প্রচার কিছুক্ষণ আগেই শেষ হয়েছে। 


মৈত্রীর কাছে যখন জানতে চাওয়া হয় যে প্রচারে কোন কোন বিষয় সে সব থেকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে তখন সে বলে, ‘‘দুর্নীতি মুক্ত পঞ্চায়েত মানুষকে উপহার দেওয়াটা আমাদের প্রচারের মূল বিষয়। কিন্তু এর সঙ্গে সঙ্গে শাসক দলের যে বিভিন্ন দুর্নীতি গ্রামীণ এলাকার স্কুল গুলিকে কেন্দ্র করে সেই বিষয়ও আমরা তুলে ধরছি।’’ 
মৈত্রী বলছেন, ‘‘মিড ডে মিলের চাল, ডাল চুরি হচ্ছে। তৃণমূলের মদতে চলছে এসব।’’ মিড ডে মিল পঞ্চায়েতের যে বিষয় নয় তা জানে মৈত্রী। তিনি বলেন, ‘‘মিড ডে মিল পঞ্চায়েতের বিষয় নয় জানি। কিন্তু এই যে চুরি তাকে তো বন্ধ করতে পারি।’’


মৈত্রীর মতো কাকদ্বীপ ব্লকে পঞ্চায়েত নির্বাচনে সিপিআই(এম) প্রার্থী হয়েছেন নন্দদুলাল দাস। বিপণন কর্মী নন্দদুলাল দাস। তাঁর লক্ষ যুবদের জন্য কিছু কাজ করার। তিনি বলেন, ‘‘যখন বামফ্রন্ট সরকার ছিল তখন বেকার যুবকদের ঋণ দেওয়া হতো পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে। সেই টাকায় অনেকে ছোট ছোট দোকান, ব্যবসা শুরু করতেন। নিজের পায়ে দাঁড়াতে। কিন্তু তৃণমূল সরকার আসার পর থেকে সব কিছু বন্ধ হয়ে গিয়েছে।’’


নন্দদুলাল বলছেন, ‘‘গ্রামের সবাই লক্ষ্মীর ভান্ডার বা বার্ধক্য ভাতা পাচ্ছে না। পানীয় জলের সমস্যা ব্যাপক। দুর্নীতি তো আছে। কিন্তু তার সঙ্গে দেখা যাচ্ছে যে যাঁদের সরকারি প্রকল্প গুলির সুবিধা পাওয়া দরকার তারা তা পাচ্ছেন না। যেমন লক্ষ্মীর ভান্ডার তৃণমূল যাঁরা করেন কেবল তাঁরা পাচ্ছেন। আমাদের কথা হলো সবাই যাতে প্রকল্পের সুবিধা পায় তা আমরা সুনিশ্চিত করব।’’ 
এলাকায় জলের কল বসলেও তাতে জল পড়ে না। সেই জলের সমস্যা মেটাতে চান নন্দদুলাল দাস।

Comments :0

Login to leave a comment