Chupi Pakhiralaya

পরিযায়ী পাখিদের ভিড় নেই পূর্বস্থলীতে, হতাশ পর্যটকরা

রাজ্য জেলা

কচুরিপানায় ভরা চুপি পাখিরালয় - ছবি ‌আলেক শেখ।

শীতের আমেজ পড়তে শুরু করেছে। বহু মানুষই এই শীতের মরশুমে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে যান। কলকাতার কাছেই রয়েছে ছুটি কাটানোর মনপসন্দ ঠিকানা। অনেকেই একদিনের ছুটিতে ঘুরতে যান পূর্ব বর্ধমান জেলার পূর্বস্থলীর চুপি পাখিরালয়। শীতের মরশুমে গ্রামের বিশাল ছাড়িগঙ্গা জলাশয়ের ধারে পরিযায়ী পাখির দল আসে। শান্ত নিরিবিলি সবুজে ঘেরা গ্রামীণ পরিবেশে অনেকেই একদিনের ছুটিতে ঘুরতে চলে যান পূর্বস্থলীর এই চুপি গ্রামে।
কিন্তু পূর্বস্থলীর চুপি পাখিরালয়ের পরিযায়ী পাখি দেখতে এসে হতাশ হচ্ছেন পর্যটকরা। কারণ যে ছাড়ি গঙ্গায় পাখিরালয় গড়ে উঠেছ, তা কচুরিপানায় ভরে উঠেছে। ফলে ছাড়ি গঙ্গায় আর পাখি বসতে পারছে না।  তাই বাইরে থেকে আসা পর্যটকদের ছাড়ি গঙ্গায় কচুরিপানা দেখে বাড়ি ফিরতে হচ্ছে। অথচ চুপি পাখিরালয় গড়ে ওঠার পর পর্যটকদের কাছে খুবই আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে। কারণ পূর্বস্থলীর ইতিহাস ছুঁয়ে দেখা ও চুপি পাখিরালয়ে পরিযায়ী পাখি দেখার উপযুক্ত স্থান হয়ে ওঠে। কিন্তু এখানে কচুরিপানায় ভরার আগে ছাড়ি গঙ্গার দুই মুখ চর পড়ে জলের স্বাভাবিক স্রোত বন্ধ হয়ে যায়। তাই চুপি পাখিরালয়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট মানুষজন এবং পর্যটকদের থেকে দাবি ওঠে এ ব্যাপারে যথাযথ প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়ার। কিন্তু এ ব্যাপারে কেউ কর্ণপাত করেনি বলে অভিযোগ। যার ফলে শীত পড়তে শুরু করলেও পরিযায়ী পাখিদের ভিড় নেই। অন্যদিকে পাখি প্রেমিকদেরও আনাগোনাও শুরু হয়ে গেলেও তারা বিমুখ হয়ে বাড়ি ফিরছেন।  অথচ বামফ্রন্ট সরকারের আমলে প্রতিষ্ঠিত এই পাখিরালয়কেই কেন্দ্র করে ৮০ খানা ডিঙি নৌকার মাঝি মাল্লার কর্মসংস্থান হয়। গড়ে উঠেছে হোটেল রেস্টুরেন্ট আরও অনেক কিছু। তাদেরও সামনে এখন কাজ হারানোর ভ্রুকুটি। স্থানীয়দের বক্তব্য, যথাশীঘ্র চুপি পাখিরালয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া প্রজন। ছাড়ি গঙ্গায় ড্রেজিং করা ও কচুরিপানা পরিষ্কার করা জরুরী। এ ব্যাপারে প্রশাসনের কোন কর্মকর্তা মুখ খুলতে চাননি।

 

Comments :0

Login to leave a comment