EAST BENGAL

কোস্টারিকার জাতীয় দলে খেলা স্ট্রাইকারকে সই করাল ইস্টবেঙ্গল

খেলা

EAST BENGAL INTER KASHI HYDERABAD FC ISL CHENNAIYIN FC I LEAGUE KOLKATA FOOTBALL BENGALI NEWS FELICIO BROWN

চীন-জার্মানি-কোস্টারিকা।জাভিয়ের সিভেরিও’র বদলি আনতে তিন মহাদেশকে মেলানোর ফর্মুলা খুঁজল ইস্টবেঙ্গলকে। 

ক্লাবের তরফে বৃহস্পতিবার আনুষ্ঠানিক ভাবে জানানো হয়েছে, স্ট্রাইকার হিসেবে দলে যোগ  দিয়েছেন ফিফা ক্রমতালিকার ৫২ নম্বর স্থানে থাকা কোস্টারিকার জাতীয় দলের স্ট্রাইকার ফেলিসিও ব্রাউন ফোর্বস। তিনি বর্তমানে চীনে ক্লাব ফুটবল খেলছিলেন। 

জন্মসূত্রে কোস্টারিকান হলেও জার্মানির রাজধানী বার্লিন শহরে জন্ম ফেলিসিও’র। জার্মানির বয়সভিত্তিক দলের সদস্যও ছিলেন। কিন্তু জার্মান জাতীয় দলে সুযোগ না পেয়ে বেছে নেন কোস্টারিকার জার্সিকে। ২০১৪ সালে প্রথম জাতীয় দলের হয়ে মাঠে নামেন। এখনও অবধি কোস্টারিকার হয়ে ৫টি ম্যাচ খেলেছেন ফেলিসিও। 

ইস্টবেঙ্গলে আসার আগে চাইনিজ প্রিমিয়ার লিগের কুইংডাও হাইনিউ ক্লাবের নিয়মিত সদস্য ছিলেন ফেলিসিও। ২১ ম্যাচে ৭গোল রয়েছে তাঁর নামের পাশে। ২০২২ মরশুমে তিনি চাইনিজ সুপার কাপের অন্যতম দল উহান ইয়াংজি রিভারের হয়ে ৩১ ম্যাচে ১২ গোলে করেন। 

চীনে আসার আগে রাশিয়া এবং পোল্যান্ডের একাধিক প্রথম সারির ক্লাবে, যেমন রস্তভ, ক্রিলিয়া সোভেতভ, কোরোনা কিয়েল্চ, রাকোও জেসটোচোয়া ক্লাবে খেলেন ফেলিসিও। 

ফুটবল জীবনের শুরুতে নুরেমবার্গ, ফ্রাঙ্কফুর্টের রিজার্ভ দলের সদস্য ছিলেন তিনি। 

ফুটবল শৈলী অনুযায়ী, দীর্ঘদেহী ফেলিসিও দুই পায়ে শট নিতে পারেন। ডজ এবং টার্নিংয়ের ক্ষমতাও তাঁর রয়েছে। একইসঙ্গে হেডে গোল করতে এবং ফাইনাল থার্ডে গোলের পাস বাড়াতেও সমান ভাবে সাবলীল ফেলিসিও। 

ইস্টবেঙ্গল ক্লাব সূত্রে খবর, ফেলিসিও’কে সই করানোর ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রয়েছে দলের কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাতের। মূলত তাঁর ইচ্ছাতেই ক্লাবে আসছেন কোস্টারিকার এই ফুটবলারটি।  

লাল হলুদ ম্যানেজমেন্টের বক্তব্য, ক্লেইটন সিলভা’কে সাহায্য করার জন্য হায়দরাবাদ থেকে সিভেরিওকে দলে নেওয়া হয়েছিল। মরশুমের শুরুতে ক্লেইটন অফ ফর্মে ছিলেন। তখনও সিভেরিও ছন্দ খুঁজে পাননি। পরবর্তীকালে ক্লেইটন দুরন্ত ছন্দে ফিরলেও ফর্ম হাতড়াতে দেখা গিয়েছে সিভেরিওকে। তাই তাঁকে ছেঁটে ফেলে বিকল্প খুঁজতে নামা হয়েছিল। তখনই উঠে আসে ফেলিসিও’র নাম। 

 

 

Comments :0

Login to leave a comment