KASHMIR ELECTION

বাধা-কারচুপির গুরুতর অভিযোগ কাশ্মীরে, পোস্ট কমিশনের

জাতীয় লোকসভা ২০২৪

সিপিআই(এম) নেতা মহম্মদ ইউসুফ তারিগামিও জানিয়েছেন প্রতিবাদ।

জনতাকে ভয় দেখাচ্ছে প্রশাসন। ভোট দিতে না বেরনোর জন্য যা যা করা দরকার সব করা হচ্ছে। বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক কর্মীদের থানায় ডেকে এনে হেনস্তা করা হচ্ছে। কারচুপি করে বিরোধীদের হারিয়ে দেওয়া হচ্ছে জম্মু ও কাশ্মীরে। 
চতুর্থ দফা ভোটের আগেই জম্মু ও কাশ্মীরে এমনই গুরুতর অভিযোগ তুললেন বিরোধীরা। অভিযোগ ছড়িয়ে পড়তেই নির্বাচন কমিশনকে বক্তব্য পেশ করতে হলো রবিবার। 
রবিবার কমিশন বলল, ‘‘সোশাল মিডিয়ায় বেশ কিছু অভিযোগ তোলা হয়েছে। রাজনৈতিক কর্মীদের ভয় দেখানোর অভিযোগও জানানো হয়েছে। ১৪৪ ধারা জারি নিয়েও অসন্তোষ জানানো হয়েছে। কমিশন বিষয়টি বিবেচনায় রাখছে।’’
কমিশনের দাবি, রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে কথা বলছেন। বিধি অনুযায়ী ১৪৪ ধারা জারি হয়েছে। 
অভিযোগের গুরুত্ব বুঝিয়েছে এদিন সিপিআই(এম) কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এবং পূর্বতন রাজ্যের বিধায়ক মহম্মদ ইউসুফ তারিগামির পোস্ট। তিনি লিখেছেন, ‘‘রেবান জৈনপুরায় সভা ছিল। আমাকে যেতে দেওয়া হয়নি। রাজনৈতিক কর্মীদের যেখানে সেখানে ডেকে নিয়ে আটক করার বহু খবর আসছে। আমরা উদ্বিগ্ন। নির্বাচনে কারচুপি করার সন্দেহ গভীর হচ্ছে।’’
তারিগামির বক্তব্যের সঙ্গে মিলে গিয়েছে পিডিপি নেত্রী মেহবুবা মুফতি এবং ন্যাশনাল কনফারেন্স সভাপতি ফারুক আবদুল্লার অভিযোগ। দুই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীই জানিয়েছেন যে দলের কর্মীদের ডেকে নিয়ে হেনস্তা করছে প্রশাসন। তাদের এলাকায় থাকতে দেওয়া হচ্ছে না। 
আবদুল্লার মন্তব্য, ‘‘কেন্দ্রের পাঠানো উপরাজ্যপালকে বলছি, আমাদের হেনস্তা করবেন না। আপনারা ভাবছেন এভাবেই জিতবেন। আপনারা হেরে যাবেন।’’
দীর্ঘ অভিযোগ করেছেন মেহবুবা মুফতি। তিনি বলেছেন, ‘‘মানুষকেও ভয় দেখানো হচ্ছে। যাতে তাঁরা ভোট দিতে না বের হন। অনন্তনাগ সংসদীয় আসনের মধ্যে পুলওয়ামা এবং জম্মুর পুঞ্চে বহু কর্মীকে আটক করা হয়েছে।’’
জম্মু ও কাশ্মীরের শ্রীনগরে ভোট চতুর্থ দফায়। পাঁচ লোকসভা আসনে পাঁচ দফায় ভোট নিচ্ছে কমিশন। প্রথম দুই দফায় উধমপুর ও জম্মু কেন্দ্রে ভোট নেওয়া হয়ে গিয়েছে। দেশের চতুর্থ দফা এবং এই কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলে তৃতীয় দফায় ভোট শ্রীনগরে। এরপর ২০ মে বারামুল্লা ও ২৫ মে অনন্তনাগ-রাজৌরি কেন্দ্রে ভোট নেওয়া হবে। 
শনিবারই কমিশনের সঙ্গে দেখা করতে যায় ‘ইন্ডিয়া’ মঞ্চের প্রতিনিধিদল। তার মধ্যে ছিলেন সিপিআই(এম) পলিট ব্যুরো সদস্য নীলোৎপল বসুও। তিনি রবিবার ভিডিও বার্তায় জানান যে কমিশনকে ভোট সংক্রান্ত তথ্য সময়ে প্রকাশ করার দাবি জানানো হয়েছে। কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে ভোট প্রক্রিয়ায় সংশয় জানালে কমিশন চিঠি পাঠাচ্ছে। অথচ কমিশনকে চিঠি পাঠিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বিদ্বেষভাষণের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বললে নিষ্ক্রিয় থাকছে। সংবিধানের নির্দেশ অনুযায়ী নিজের দায়িত্ব পালন করছে না কমিশন।

Comments :0

Login to leave a comment