সুত্রের খবর দুর্নীতিকে প্রশ্রয় না দেওয়ার কারণে বিদ্যালয়ের পরিচালন সমিতির বহিরাগত সদস্যগণের সঙ্গে তাঁর মাঝে মধ্যে সমস্যা তৈরি হতো। বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পকে কেন্দ্র করে পরিচালন সমিতির সদস্যদের বিরুদ্ধে দূর্নীতির অভিযোগ সামনে আসতে থাকে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই স্কুলের একজন শিক্ষিকা জানিয়েছেন যে, ‘দূর্নীতির বিরুদ্ধে সরব হওয়ার কারণে মাঝে মধ্যে পরিচালন সমিতির সদস্যদের সাথে তাঁর ঝামেলা হতো। এমনকি পরিচালন সমিতির সদস্যদের কথায় কয়েকজন শিক্ষিকা তাঁকে বিভিন্ন কাজে অসহযোগীতা করতে শুরু করে।’
তিনি আরও যোগ করেন যে, ‘অকারণ আগে বাড়ি চলে যাওবা বা দেরিতে বিদ্যালয়ে আসা সহ অন্যান্য সুযোগ সুবিধা বন্ধ করার কথা বলে। সেকারণে সহশিক্ষিকাগণ তাঁর প্রতি বিরূপ হয়ে ওঠেন।’
শুক্রবারের ঘটনার জেরে তিনি মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়েন। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে কয়েকজন সহকর্মী স্থানীয় মুচিসা হাসপাতালে ভর্তি করেন। অসুস্থতা আরো বাড়ায় তাঁকে বেহালা বিদ্যাসাগর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে স্ক্যান করে তার মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ ধরা পড়ে। বর্তমানে তিনি ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে।
গণশক্তি ডিজিটালের পক্ষ থেকে রীতা সরকারের স্বামী কল্যাণ সরকারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘‘আমরা গোটা পরিবার মানসিক ভাবে খুবই বিপর্যস্ত। এখন কিছু বলতে পারছিনা। শুধু আসা রাখি আপনাদের শুভেচ্ছায় আমার স্ত্রী ভালো হয়ে উঠবেন।’’
এই প্রথম নয়। রাজ্যে তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই একের পর এক কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, স্কুলে শিক্ষক নিগ্রহের ঘটনা ঘটেছে। প্রতিটা ক্ষেত্রেই নাম জড়িয়েছে শাসক দলের বিভিন্ন সংগঠনের নেতা কর্মীদের।
Comments :0