West Bengal Radio club

হ্যামের সাহায্য বাড়ি ফিরতে পারলেন মুখ ও বধির এক ব্যাক্তি

রাজ্য

প্রতিবছর রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে গঙ্গাসাগরে আসেন বহু মানুষ। অনেকে ভীড়ের কারণে পরিবারের থেকে বা দলের থেকে আলাদাও হয়ে যান। আর হারিয়ে যাওয়া সেই সকল মানুষদের পরিবারের কাছে ফিরে যেতে সাহায্য করে ওয়েস্ট বেঙ্গল রেডিও ক্লাব বা হ্যাম রেডিও।

সাগর মেলা শেষ হওয়ার পর পরই বহু মানুষকে পরিবারের কাছে ফিরে যেতে সাহায্য করেছে হ্যাম।  

বৃহস্পতিবার হ্যামের সাহায্যে পরিবারের কাছে ফিরতে পারলেন ভেমুলা ভেঙ্কটস্বামী (৫৯)। মুখ ও বধির এই ব্যাক্তি অন্ধ্রপ্রদেশের খাম্মাম জেলার বাসিন্দা। এবারের সাগর মেলায় এসে তিনি হারিয়ে যান। পরিবারের সদস্যদের হারিয়ে দিশাহারা হয়ে পড়েছিলেন। ভয়ে খিদের জ্বালায় মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছিলেন। কথা না বলতে পারায় শুধুই কাঁদতেন। বিষয়টি যোগীরাজ শ্যামাচরণ সনাতন মিশন -এর এক আবাসিকের নজরে আসতেই ওই ব্যাক্তির থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করেন। যোগাযোগ করেন ওয়েস্ট বেঙ্গল রেডিও ক্লাব হ্যাম রেডিওর সদস্য দিবস মণ্ডল-এর সঙ্গে। খবর দেন কাকদ্বীপ থানাতেও। 

একজন মানুষ যিনি কথা বলতে পারেন না লিখতে পারেন না। ইঙ্গিতের মাধ্যমে বোঝানোর চেষ্টা করেন। মানুষটির কাছে দীর্ঘক্ষণ থেকে কিছু বোঝার চেষ্টা করেন হ্যাম রেডিও-র সদস্য পেশায় শিক্ষক দিবস মণ্ডল। সংগ্রহ করা কিছু তথ্য নিয়েই শুরু হয় হ্যামেদের খোঁজ "মিশন গঙ্গাসাগর"। বিষয়টাকে অতিরিক্ত গুরুত্ব দিয়ে কয়েকদিনের চেষ্টায় হ্যাম রেডিওর নিজস্ব নেটওয়ার্কের মাধ্যমে খোঁজ পান তাঁর বড় ছেলে ভেমুলা রামবাবু। এখানেও দেখা দেয় এক ভাষার সমস্যা। ওই ব্যাক্তির ছেলে তেলেগু ছাড়া অন্য কিছুই জানে না। অন্ধ্রপ্রদেশের হ্যাম সদস্যর সহায়তায় আমরা তাকে বোঝাতে সক্ষম হয় ওয়েস্ট বেঙ্গল রেডিও ক্লাবের সদস্যরা। জানা যায় গ্রামের কিছু মানুষের সঙ্গে গঙ্গাসাগরে এসে সাথীহারা হন ওই ব্যাক্তি। দুই ছেলে-বৌমা নাতি-নাতনিদের নিয়ে সংসার। ছেলে নাতি নাতনিদের ছবি দেখে কান্নায় আবেগে ভেঙে পড়েন বৃদ্ধ।

সুন্দরবন পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ( হেডকোয়ার্টার), কাকদ্বীপ মহকুমাশাসক, আইসি কাকদ্বীপ থানা, ও হ্যাম সদস্য দিবস মণ্ডল এর উপস্থিততে পরিবারের লোকেরা তাঁকে বাড়ি নিয়ে যায়। 

Comments :0

Login to leave a comment