4th phase Bardhaman

দুই বর্ধমানে সকাল থেকে জনতার ঢল বুথে

রাজ্য জেলা লোকসভা ২০২৪

মানকর মহড়া দেবী বাজাজ এফ পি স্কুল। দীর্ঘ সারি মহিলাদের।

দেবদাস ভট্টাচার্য ও শঙ্কর ঘোষাল
ভোট দিতে পারেননি পঞ্চায়েতে, পৌরসভায়। সকাল থেকেই দুই বর্ধমানে বুথে বুথে চলে এসেছেন বাসিন্দারা। সকাল থেকেই পড়েছে দীর্ঘ লাইন। তৎপর এবং সজাগ থেকেছেন বামপন্থী কর্মীরা। নিট ফল, দুপর পর্যন্ত মোটের ওপর বড় কোনও গোলমাল হয়নি বুথে।
এদিন যদিও বেশ কিছু বুথে ইভিএম খারাপ হওয়ায় ভোট গ্রহণ প্রক্রিয়া আটকে ছিল। বদলাতে হয়েছে ইভিএম। কোনও কোনও বুথে ভিভিপ্যাট যন্ত্রও খারাপ ছিল। বামফ্রন্ট এবং কংগ্রেস বারবারই নির্বাচন কমিশনের ওপর শান্তিতে এবং অবাধে ভোট প্রক্রিয়া চালানোর জন্য চাপ তৈরি করেছিল। সোমবার চতুর্থ দফায় দেখা গিয়েছে রাজ্যের পুলিশকে ভোটকেন্দ্রের বাইরে রাখা হয়েছে বেশিরভাগ বুথে। ভোটকেন্দ্রের মধ্যে মোতায়েন করা রয়েছে কেবল কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের।
আসানসোল কেন্দ্রে সব বিধানসভা পশ্চিম বর্ধমান জেলায়। বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্রের দু’টি বিধানসভাও এই জেলায়। দুর্গাপুরের এই দুই বিধানসভাতেও বেলা তিনটে পর্যন্ত বড় কোনও গোলমালের খবর নেই। এক-দুই জায়গায় উস্কানির চেষ্টা থাকলেও সজাগ ছিলেন সিপিআই(এম) কর্মীরা। কমিশনকে দ্রুত খবর দিয়ে হস্তক্ষেপ করার ব্যবস্থা করেন। ভোটকেন্দ্রে ভিড় পাতলা হওয়ার পর বিকেলের দিক থেকে কারচুপির আশঙ্কা যদিও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। পুলিশ কয়েক জায়গায়, মুখ্যত তৃণমূলের, জমায়েত হটিয়ে দিলেও, ফের দলবল জড়ো করার চেষ্টা রয়েছে।
পূর্ব বর্ধমান জেলায় বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্রের বাকি পাঁচ কেন্দ্র। সেই সঙ্গে রয়েছে পূর্ব বর্ধমান লোকসভা আসনটি। পুর্ব বর্ধমানের সিপিআই(এম) প্রার্থী নীরব খাঁ, বর্ধমান-দুর্গাপুরের প্রার্থী সুকৃতি ঘোষাল এবং আসানসোলের প্রার্থী জাহানার খান ভোর থেকেই তৎপর। যে কোনও সমস্যার কথা শুনলেই পৌঁছে যাচ্ছে। যোগাযোগ করছেন সংশ্লিষ্ট স্তরে। 
বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষকে ধাক্কাধাক্কি করার অভিযোগ রয়েছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। কয়েকজন সাংবাদিকও আহত হয়েছেন বলে শোনা গিয়েছে। মন্তেশ্বরের তুল্যা গ্রামে এই গন্ডগোলের আগে যদিও একেবারেই অন্য দৃশ্য নজরে এসেছে। মন্তেশ্বরেরই কুসুমগ্রামে আলিঙ্গনবদ্ধ ছিলেন দিলীপ ঘোষ এবং তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী কীর্তি আজাদ।    


বর্ধমানের হাটগোবিন্দপুরে সকাল থেকেই এমন উৎসাহের ছবি।

এদিন সকালে পূর্ব বর্ধমানে প্রথম এক দেড় ঘন্টাতেই প্রতি বুথে গড়ে আড়াইশো ভোট পড়ে। বেলা বারোটা নাগাদ এই সংখ্যা পৌঁছে যায় সাড়ে চারশোয়। যার অর্থ, বেলা বারোটার মধ্যে ৪৫ শতাংশ ভোট পড়ে গিয়েছে। যার প্রধান কারণ জনতার উৎসাহ এবং তৎপরতা। বেলা একটায় দুই বর্ধমানেই ভোটদানের হার ৫০ শতাংশ ছাড়িয়ে যায়। 
জামুড়িয়ায় তৃণমূল খোলা রাস্তায় ঘুগনির সঙ্গে হাঁড়িয়ার বন্দোবস্ত রেখেছিল। তবে ভোটকেন্দ্রের কাছাকাছি গোলমাল করতে পারেনি বিজেপি বা তৃণমূলের দুষ্কৃতী বাহিনী।

Comments :0

Login to leave a comment