কর্ণাটকের ব্যাডাগি বাজারকে এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ লঙ্কা বাজার বলা হয়ে থাকে। লঙ্কা মূলত ভারতের দক্ষিণী রাজ্যগুলিতে চাষ হয়। অন্ধ্রপ্রদেশ এবং তেলেঙ্গানা যৌথ ভাবে দেশের ৬০ শতাংশ লঙ্কা উৎপাদন করে। সেই তালিকার চতুর্থ স্থানে রয়েছে কর্ণাটক। ব্যাডাগি বাজারে স্থানীয় ডাব্বি এবং কাড্ডি প্রজাতির লঙ্কার বেচাকেনা চলে।
ব্যাডাগি বাজারের লঙ্কা ব্যবসায়ীরা জানাচ্ছেন, ঘটনার সূত্রপাত মার্চ মাসে। এক শ্রেণীর কোল্ড স্টোরেজ মালিক বিপুল পরিমাণে গুজরাটের লঙ্কা মজুদ করা শুরু করেছেন। তাঁরা ব্যাডাগি বাজারের ব্যবসায়ীদের এড়িয়ে সেই গুজরাটি লঙ্কা বিক্রি করছেন। ডাব্বি এবং কাড্ডি লঙ্কার তুলনায় গুজরাটের পুষ্পা প্রজাতির লঙ্কার দাম কম। তারফলে বাজার হারানোর আশঙ্কায় ভুগতে শুরু করেছেন ব্যাডাগি বাজারের ব্যবসায়ীরা।
রামান্না সুদাম্বি নামে এক লঙ্কা চাষী জানাচ্ছেন, ভাইরাসের আক্রমণে ডিসেম্বর এবং জানুয়ারি মাসে কাড্ডি এবং ডাব্বি প্রজাতির লঙ্কার ফলন মার খেয়েছে। সেই সুযোগে গুজরাটের লঙ্কায় বাজার ছেয়ে যাচ্ছে। দেশ বিদেশের ব্যবসায়ীরা ব্যাডাগি বাজারে আসেন কেবলমাত্র কাড্ডি এবং ডাব্বি লঙ্কার খোঁজে। স্থানীয় ফসলের জোরেই নিজস্ব পরিচিতি তৈরি হয়েছে এই বাজারের। সেই পরিচিতির জোরে স্থানীয় কৃষকরাও লাভবান হন। কিন্তু গুজরাটের লঙ্কার আগ্রাসনে পরিস্থিতি জটিল হয়ে উঠেছে।
ব্যাডাগি বাজারের ব্যবসায়ী এইচওয়াই সতীশের দাবি, ভাইরাসের আক্রমণে ফলন কম হয়েছে। কিন্তু বাজারে লঙ্কার চাহিদা কমেনি। তারফলে কাড্ডি এবং ডাব্বি লঙ্কার দাম ৮০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে গুজরাটের লঙ্কা বাজারের দখল নিতে চাইছে। সতীশ সহ কর্ণাটকের লঙ্কা ব্যবসায়ী এবং কৃষকদের আশঙ্কা, একবার বাজারের নিয়ন্ত্রণ হারালে ফের এঁটে ওঠা কঠিন। কর্ণাটক সরকারের কাছে তাঁদের আবেদন, এই ফসলের জোরে স্থানীয় অর্থনীতি টিকে রয়েছে। তাই স্থানীয় ব্যবসায়ী এবং কৃষকদের কথা ভেবে পদক্ষেপ গ্রহণ করুক সরকার।
কিন্তু ‘গুজরাট’র বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর সাহস কি দেখাতে পারবেন কর্ণাটকের বিজেপি মন্ত্রীসভা?
Comments :0