সম্প্রতি ১৩৪ নম্বর ওয়ার্ডে একটি বেআইনি নির্মান ভেঙে পড়ে, মৃত্যু হয় ১৩ জনের। ওই ওয়ার্ড কলকাতা কর্পোরেশনের ১৫ নম্বর বরোর মধ্যেই পড়ে। ঘটনার পর নিজেদের দিক থেকে দায় এড়ানোর জন্য ফিরহাদ হাকিম আঙুল তুলেছিলেন পৌরসভার আধিকারিকদের দিকে। কিন্তু এখন অন্য কথা শোনা যাচ্ছে মেয়রের মুখে।
ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘‘লোকাল কিছু প্রমোটার আমাদের ইঞ্জিনিয়ারদের হুমকি দিচ্ছে। গার্ডেনরিচের এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার আমাকে জানিয়েছেন তাঁর কাছে প্রাননাশের হুমকি আসছে।’’ তিনি আরও জানিয়েছেন ওই আধিকারিক থানায় এই বিষয় অভিযোগ জানিয়েছেন।
এর আগে ওখানকার সাব অ্যাসিট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ারকে নাদিয়াল থানা এলাকায় মারধর করা হয় বলে মেয়র নিজে স্বীকার করেছেন। মেয়র এই এলাকার বিধায়কও। সেই এলাকায় প্রাণনাশের হুমকির পরও কড়া ব্যবস্থা নেই কেন, উঠছে সেই প্রশ্ন। বেআইনি বহুতলের রমরমা তৃণমূলের মদতেই হচ্ছে, গার্ডেনরিচে বাড়ি ভেঙে পড়ার এই অভিযোগ তোলেন বাসিন্দারাই।
মেয়র জানিয়েছেন পৌরসভার পক্ষ থেকে একজন এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ারের নেতৃত্বে একটি টিম গঠন করা হবে। কোনও বেআইনি নির্মানের খবর তাঁদের কাছে এলে দল নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে সেই বাড়ি ভেঙে দেবে। সঙ্গে পুলিশ থাকবেও ফিরহাদ জানিয়েছেন।
কেন পৌরসভাকে এই ধরনের বিশেষ দল তৈরি করতে হচ্ছে? মেয়রের কথা অনুযায়ী, বিভিন্ন এলাকায় প্রোমোটাররা কর্পোরশনের কোনও কথা শুনছে না, তাদের কাজে বাধা দিচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট অংশের বক্তব্য, মেয়রের এই স্বীকারক্তি থেকে স্পষ্ট গোটা রাজ্য এবং কলকাতায় তৃণমূল শাসনে প্রশাসন দলদাসে পরিণত হয়েছে। যারা এই কথা মানছেন না তারা যে শাসক দলের ঘনিষ্ট এবং তাই তাদের বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ প্রশাসন নিচ্ছে না তাও বোঝা যাচ্ছে।
গত ১৭ মার্চ ১৩৪ নম্বর ওয়ার্ডে একটি অবৈধ নির্মীয়মান বাড়ি ভেঙে পড়ে। এই ঘটনায় ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। পৌরসভার আইন অমান্য করে বহুতল নির্মাণ হচ্ছিল। ঘিঞ্জি এলাকা, রাস্তা তিন ফুটের। তবুও সেখানে বহুতলের অনুমতি পাওয়া নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বছর দুয়েক আগে থেকে তৈরি হচ্ছিল এই বিল্ডিং। বেআইনি বহুতলে নির্মানের বিষয়ে মেয়র কি কিছুই জানতেন না, প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয় মানুষের একাংশ। তাদের দাবি, অবৈধ ভাবে আরও অনের বহুতল সেই এলাকায় নির্মাণ করা হয়েছে বিগত কয়েক বছর।
Comments :0