অসম্ভব চাপ। মানিয়ে নিতে না পেরে কোটায় বাড়ছে পড়ুয়াদের আত্মহত্যার সংখ্যা। এই অবস্থায় এনইইটি এবং জয়েন্টের মক টেস্ট স্থগিত রাখার নির্দেশ দিল স্থানীয় প্রশাসন।
প্রতিবছর দু লক্ষের বেশি ছাত্রছাত্রী ডাক্তারি এবং ইঞ্জিনিয়ারিং’র প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষাগুলির প্রস্তুতি নিতে রাজস্থানের কোটার কোচিং সেন্টারগুলিতে ভর্তি হয়। সাম্প্রতিক সময়ে কোটা থেকে একাধিক পড়ুয়ার আত্মহত্যার খবর মিলেছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার বাড়তি চাপ নিতে না পেরে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন তারা।
সরকারি ভাবে জানা গিয়েছে, চলতি বছরে এখনও অবধি ২২ জন পড়ুয়ার আত্মহত্যার খবর মিলেছে। বছরের হিসেবে এটাই সর্বাধিক। ২০২২ সালে আত্মহত্যা করেছিলেন ১৫ জন। রবিবার চার ঘন্টার ব্যবধানে নিজেদের জীবন শেষ করেন দুই পড়ুয়া। এরপরই নড়ে চড়ে বসে স্থানীয় প্রশাসন। কোচিং সেন্টারগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, নতুন নির্দেশিকার না আসা অবধি বন্ধ রাখতে হবে সমস্ত ধরনের রুটিন এবং মক টেস্ট।
কোটা প্রশাসন জানাচ্ছে, শহরের জওহর নগরে আত্মহত্যা করেন আবিষ্কার সাম্ভাজী কাসলে নামে ১৭ বছরের এক কিশোর। নিজের কোচিং ইনস্টিটিউটের ছয় তলা থেকে ঝাঁপ দেয় সে। পুলিশ সূত্রে খবর, এনইইটি’র মক টেস্টে খারাপ ফল হওয়ার পরেই এই সিদ্ধান্ত নেয় আবিষ্কার।
এই ঘটনা রবিবার বেলা ৩:১৫ নাগাদ ঘটে। এর চার ঘণ্টার মধ্যে নিজের ঘরের সিলিং ফ্যান থেকে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেন আদর্শ রাজ নামে ১৮ বছরের এক ছাত্র। সেও প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছিল বলে জানা গিয়েছে।
তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, কোচিং সেন্টারগুলির মক টেস্টের চাপ নিতে পারছেন না পড়ুয়ারা। রুটিন টেস্টগুলিতে কম নম্বর পাওয়ায় তাদের মনোবল ভেঙে পড়ছে। এই অবস্থায় কোন দিশা খুঁজে না পেয়ে অনেকেই আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছেন।
পরিস্থিতি সামলাতে কোটা জেলার কালেক্টর ওপি বানকার আগামী দু মাসের জন্য সমস্ত মক টেস্ট বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। একই সঙ্গে তিনি কোচিং সেন্টারগুলিকে পড়ুয়াদের মানসিক সহায়তা দেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছেন।
Comments :0