Post editorial

তৎপরতা বাড়ছে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদী শক্তির

উত্তর সম্পাদকীয়​

সায়ন চক্রবর্তী

পায়ে-কোমরে বেড়ি, হাতে কড়া নিয়ে আমেরিকায় ‘অনুপ্রবেশকারী’ ভারতীয়রা নামছেন মার্কিন সেনার সি-১৭ বিমান থেকে।
‘মেক আমেরিকা গ্রেট এগেইন’ কর্মসূচির সূচনার প্রাথমিক পর্যায় হলো, মার্কিন দেশে বসবাসকারী দুনিয়ার নানা দেশ থেকে জীবিকার সন্ধানে ও বাঁচার তাগিদে সে দেশে পৌঁছানো অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করে নিজের দেশে ফেরত পাঠানো। নবনির্বাচিত মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের হিসাবে অনুযায়ী প্রায় ১ কোটি অনুপ্রবেশকারী মার্কিন মুলুকে বর্তমান।
এখন কোনও দেশের বিমানবন্দরে আর এক দেশের সেনাবিমান নামবে, সেই দেশেরই নাগরিকদের কয়েদির মতো বেঁধে নামাবে—  এই বিষয়ে দেশের সম্মান, আত্মমর্যাদা বা সার্বভৌমত্বের অবমাননার প্রশ্ন উঠবে কি না, তা নিয়ে আপাতত ভারত সরকার নিশ্চুপ। কিন্তু প্রত্যুত্তর দিয়েছেন কলম্বিয়ার বামপন্থী রাষ্ট্রপ্রধান গুস্তাভো পেত্রো। নিজের দেশের নাগরিকদের সসম্মানে ফেরত আনার জন্য কলম্বিয়া সরকার বিমান পাঠাবে। প্রত্যুত্তর দিয়েছেন ভেনেজুয়েলার বামপন্থী রাষ্ট্রপতি নিকোলাস মাদুরোও।
সাধারণ মার্কিন বিমানের প্রথম শ্রেণির ভাড়ায় ভারত বা অন্য যে কোনও দেশেই এই স্থানান্তরের যা খরচ, তার প্রায় পাঁচ গুণ বেশি খরচ সেনাবিমান ব্যবহারে। আমেরিকান ইমিগ্রেশন কাউন্সিলের রিপোর্ট অনুযায়ী, এই প্রায় ১ কোটি ১০ লক্ষ মানুষকে প্রত্যন্তরের খরচ প্রায় ৩১৫ থেকে ৯৬৭ বিলিয়ন ডলার হতে চলেছে। সঙ্গে অনুপ্রবেশ ঠেকানোর জন্য আমেরিকার উত্তরে কানাডার সীমান্ত ও দক্ষিণে মেক্সিকো সীমান্তে নতুন করে সেনা মোতায়েন বাড়িয়ে দিয়ে এবং তারের জালের পাঁচিল দিয়ে ঘিরে ফেলার জন্য অতি তৎপরতার সঙ্গে ‘অনুপ্রবেশ জরুরি অবস্থা’ জারি করে মূল্যবৃদ্ধি, বেকারত্বের চরমে থাকা মার্কিন মুলুকে ট্রাম্প সরকারের হঠাৎ এই বিপুল ব্যয় বহনের কারণ কী?
২০২৪ সাল ছিল পৃথিবীতে সবচেয়ে বড় নির্বাচনী বছর। ইউরোপীয় ইউনিয়নের ২৭টি দেশ সহ প্রায় ৭৪টি দেশে সাধারণ নির্বাচন হলো গত বছর। চীন বাদে দুনিয়ার সমস্ত বড় অর্থনীতির দেশে নির্বাচন ছিল। পৃথিবীর মোট জনসংখ্যার প্রায় ৪৮ শতাংশ মানুষ ভোটের লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন। গোটা পৃথিবীর নিরিখে মূলত দারিদ্র, অসাম্য, বেকারত্ব, মূল্যবৃদ্ধি, শরণার্থী সমস্যা, পরিবেশ দূষণ ও জলবায়ুর পরিবর্তন ছিল নির্বাচনী বিষয়। 
উদার অর্থনীতির গত সাড়ে তিন দশকে লগ্নিপুঁজির ক্রমবর্ধমান দাপটে আজ বিশ্বের প্রায় ৩৫০ কোটি মানুষ দারিদ্রের কবলে। বিশ্ব ব্যাঙ্কের ২০২৪ সালের রিপোর্ট অনুযায়ী, বিশ্বের মোট জনসংখ্যার প্রায় ৯ শতাংশ (৭০ কোটি ১২ লক্ষ) মানুষ চরম দারিদ্র সীমায় বসবাস করছেন। একদিকে বিশ্বের ধনীতম ১০ শতাংশ মানুষের হাতে পৃথিবীর ৭৬ শতাংশ সম্পদের মালিকানা, অন্যদিকে দরিদ্রতম ৫০ শতাংশ মানুষের হাতে মাত্র ২ শতাংশ সম্পদের মালিকানা রয়েছে। উত্তরোত্তর এই দারিদ্র, বৈষম্য ও বৃহৎ পুঁজির মালিকদের হাতে সম্পদের বহর বাড়ছে। 
শরণার্থী বিষয়ক রাষ্ট্রসঙ্ঘের হাইকমিশনারের (ইউএনএইচআরসি) তরফে জানানো হয়েছে, ২০২৪ সালের মে মাস পর্যন্ত প্রায় ১২ কোটি মানুষ দুনিয়া জুড়ে শরণার্থীতে পরিণত হয়েছেন। জাতি-ধর্ম-বর্ণ ভিত্তিক নিপীড়ন, রাষ্ট্রীয় নীতি, সীমান্ত সংঘর্ষ, অভ্যন্তরীণ গোলমাল, যুদ্ধ, খরা, বন্যা প্রভৃতির কারণে দুনিয়া জুড়ে প্রকট হয়েছে এই শরণার্থী সমস্যা।
বিশ্ব উষ্ণায়ন, এল নিনোর প্রভাব, হিমবাহের বরফ গলে জলস্তর বৃদ্ধি ক্রমবর্ধমান হওয়ায় রাষ্ট্রসঙ্ঘের পক্ষ থেকে ২০১৫ সালে প্যারিসের বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলন থেকে এই লক্ষ্য নির্দিষ্ট করা হয়েছিল, প্রাথমিকভাবে পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমানো হবে ও শিল্প বিপ্লবের পূর্ববর্তী সময়ের তাপমাত্রা থেকে দেড় ডিগ্রি কম তাপমাত্রায় নিয়ে যাওয়া হবে। 
গত ২০ জানুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাব মার্কিন রাষ্ট্রপতির পদে শপথ গ্রহণের পরেই কার্যত আন্তর্জাতিক লগ্নি পুঁজির বাধ্য ছেলে নিজের সাম্রাজ্যবাদী অভিমুখ স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন। ট্রাম্প বলেছেন, আমেরিকার গ্রিনল্যান্ড চাই, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৫১তম প্রদেশ হয়ে যাওয়া উচিত কানাডার, পানামা ক্যানাল দখল করবে আমেরিকা। আরও আছে। তিনি চীনের কর্তৃত্ব বেশি হচ্ছে বলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা হু’র সঙ্গে আমেরিকার সম্পর্ক শেষ করে দিয়েছেন, প্যারিস জলবায়ু চুক্তি থেকে আমেরিকাকে সরিয়ে নিয়েছেন, চীন ছাড়াও মেক্সিকো ও কানাডার উপর বাড়তি শুল্ক চাপিয়েছেন এবং ভারত, রাশিয়া, ইরান সহ অন্যান্য দেশের সঙ্গে শুল্ক যুদ্ধ শুরু করার হুমকি দিয়েছেন।
উন্নয়নশীল দেশ চীন বাদে প্রথম বিশ্বের দেশগুলির মধ্যে আমেরিকাই সবচেয়ে বেশি গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণ করে। শপথ গ্রহণের পরেই প্যারিস জলবায়ু চুক্তি থেকে বেরিয়ে ট্রাম্প ঘোষণা করে দিলেন, জ্বালানি তেলের সর্বোচ্চ উত্তোলন হবে, ‘এনার্জি এমার্জেন্সি’জারি করে মার্কিন ভূখণ্ডের মাটির নিচে থাকা সমস্ত তেল ও গ্যাসের উত্তোলন সহ আলাস্কা বেসিনের তেল ও গ্যাস তোলার এগজিকিউটিভ অর্ডার দেন। নিজের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানেই তিনি ঘোষণা করে দেন যে, পৃথিবীর যেখানেই তেল ও গ্যাসের ভাণ্ডার মজুত আছে, তার সবটাই আমেরিকা প্রয়োজনে ব্যবহার করবে নিজেদের‘স্ট্র্যাটেজিক রিজার্ভার’পূরণ করার জন্য। ফলে ইঙ্গিত সুস্পষ্ট। 
দুনিয়া জুড়ে চলা অস্ত্র ব্যবসার ৪২ শতাংশে দখল তাদের, যুগ্মভাবে রাশিয়া ও ফ্রান্স ১১ শতাংশ বাজার নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে। প্রযুক্তি ব্যবসার বাজারে ৩৩ শতাংশ আমেরিকার দখলে, তেল ও গ্যাস বিক্রির বাজারের ৩৭ শতাংশ দখলে রেখেছে উত্তর আমেরিকা, যার মধ্যে কানাডাও আছে। গার্ডিয়ান পত্রিকার রিপোর্টে অনুসারে, গত নয় মাসে আমেরিকার তেল ও গ্যাস ব্যবসায়ীদের মোট সম্পদ নজিরবিহীনভাবে ১৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। সেই কারণেই ট্রাম্পের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের জন্য যে প্রায় ২৫ কোটি ডলার তোলা হয়েছিল, তার মধ্যে সাড়ে ৭ কোটি ডলারের কাছাকাছি দিয়েছে শুধু শেভরন সহ অন্যান্য মার্কিন তেল ব্যবসায়ী সংস্থাই। 
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ও তার পরবর্তী সময়ে দুনিয়া জুড়ে অস্ত্র ও খাদ্যশস্য নিয়ে ব্যবসায় এবং ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলির পুনর্নির্মাণ খাতে অর্থ লগ্নি করে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা, বিশ্ব ব্যাঙ্ক প্রভৃতি সংস্থার অছিলায় এবং পরবর্তীতে ন্যাটো গোষ্ঠী গঠন করে নিরাপত্তার বাহানায় দুনিয়া জুড়ে পুঁজিবাদী আগ্রাসন চালিয়ে পাউন্ড-স্টার্লিংয়ের বাজারের বদলে পৃথিবীর চালিকাশক্তি হিসাবে ডলারের একচেটিয়া আধিপত্য কায়েম করা হয়েছে। রুজভেল্ট, ট্রুম্যান থেকে শুরু করে নিক্সন, রেগন হয়ে দ্বিতীয়বারে ট্রাম্প—  কেউই এই একচেটিয়া সাম্রাজ্যবাদী আগ্রাসনের নীতি থেকে সরেননি। আর এখন যখন ব্রিকস’র অন্তর্ভুক্ত দেশগুলি বা লাতিন আমেরিকার ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ ও ব্যবসার জন্য মার্কিন ডলারের বিকল্প হিসাবে ‘ব্রিকস পে’ বা ‘সার’চালু করতে উদ্যোগী হচ্ছে, গত বছরের সেপ্টেম্বরে রাশিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ব্রিকস বৈঠকে পুতিনের ঘোষণা মতো ওপেকভুক্ত দেশ সহ নতুন প্রায় ৩৪টি দেশ ব্রিকস-এর অন্তর্ভুক্ত হতে চাইছে, আমেরিকার দক্ষিণ সীমানা বরাবর মেক্সিকোর বুকে বামপন্থী ক্লাউদিয়া শেনবামের সরকার মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের ঘাড়ের কাছে নিঃশ্বাস ফেলছে, তখন ট্রাম্প মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের এই নতুন অভিমুখ ঘোষণা করেছেন।
প্রযুক্তি ব্যবসায় চীন সদ্যই মার্কিন প্রযুক্তি দানবদের হৃদকম্পন বাড়িয়ে দিয়েছে বাজারে ‘ডিপসিক’নামে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মডেল নামিয়ে। এক ধাক্কায় পৃথিবীর ইতিহাসে নজিরবিহীনভাবে একদিনে এক ট্রিলিয়ন (এক লক্ষ কোটি) ডলারের ক্ষতি হয়েছে মার্কিন শেয়ার বাজারে। তার মধ্যে চিপ তৈরির কোম্পানি এনভিআইডিয়া’র একারই ক্ষতি হয়েছে প্রায় ৬০ হাজার কোটি ডলার। ওপেন এআই, গুগল, মেটা, মাইক্রোসফট, টেসলা-স্পেসএক্সের মতো মার্কিন বহুজাতিক প্রযুক্তি সংস্থার কর্ণধারদের ভিড়ে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানেই বিশ্বজুড়ে লগ্নিপুঁজির একচেটিয়া আগ্রাসন ও সাম্রাজ্যবাদী আধিপত্য কায়েমের যে স্বপ্ন ডোনাল্ড ট্রাম্প দেখছিলেন, তা মুখ থুবড়ে পড়েছে এই বিকল্প দিশার কাছে। 
নিজের দেশকে ‘গ্রেট’বানানোর স্বপ্ন দেখা কোনও রাষ্ট্রপ্রধানের অপরাধ নয়। কিন্তু সেই স্বপ্ন বাস্তবায়িত করতে এই বিশ্বের জল-জঙ্গল-জমি-আকাশ লুট করবে কর্পোরেট পুঁজির কিছু বৃহৎ শক্তি, দুনিয়া জুড়ে সাম্রাজ্যবাদী আধিপত্য বিস্তারের জন্য ন্যাটো গোষ্ঠীকে ব্যবহার করে একের পর এক দেশকে সামরিক-অর্থনৈতিক জাঁতাকলে পিষে পুতুল সরকার বসিয়ে মার্কিন স্বার্থসিদ্ধির ব্যবস্থা করা হবে, যুদ্ধ ব্যবসায় অস্ত্র বেচার জন্য দেশে দেশে সীমান্ত সংঘর্ষ বাঁধানো হবে, ভারতের সীমানা বরাবর মৌলবাদী শক্তিকে পুষ্ট করতে হবে, ইউক্রেনকে ব্যবহার করা হবে ইউরোপের পূর্ব দিকে ন্যাটোর প্রসারণ ঘটাতে, ইজরায়েলকে ব্যবহার করে দুনিয়ার মানচিত্র থেকে প্যালেস্তাইনকে মুছে দেওয়ার চেষ্টা হবে, মধ্যপ্রাচ্য জুড়ে অস্থিরতা বজায় রাখা হবে, সিরিয়া ও লিবিয়ায় গৃহযুদ্ধের পরিস্থিতি বজায় রাখা হবে—  এই পরিকল্পনার বিরুদ্ধে অবশ্যই বিকল্প ও বিরুদ্ধ শক্তিকে মাথা তুলে দাঁড়াতে হবে। 
ট্রাম্প জানেন, লগ্নিপুঁজির রাস্তা চওড়া করতে দখলে আনতে হবে পৃথিবীর সর্ববৃহৎ তেলের ভাণ্ডারে সমৃদ্ধ ভেনেজুয়েলাকে। প্রায় ৩০ হাজার কোটি ব্যারেল তেলের ভাণ্ডারে সমৃদ্ধ ভেনেজুয়েলার বামপন্থী সরকারকে তাই উৎখাত করতে হবে। তা ছাড়াও পৃথিবীর তৃতীয় বৃহত্তম তেলের ভাণ্ডার ন্যাটো’র সদস্য কানাডার কাছে থাকলেও সেই ১৭ হাজার ২০০ কোটি ব্যারেল তেলের মালিকানা চাই মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের। তাই কানাডাকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৫১তম প্রদেশে পরিণত করতে হবে। আবার রাশিয়া থেকে ভারতের কম দামে জ্বালানি তেল আমদানির পথ বন্ধ করতে ভারতকে শুল্ক চাপানোর হুমকি দিতে হবে, রাশিয়ার উপরেও নিষেধাজ্ঞার পাহাড় চাপাতে হবে। পাশাপাশি অতি দুর্লভ খনিজে সমৃদ্ধ গ্রিনল্যান্ডকে দখল করতে হবে। বেপরোয়া ভঙ্গিতে এই সব কথা বলে মার্কিন প্রশাসনের নতুন মাথা কার্যত গোটা দুনিয়ায় সামরিক-রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক অস্থিরতা তৈরি করতে প্রথম দিন থেকেই তৎপর হয়ে পড়েছেন। 
ফলে দুনিয়া জুড়ে সাম্রাজ্যবাদী আগ্রাসনের এই নয়া তৎপরতা ও মার্কিন ডলারের একচেটিয়া আধিপত্য ঠেকাতে বিশ্বের মুক্তিকামী মানুষের সামনে বিকল্প পথের সন্ধান দরকার, বিকল্প দিশা দেখানোর নীতি দরকার। আর এই বিকল্প নীতির সন্ধান একমাত্র দিতে পারে বামপন্থীরাই। তাই দুনিয়া জুড়ে সমাজতান্ত্রিক শক্তি, বামপন্থী, কমিউনিস্টদের প্রস্তুত হতে হবে এই পৃথিবীকে সবার বাসযোগ্য করে তোলা ও সমানাধিকার প্রতিষ্ঠা করার জন্য।

Comments :0

Login to leave a comment