স্থানীয় সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে আটটা নাগাদ পরপর ৭ শ্রমিক একটি ২৪ ফুট গভীর ভোজ্য তেলের ট্যাঙ্কে নামেন সেটিকে পরিষ্কার করতে। ট্যাঙ্কের ভিতরে দীর্ঘদিন ধরে জমে থাকা বিষাক্ত গ্যাসে তাঁরা অসুস্থ হয়ে পড়েন, এবং ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান। নিহতদের পরিবারের অভিযোগ, প্রয়োজনীয় সুরক্ষা সামগ্রী এবং সরঞ্জাম ছাড়াই ওই সাতজনকে ট্যাঙ্ককে নামিয়েছিল কারখানা কর্তৃপক্ষ। তারফলেই এই বিপর্যয়।
কাকিনাড়া জেলা পুলিশ জানিয়েছে, নিহতরা হলেন ভেচাঙ্গি কৃষ্ণা, ভেচাঙ্গি নরসিমহম, ভেচাঙ্গি সাগর, কারাথাডু বানজি বাবু, কার্রি রামারাও, প্রসাদ এবং কাট্টামুরি জগদীশ। নিহতদের মধ্যে ৫জন পাদেরুর বাসিন্দা। বাকি ২জনের বাড়ি পেড্ডাপুরমে।
এই ঘটনা সামনে আসতেই নড়েচড়ে বসে জেলা প্রশাসন। কাকিনাড়ার পুলিশ সুপার এম রবীন্দ্রনাথ বাবু জানান, কারখানা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কাকিনাড়ার জেলা কালেক্টর কৃথিকা শুক্লা জানিয়েছেন, কারখানার মালিক এবং বাকি আধিকারিকদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দন্ডবিধির ৩০৪এ ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। এই ঘটনায় কারখানা কর্তৃপক্ষের তরফে কোনও গাফিলতি ছিল কিনা তা খতিয়ে দেখতে এক চার সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। যুগ্ম কালেক্টর পদমর্যাদার এক আধিকারিকের নেতৃত্বে এই কমিটি তিনদিনের মধ্যে রিপোর্ট জমা দেবে।
এর পাশাপাশি নিহতদের পরিবার পিছু ২৫ লক্ষ টাকার ক্ষতিপূরণের ঘোষণা করেছে অন্ধ্রপ্রদেশ সরকার। একইসঙ্গে কারখানা কর্তৃপক্ষকেও মৃতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সরকারি ভাবে।
Comments :0