আবাস সমীক্ষার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে আশা কর্মী, অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের। কারচুপি ধরা পড়তেই তাঁদেরই হুমকির মুখে পড়তে হচ্ছে। আত্মঘাতে হতে হয়েছে স্বরূপনগরের রেবা বিশ্বাসকে। বাড়িতে আগুনও লাগানো হচ্ছে।
আশা কর্মী, অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী বা আইসিডিএস প্রকল্পের কর্মীদের বিপন্ন করার প্রতিবাদে শুক্রবার রাস্তা অবরোধ করল সারা ভারত গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতি। মৌলালি মোড়ের কাছে রাস্তা আটকালেন সংগঠনের কর্মীরা।
বলাগড়েরই বাকুলিয়া ধোবাপাড়ার আশা কর্মীকে হুমকি, ভয় দেখানোর অভিযোগ উঠেছে। অবসাদে ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন আশা কর্মী নমিতা দাস। আবাস প্লাসের সমীক্ষা করেছেন তিনি। গত সোমবার বিকালে তাঁর বাড়িতে চড়াও হয় গ্রামের একাংশ। আবাস প্লাসের তালিকা থেকে নাম বাদ যাওয়ার জন্য এই আশাকর্মীকেই দায়ী করেন এই অংশ। গ্রামের প্রধানও তাঁকেই দেখিয়ে দেন। এর আগে, ১৫ ডিসেম্বর, বলাগড়ের গুপ্তিপাড়ায় আশা কর্মী সরস্বতী দাসের বাড়িতে আগুন দেওয়া হয়েছিল।
আবাস প্লাস যোজনায় বিপুল কারচুপির অভিযোগ রাজ্যজুড়ে। চাপে পড়ে সমীক্ষায় নেমেছে রাজ্যের তৃণমূল সরকার। কিন্তু সমীক্ষায় নামানো হয়েছে অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী, আশাকর্মীদের। তাঁরাই হুমকির মুখে পড়ছেন। বামপন্থীরা বলছেন, দুর্নীতি ঢাকতে আশাকর্মী-অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের ঘাড়ে বন্দুক রাখছে রাজ্য। বিডিও স্তরের আধিকারিকদের দিয়ে সমীক্ষা হওয়া উচিত। না হলে সমীক্ষার মানে থাকে না। বিপন্ন করা হচ্ছে তাঁদের যাঁরা মা-শিশুদের স্বাস্থ্য, শিক্ষার কাজে নামমাত্র ভাতায় সারা বছর কাজ করে যান। তাঁদেরই বিপন্ন করছে তৃণমূল সরকার, যাঁদের কাজের সুরক্ষাও নেই।
Comments :0