পুলিশের বাধা ভেঙে বিক্ষোভে বসলেন গ্রেটার নয়ডার কৃষকরা। উত্তর প্রদেশের পরাক্রমশালী পুলিশকে এবারও পিছাতে হলো সারা ভারত কৃষক সভার নেতৃত্বে আন্দোলনের চাপে। ১১৯ দিন ধরে টানা অবস্থান বিক্ষোভে রয়েছেন জমির ক্ষতিপূরণের দাবিতে লড়াইয়ে নামা কৃষকরা।
গ্রেটার নয়ডা শিল্প উন্নয়ন অথরিটির দপ্তরের সামনে রাখা ব্যারিকেড ভেঙে বিক্ষোভে শামিল হয়েছেন কৃষকরা। কৃষকদের এই লড়াইয়ে পুরোদমে রয়েছেন শ্রমিক, ছাত্র, যুব, মহিলারা। মঙ্গলবার দপ্তরের গেটে তালা ঝুলিয়ে দেন কৃষকরা।
নয়ডা এবং গ্রেটার নয়ডা শিল্পাঞ্চলের জন্য দিল্লি লাগোয়া উত্তর প্রদেশের ১১৯টি গ্রামকে চিহ্নিত করা হয়েছিল ত্রিশ বছর আগে। বিভিন্ন দফায় চল্লিশের কিছু বেশি গ্রামকে অধিগ্রহণ করা হয়েছে। সম্প্রতি উত্তর প্রদেশের বিজেপি সরকারের পুলিশ আরও পঁয়ত্রিশটি গ্রাম অধিগ্রহণে নেমেছে। কিন্তু কৃষকদের ন্যায্য ক্ষতিপূরণ দেওয়া হচ্ছে না।
এর আগে এপ্রিল থেকে জুনে টানা গ্রেটার নয়ডা পৌর কর্তৃপক্ষের দপ্তরের সামনে বসে থেকেছেন কৃষকরা। ত্রিশের বেশি কৃষককে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে। কিন্তু যোগী আদিত্যনাথের পুলিশ এই আন্দোলন দমিয়ে রাখতে পারেনি। বরং যোগী সরকারকে আলোচনার জন্য কমিটি গড়তে হয়েছে। কিন্তু কৃষকসভা জানিয়েছে যে সরকারের তরফে টালবাহানা চলছে সমানে।
গোড়া থেকেই আন্দোলনের পাশে রয়েছে সিপিআই(এম)। মঙ্গলবার সিপিআই(এম) বলেছে, কৃষকদের দাবি শুনতে হবে। তাঁদের সঙ্গে আলোচনার চালিয়ে সমাধান সূত্র খুঁজতে হবে।
দিল্লি লাগোয়া উত্তর প্রদেশ ও হরিয়ানার বিভিন্ন এলাকা জুড়ে জাতীয় রাজধানী অঞ্চল করা রয়েছে। এখানে জমির দাম অত্যন্ত চড়া। কিন্তু শিল্প বা নগরায়নের প্রয়োজনে কৃষকদের থেকে জমি নেওয়ার সময় সরকারি স্তরে বারবার অত্যন্ত কম দাম দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। বহু পরিবার শেষ পর্যন্ত দূরের কোনও অঞ্চলে চলে যেতে বাধ্য হয়েছে। সঙ্গত ক্ষতিপূরণের দাবিতে গ্রেটার নয়ডার কৃষকদের লড়াইয়ে সংহতি জানিয়েছেন বহু অংশ।
Comments :0