বিহারে রাজনৈতিক দল গুলোর স্বেচ্ছা সেবী সংগঠনের মতো কাজ করা প্রয়োজন। ভোটার তালিকার বিশেষ বিশেষ সার্বিক সংশোধন বা এসআইআর সংক্রান্ত মামলায় বললো সুপ্রিম কোর্ট। এদিন শুনানিতে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী বলেন, ‘‘সুপ্রিম কোর্ট গোটা বিষয়ের ওপর নজর রাখছে। বিপুল সংখ্যায় নাম যদি বাদ যায় তাহলে সুপ্রিম কোর্ট তাতে হস্তক্ষেপ করবে।’’
কমিশনের পক্ষ থেকে আদালতে বলা হয়েছে প্রায় ৬৫ লক্ষ নাম তালিকা থেকে বাদ জাবে। তাদের কথায় যাদের নাম বাদ যাবে তার মধ্যে মৃত এবং অন্যত্র স্থানান্তরিত হওয়া ভোটারদের নাম আছে। কমিশনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যাদের নাম বাদ দেওয়া হচ্ছে তাদের একমাসের সময় দেওয়া হচ্ছে নাম তোলার জন্য। কমিশনের যুক্তি এই বিষয় রাজনৈতিক দল গুলোর সাহায্য করা উচিত ভোটারদের।
কমিশনের এই বক্তব্যের পরপরই বিচারপতি সূর্যকান্ত বলেন, ‘রাজনৈতিক দল গুলোর এই ক্ষেত্রে স্বেচ্ছা সেবী সংগঠন গুলোর মতো কাজ করা প্রয়োজন।’
সোমবার এক সংক্ষিপ্ত শুনানিতে আদালত জোর দিয়ে বলেছে যে ভোটার তালিকায় নাম যাচাই বা পুনঃযাচাই করার জন্য সাধারণভাবে ব্যবহৃত সরকারি পরিচয়পত্র, যেমন আধার ব্যবহার করতে হবে।
উল্লেখ্য নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে ভোটার তালিকায় নাম যাচাইয়ের জন্য ১১টি নথির কথা উল্লেখ করেছিল। যার মধ্যে আধার কার্ঢ ছিল না, যুক্তি এই ক্ষেত্রে জাল আধার কার্ড অনেকে ব্যবহার করতে পারে। শীর্ষ আদালর স্পষ্ট করে দিয়েছে শুধু আধার নয় কমিশনের বলা ১১টি নথিও জাল করে অনেকে তা ব্যবহার করতে পারে নাম যাচাইয়ের জন্য।
বিচারপতি সূর্যকান্ত বলেন, ‘‘সরকারি পরিচয় পত্রের গ্রহনযোগ্যতা আছে। আধার এবং ভোটার কার্ডকে মান্যতা দিতে হবে। বিশ্বের যে কোন নথি জাল করা যেতে পারে।’’
এদিনের শুনানিতেও শীর্ষ আদালতের ভোটার তালিকার বিশেষ নিবীর সমীক্ষার বাতিল করা যেই আবেদন তাকে খারিজ করে দিয়েছে।
গত ২৪ জুন বিহারে বিধানসভা ভোটের কয়েক মাস আগে নির্বাচন কমিশন ভোটার তালিকার বিশেষ সার্বিক সংশোধন বা এসআইআর এর শুরু করেছে। কমিশনের নোটিশে বলা হয়েছে ২০০৩ সালের পর থেকে ভোটার তালিকায় যাদের নাম নথিভুক্ত করা হয়েছে তাদের বাবা মায়ের জন্মশংসাপত্র পত্র একাধিক নথি জমা দিতে হবে। তার ভিত্তিতে তাদের নাম ভোটার তালিকায় থাকবে। বিরোধীদের দাবি কোন আলোচনা ছাড়াই নির্বাচন কমিশনে এই নির্দেশিকা জারি করেছে। তাদের দাবি ঘুর পথে এনআরসির কাজ করানো হচ্ছে নির্বাচন কমিশনকে দিয়ে। এই নির্দেশিকা নিয়ে ইতিমধ্যে সরব হয়েছে বিরোধী রাজনৈতিক দল গুলো। উল্লেখ্য প্রায় ২.৫ কোটি ভোটারের নাম বাদ যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। যেই যেই ভোটারদের থেকে এই সব নথি চাওয়া হয়েছে তাদের মধ্যে অনেকে পরিযায়ী শ্রমিক এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ।
Comments :0