Bangladesh's Universities

অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

আন্তর্জাতিক

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৮টি আবাসিক হলের পড়ুয়াদের বুধবার সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে হল ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম সিন্ডিকেটের জরুরি সভায় এদিন এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ উপাচর্য সীতেশ চন্দ্র বাছার সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘প্রথমে নিহত ও আহত পড়ুয়াদের প্রতি আমরা শোক ও সমবেদনা জানাই। একই সঙ্গে ছাত্রছাত্রীদের নিরাপত্তার স্বার্থে বুধবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকবে। পড়ুয়াদের এর আগেই হল ত্যাগের জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে।’’
এর আগে মঙ্গলবার অনির্দিষ্টকালের জন্য বাংলাদেশে সব ধরনের বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেল কলেজ বন্ধ ঘোষণা করে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন। মঙ্গলবার রাতে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সচিব ড. ফেরদৌস জামানের স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে জানা গেছে কোটা বিরোধী আন্দোলন এবং হিংসায় লাগাম দিতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, সরকারের সিদ্ধান্ত পড়ুয়াদের নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনায় রেখে বাংলাদেশের সব সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সহ অন্যান্য কলেজ পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। একইসঙ্গে পড়ুয়াদের নিরাপত্তার স্বার্থে আবাসিক হল ছেড়ে নিরাপদ স্থানে চলে যাওয়ার অনুরোধ করা হয়েছে। 
সরকারি চাকরিতে সংরক্ষণ ব্যবস্থা সংস্কারের দাবিকে কেন্দ্র করে ছড়িয়ে পড়া সংঘর্ষে অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশ। মঙ্গলবার রাজধানী ঢাকা সহ দেশের একাধিক শহরে ভয়াবহ হিংসায় অন্তত ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। হতাহতের আধিকাংশই পড়ুয়া।
সরকারি চাকরিতে সংরক্ষণ ব্যবস্থা সংস্কারের দাবিকে কেন্দ্র করে ছড়িয়ে পড়া সংঘর্ষে অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশ। মঙ্গলবার রাজধানী ঢাকা সহ দেশের একাধিক শহরে ভয়াবহ হিংসায় অন্তত ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। হতাহতের আধিকাংশই পড়ুয়া। 
গত দু’সপ্তাহ ধরে সরকারি চাকরিতে কোটা ব্যবস্থা সংস্কারের দাবিতে ছাত্রদের আন্দোলন চলছে। আন্দোলনকারীরা বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও রেলপথ ‘বাংলা ব্লকেড’নাম দিয়ে অবরোধ করে। কোটা বিরোধী ছাত্রদের গলায় ছিল ‘তুমি কে আমি কে, রাজাকার রাজাকার’এবং ‘চাইতে গেলাম অধিকার, হয়ে গেলাম রাজাকার’- এই ধরণের স্লোগান। আন্দোলনকারীদের একাংশ নিজেদের রাজাকার পরিচয় দেওয়ায় অনেকেই আবার উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। 
গত সোমবার থেকেই পরিস্থিতি উত্তাল হয়ে ওঠে। ঢাকার বিভিন্ন অংশে শাসক দল আওয়ামি লিগ সমর্থক ছাত্র লিগের কর্মীরা ‘বৈষম্যের বিরুদ্ধে ছাত্ররা’ স্লোগানকে সামনে রেখে বিক্ষোভরত কোটা বিরোধী ছাত্রদের সাথে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে ৩০০ বেশি ছাত্রছাত্রী রক্তাক্ত হন। অবস্থা সামলাতে পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনী টিয়ার গ্যাস ছোঁড়ে। মারমুখী ছাত্রদের ছাত্রভঙ্গ করতে লাঠি চালায়। ঢাকার কিছু এলাকায় রাতে গুলিও চলে। হয় ব্যাপক বোমাবাজিও। মঙ্গলবার শিক্ষা মন্ত্রক পরবর্তী নির্দেশ জারি না করা পর্যন্ত দেশজুড়ে স্কুল, কলেজ সহ সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার কথা ঘোষণা করেছে।

Comments :0

Login to leave a comment