বাংলাদেশ সীমান্তে ভারতীয় ভূখণ্ডের প্রায় ৯৭.২৮ একর জমি নথিভুক্তির দাবিতে সরব সীমান্তের বাসিন্দারা। নদীয়া জেলার হোগলবাড়িয়া থানার কাছারিপাড়া সীমান্ত এলাকার কৃষকদের পাশে দাঁড়াতে শনিবার এলাকায় যান সিপিআই(এম) জেলা নেতৃবৃন্দ।
স্থানীয়রা বলছেন, নদীয়া জেলার হোগলবাড়িয়া থানার কাছারিপাড়া সীমান্ত এলাকার ১৫৩/১১ এস থেকে ১৫৪/৬এস পিলার সংলগ্ন প্রায় ৯৮ একর জমি ভারতের হলেও সেই জমিতে কৃষকরা চাষ করতে যেতে পারছেন না। বাংলাদেশের বাসিন্দারা চাষ করছেন।
বিজেপি নিয়মিত বাংলাদেশ সীমান্ত নিয়েই উত্তেজনা তৈরি করতে ব্যস্ত। অথচ, কৃষকদের সমস্যা মাথায় রেখে নির্দিষ্ট প্রশাসনিক উদ্যোগ নেয়নি। সিপিআই(এম) নেতৃবৃন্দ বলেছেন যে বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে জানানো হবে।
সিপিআই(এম) করিমপুর-১ এরিয়া কমিটির সদস্য শংকর মণ্ডল বলেন "২০১৫ সালে দুই দেশের সীমানা পুনর্বিন্যাসের সময় আমাদের এলাকার মাথাভাঙা নদীর ওপারে বাংলাদেশের দখলে থাকা ১৩২৯.৩২ একর জমি বাংলাদেশকে দিয়ে দেয় ভারত। কিন্তু সেই চুক্তি অনুযায়ী মাথাভাঙা নদীর এপারে থাকা ৯৭.২৮ একর জমি ভারতের পক্ষে নথিভুক্ত করা হচ্ছে না। চুক্তি অনুযায়ী ওই জমি ভারতের হওয়ার কথা।’’
তিনি বলেন যে ১৯৯৬ সাল থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত পদ্মার ভাঙনে সীমান্তের প্রায় সাড়ে তিন হাজার একর জমি পদ্মার গর্ভে তলিয়ে যায়। পরবর্তীকালে নদীর গতি পরিবর্তন হয়ে সেখানে পলি পড়ে সেই জমি চর হিসাবে জেগে ওঠে। সেই জেগে ওঠা চর জমি ভারতে অন্তর্ভুক্তি করা নিয়েই কৃষকদের দাবি।
শনিবার সিপিআই(এম) নদীয়া জেলা কমিটির পক্ষ থেকে প্রাক্তন সাংসদ অলকেশ দাস, প্রাক্তন বিধায়ক এস এম সাদী, রঞ্জিত মণ্ডল, রমা বিশ্বাস, প্রাক্তন বিধায়ক, নদীয়া জেলা পরিষদের প্রাক্তন সভাধিপতি মেঘলাল শেখ সহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ কাছারিপাড়া সীমান্ত এসে হাজির হন। এরপর নীলমণি মণ্ডল, ফটিক মণ্ডল সহ জমি হারানো বেশ কয়েকজন কৃষক ও স্থানীয়দের থেকে বিস্তারিতভাবে সমস্যার জানেন। নিউ উদয় ক্যাম্পের ১৪৬ ব্যাটেলিয়ানের বিএসএফের আধিকারিক ধীরাজ কুমারের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেন।
সিপিআই(এম) নেতৃবৃন্দ জানান, এই বিষয় নিয়ে প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে বিদেশ ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সহ সংশ্লিষ্ট সব জায়গাতেই সমাধানের দাবি জানানো হবে।"
Nadia Border Farmers
জমি হাতে নেয়নি ভারত, নদীয়ার সীমান্তে চাষ করতে পারছেন না কৃষকরা

×
Comments :0