নতুন মেমু লোকাল প্যাসেঞ্জার ট্রেন, পুরুলিয়া জেলায় মাত্র তিনটি স্টেশন দাঁড়াবে। আরও স্টেশনের দাবিতে ইন্দ্রবিল স্টেশন মাস্টারের কাছে ডেপুটেশন দিল সিপিআই(এম)।
পুরুলিয়া থেকে হাওড়া ভায়া মশাগ্রাম যতগুলি স্টেশন আছে তার মোট ৮টি স্টেশনে ট্রেনটি দাঁড়াচ্ছে না। তার মধ্যে পুরুলিয়া জেলায় সাতটি স্টেশন এবং বাঁকুড়া জেলার একটি স্টেশন আঁচুরি।
পুরুলিয়াকে এই ভাবে বঞ্চিত করা হবে কেন? এ প্রশ্নের জবাব চাইতে ইন্দ্রবিল স্টেশন মাস্টারের কাছে ডেপুটেশন দিল সিপিআই(এম)।
সিপিআই(এম) কাশিপুর পূর্ব এরিয়া কমিটির জমায়েত করে দাবি করেছে ইন্দ্রবিল, সিরজাম স্টেশনে এই ট্রেনের স্টপেজ দিতে হবে।
ডেপুটেশনে ছিলেন সিপিআই(এম) পুরুলিয়া জেলা সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য কাশীনাথ ব্যানার্জি, জেলা কমিটির সদস্য মৃনাল রায়, সোমনাথ দুবে, অরুণোদয় ব্যানার্জি প্রমুখ।
এই ট্রেনের সঙ্গে সিপিআই(এম)’র দীর্ঘ লড়াই জড়িয়ে রয়েছে। বাঁকুড়ার প্রাক্তন সাংসদ প্রয়াত বাসুদেব আচারিয়া সংসদের ভেতরে বাইরে দাবি তুলেছেন।
ঘটনা হল নব্বইয়ের দশকের মাঝামাঝি সময়ে বিডিআর ট্রেন উঠে যায়। ট্রেনটি বাঁকুড়া থেকে বর্ধমানের সিয়ারাবাজার পর্যন্ত যেত। বাঁকুড়া জেলার পূর্বাংশের বেলিয়াতোড়, সোনামুখী, পাত্রসায়ের, ইন্দাস এলাকার বহু প্রান্তিক গরিব মানুষ এই ট্রেনে বর্ধমান যেতেন, সেখান থেকে মানুষ আসতেন। বাসুদেব আচারিয়ার উদ্যোগেই দীর্ঘ লড়ায়ের মধ্যে দিয়ে এই ন্যারো লাইনকে ব্রডগেজ করা হয়। ফের বিডিআর চালু হয়। মশাগ্রাম পর্যন্ত এটি যেত। বাঁকুড়ার মানুষের দাবী ছিল মশাগ্রাম হয়ে সরাসরি যেন এটি হওড়া যায় তার ব্যবস্থা করতে হবে।
Purulia Howrah Train
পুরুলিয়া-হাওড়া ট্রেনে নতুন স্টেশনের দাবিতে ডেপুটেশন

×
Comments :0