BOND MANIKCHAWK RALLY CPIM

বন্ড দুর্নীতি ফাঁস সিপিআই(এম)’র লড়াইয়ে, মিছিল মানিকচকে

জেলা

শুক্রবার সিপিআই(এম)’র মিছিল মানিকচকে। ছবি: উৎপল মজুমদার

নির্বাচনী বন্ডে পাওয়া টাকা বাজেয়াপ্ত করতে হবে। শুক্রবার মালদহের মানিকচক ব্লকের ভুতনীর উত্তর চণ্ডীপুরে মিছিল থেকে এই দাবি তুলেছে সিপিআই(এম)। এদিন এলাকার হাইস্কুল মোড়ে প্রতিবাদ সভাও হয়। বক্তারা বলেছেন, নির্বাচনী বন্ডে রাজনৈতিক দুর্নীতিকে বৈধ করার ব্যবস্থা হয়েছিল। সিপিআই(এম)’র লড়াইয়েই ফাঁস হয়েছে এই দুর্নীতি। বাতিল হয়েছে অসাংবিধানিক অস্বচ্ছ এই ব্যবস্থা।
সিপিআই(এম)’র দায়ের করা মামলার ভিত্তিতে দেশে সুপ্রিম কোর্ট নির্বাচনী বন্ডের তথ্য প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছে। সিপিআই(এম) নেতৃবৃন্দ বলেছেন, স্টেট ব্যাঙ্ককে দিয়ে এই তথ্য প্রকাশে বারবার বাধা তৈরি করেছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অমান্য করে দেরি করেছে স্টেট ব্যাঙ্ক। টালবাহানা করে তথ্যের প্রকাশ নির্বাচনের পরে পিছিয়ে দেওয়ার বাহানা খুঁজেছে। সুপ্রিম কোর্ট যদিও সেই আবেদন নাকচ করায় পূর্ণ তথ্য সামনে আনতে হয়েছে। তহবিলে পাওয়া টাকার বিনিময়ে বিভিন্ন সংস্থাকে সরকারি বরাত পাইয়ে দেওয়া হয়েছে। 
সভায় সিপিআই(এম) জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য দেবজ্যোতি সিনহা,  দেবেন মন্ডল, আব্দুর রসিদ, বঙ্কিম মন্ডল, ছাত্রনেতা দীপঙ্কর ঘোষ বক্তব্য রাখেন। ৩১ মার্চ মানিকচকে ফের প্রতিবাদ মিছিল ও সভা হবে।
সুপ্রিম কোর্টে রায়ের পর বিভিন্ন দল নিজেদের তহবিলে কারা টাকা দিয়েছে প্রকাশ করে দিয়েছিল। সিপিআই(এম) নীতিগত কারণেই নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে তহবিলে কোনও টাকা নেয়নি। কিন্তু বিজেপি বা তৃণমূল নিজে থেকে তথ্য প্রকাশ করেনি। তথ্য দেখা গিয়েছে ইডি এবং সিবিআই বা আয়কর দপ্তর তদন্ত শুরু করেও পরে বন্ধ করে দিয়েছে বেশ কয়েকটি সংস্থার বিরুদ্ধে। তারাই নির্বাচনী বন্ডে বিপুল টাকা দিয়েছে। 
এ রাজ্যে তৃণমূলকে মোটা অঙ্কের অর্থ দিয়েছে ডিয়ার লটারির পরিচালক সংস্থা ফিউচার গেমিং অ্যান্ড হোটেল সার্ভিসেস। আবার ডিয়ার লটারির পুরস্কার প্রাপকদের তালিকায় বারবার তৃণমূলের নেতা বা তাঁদের আত্মীয়দের নাম দেখা গিয়েছে। সঞ্জীব গোয়েঙ্কার নেতৃত্বাধীন একাধিক সংস্থাও তৃণমূলের তহবিলে বড় দাতা। আবার কলকাতায় বিদ্যুতের দাম দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ হয়েছে তৃণমূল সরকারের মেয়াদেই। এই গোষ্ঠীই বিদ্যুৎ সরবরাহ করে। সরকার এবং পৌরসভার তরফে টাকা বকেয়া রাখার তথ্য সামনে এসেছে। বিদ্যুতের দাম বাড়িয়ে সেই পয়সা জনতার থেকেই উসুল করা হয়েছে। 
এদিন মানিকচকের সভায় দাবি উঠেছে, কালো টাকা লেনদেনে অভিযুক্ত সংস্থা, যারা নির্বাচনী বন্ড কেনায় তদন্ত বন্ধ হয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। যথাযথ তদন্ত করতে হবে।

Comments :0

Login to leave a comment