Chhattisgarh Encounter

ছত্তিশগড়ে গুলির লড়াইয়ে হত ৩০ মাওবাদী

জাতীয়

বৃহস্পতিবার ছত্তিশগড়ের বিজাপুরে নিরাপত্তা বাহিণীর সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে মৃত্যু হলো অন্তত ৩০ মাওবাদীর। দিনভর চলা এইগুলির লড়াইয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর এক জওয়ানেরও মৃত্যু হয়েছে। জখম দুই।
পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, বিজাপুরে পুলিশ ও সেনা বাহিনীর যৌথ অভিযানে ২২ জন মাওবাদীর মৃত্যু হয়েছে। কাঙ্কারে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে মাওবাদীদের গুলির লড়াইয়ে মৃত্যু হয়েছে ৪ মাওবাদীর। এদিন সকাল থেকে গঙ্গালুর থানা সীমানার কাছে বিজাপুর-দান্তেওয়াড়া সীমান্তে ছত্তিশগড় পুলিশ ও কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনী এবং মাওবাদীদের মধ্যে গুলির লড়াই শুরু হয়। দুই পক্ষের মধ্যে গুলির লড়াই শুরু হয়। পরে আগ্নেয়াস্ত্র ও বিস্ফোরকসহ ২২ জন মাওবাদীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। একজন জওয়ান নিহত হন। একইদিন কাঙ্কেরের কোরোস্কোডো গ্রামের কাছে দুই পক্ষের গুলি বিনিময়ের পর আরও চার মাওবাদীর দেহ উদ্ধার করা হয়। দুটি স্থানেই বিশেষ বাহিনীর অভিযান অব্যাহত রয়েছে। দুটি গুলির লড়াইয়ে এখনও পর্যন্ত ৩০ মাওবাদীর মৃত্যু খবরই পাওয়া গিয়েছে।
গত  ৯ ফেব্রুয়ারি ছত্তিশগড়ের বিজাপুরে নিরাপত্তা বাহিণীর সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে মৃত্যু হয় অন্তত ৩১ মাওবাদীর। গুলির লড়াইয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর দুই জওয়ানেরও মৃত্যু হয়। ২০২৪ সালে ছত্তিশগড়ে নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে ২০০ জনেরও বেশি মাওবাদী নিহত হয়েছে। ৮০০ জনেরও বেশি মাওবাদীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ছত্তিশগড়ে এদিনের ঘটনায় সাফল্যের দাবি জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তবে রাজ্যে বিজেপি সরকারের মেয়াদে মাওবাদীদের সঙ্গে গুলির লড়াই ঘিরে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগও উঠেছে বিভিন্ন সময়। 
গত ১ ফেব্রুয়ারি ছত্তিশগড়ের পুলিশ জানিয়েছিল বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে ৮ মাওবাদী নিহত হয়েছে। একটি মানবাধিকার সংগঠন বিবৃতি দিয়ে অভিযোগ তুলে বলে যে নিহতেরা সবাই মাওবাদী নয়। সংঘর্ষকে ‘সাজানো’ বলেও অভিযোগ তোলে। পুলিশ যদিও সে অভিযোগ নাকচ করেছে। তবে ছত্তিশগড়ে খনিজ সমৃদ্ধ জঙ্গল এলাকায় এমন অভিযোগ বারেবারেই উঠেছে।

Comments :0

Login to leave a comment