China Tariff War

শেষ পর্যন্ত লড়ব, শুল্ক যুদ্ধের মাঝে বার্তা চীনের

আন্তর্জাতিক

শুল্ক যুদ্ধের হুমকির সামনে মাথা নোয়াবে না চীন। শেষ পর্যন্ত লড়বে। 
আমেরিকার শুল্ক নীতি সংক্রান্ত এক প্রশ্নে এই মন্তব্য করলেন চীনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াঙ ই। ব্রাজিলে রিও ডি জেনেোতে ‘ব্রিকস্’ গোষ্ঠীর দেশ এবং তার সহযোগীদের বৈঠকে যোগ দিয়ে একথা বলেছেন ওয়াঙ।
চীনের কমিউনিস্ট পার্টির পলিট ব্যুরো সদস্য ওয়াঙ বলেছেন, ‘‘হুমকির সামনে মাথা নোয়ালে অনুদান মেলে না। বরং হুমকি-ধমকি আরও জোরালো হয়। চীন সরাসরি সমান মর্যাদা এবং সমান অধিকারের ভিত্তিতে শুল্ক নীতি সংক্রান্ত যে কোনও আলোচনায় যোগ দেবে।’’
আমেরিকার রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প শুল্ক যুদ্ধে নেমে পরে খানিক পিছিয়েছেন চীনের অবস্থানের কারণে। ইউরোপীয় ইউনিয়নও পালটা শুল্ক বসাতে তৈরি হয়েছে। অন্য দেশগুলির ওপর ‘অতিরিক্ত পালটা শুল্ক’ প্রয়োগ আপাতত স্থগিত রাখলেও চীনকে আক্রমণের কেন্দ্রে রেখেছে আমেরিকা। ট্রাম্প বহুপাক্ষিক সমঝোতার ভিত্তিতে বিশ্ব বাণিজ্যের বদলে আমেরিকার একপাক্ষিক নীতির ভিত্তিতে আলাদা করে প্রতিটি দেশকে শর্তে বন্দি করতে চাইছেন।
ওয়াঙ বলেছেন, ‘‘বিশ্ব অর্থনীতির সঙ্কট থেকে বেরনোর একমাত্র উপায় হলো বহুপাক্ষিক বাণিজ্য এবং বিদেশনীতি। আন্তর্জাতিক স্তরে মান্য সমঝোতার ভিত্তিতেই দেশগুলি একে অন্যের সঙ্গে বাণিজ্য করবে।’’ 
মার্কিন সংবাদ প্রতিষ্ঠান সিএনএন জানাচ্ছে ট্রাম্পের নীতিকে কড়া চ্যালেঞ্জ জানিয়ে একটি ভিডিও প্রচার করছে চীন। বলা হয়েছে, ‘‘তেষ্টা মেটানোর জন্য বিষ পান করা যায় না। স্বল্পমেয়াদী কিছু সুবিধার জন্য ধমকি-হুমকিকে মেনে নেওয়া যায় না।’’
বলা হয়েছে, ‘‘হাওয়া যতই দমকা হোক চীন আন্তর্জাতিক সমঝোতার ভিত্তিতে বহুপাক্ষিক বোঝাপড়ার পক্ষে দাঁড়াবে। 
চীনের থেকে আমদানির ওপর ১২৫ শতাংশ শুল্ক বসিয়ে রেখেছে আমেরিকা। তার পালটা চীনও আমেরিকার থেকে আমদানিতে ১২৫ শতাংশ হারে শুল্ক বসিয়েছে। ট্রাম্পের নিজেরই অর্থসচিব গত মঙ্গলবারই স্বীকার করেছেন যে অতি উঁচু হারে শুল্ক বসালে অর্থনীতির ক্ষতিই হবে। 
ট্রাম্পের অতিরিক্ত শুল্কের হারে আমেরিকার জিনসপত্রের দাম বাড়ছে। বহুজাতিক অনলাইন বাণিজ্য সংস্থা আমাজন ক্রেতাদের দামের রসিদে আলাদা করে অতিরিক্ত শুল্কের উল্লেখ করছে। জানা গিয়েছে আমেরিকার রাষ্ট্রপতি আমাজনের প্রধান জেফ বেজোসকে ডেকে পাঠিয়ে ক্ষোভ জানিয়েছেন।

Comments :0

Login to leave a comment