ডেঙ্গুতে জেরবার গোটা রাজ্যের মানুষ। ক্রমশ বাড়ছে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা। সেই সঙ্গে মৃত্যুও। এবার ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হলো এক তরুণ চিকিৎসকের। চিকিৎসকের মৃত্যুতে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে সাধারণ মানুষের। মৃত চিকিৎসকের নাম দেবদ্যুতি চট্টোপাধ্যায়(২৮)। দক্ষিণ কলকাতার গড়ফার বাসিন্দা ছিলেন তিনি। ইন্সটিটিউট অফ অফথারমোলজিস্ট চক্ষু বিশেষজ্ঞ ছিলেন তিনি। চারদিন আগে জ্বরে আক্রান্ত হন তিনি। গত মঙ্গলবার তাঁকে মিন্টো পার্কের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতাল সূত্রে খবর চিকিৎসকের রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা কম থাকায় ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে তাঁর চিকিৎসা চলছিল। চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার ভোর ৪টে ৪০ মিনিট নাগাদ চিকিৎসকের মৃত্যু হয়। ডেথ সার্টিফিকেটে হেমারেজিক শক সিনড্রোম ও মাল্টি অর্গান ফেলিওয়রের কথা উল্লেখ রয়েছে।
মৃত্যুর কারণ হিসেবে ডেঙ্গুর হেমারেজিক শক সিনড্রোম দেখানো হয়েছে। চিকিৎসক তাঁর দেহ দান করে গিয়েছিলেন আগেই। ডেঙ্গুতে একের পর এক মৃত্যুর খবর মিলছে। প্রায় প্রতি ঘরে ঘরেই চলছে জ্বরের প্রকোপ। বিভিন্ন বেসরকারি সূত্রের খবর, এই নিয়ে চলতি বছরে ডেঙ্গুতে ২৩ জন প্রাণ হারিয়েছেন। চলতি বছরে ডেঙ্গুতে প্রায় ২৬ হাজার মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন বলে বিভিন্ন বেসরকারি তথ্য থেকে জানা যাচ্ছে। অনেকের মতে সংখ্যাটি আরও অনেক বেশি। কারণ সব খবর সঠিক সময়ে পাওয়া যায়না। কলকাতা সহ রাজ্যের প্রায় সর্বত্র সরকারি বেসরকারি হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীরা ভর্তি রয়েছেন বলে চিকিৎসকদের সূত্রে জানা যাচ্ছে।
বিরোধীদের অভিযোগ, ডেঙ্গু বাড়ছে তবুও সরকার চুপ করে রয়েছে। ডেঙ্গু পরিস্থিতি ক্রমেই উদ্বেগজনক হয়ে উঠছে গোটা রাজ্যে। রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে তথ্য গোপন করছে একাধিকবার এই অভিযোগও করেছে বিরোধীদলগুলি। একের পর এক ডেঙ্গু সংক্রমণ ও মৃত্যুর ঘটনায় আতঙ্ক বাড়ছে গোটা রাজ্যে।
Comments :0