ED ABHISHEK

হাইকোর্টের গুঁতোয় ১৩ সেপ্টেম্বর অভিষেককে তলব ইডি’র

রাজ্য

তৃণমূল সাংসদ অভিষেক ব্যানার্জিকে তলব করল ইডি। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে ঢিলেমির জন্য আদালতেই কড়া ভর্ৎসনার মুখে বারবার পড়তে হচ্ছে কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থাকে। তারপরও কিছুদিন চুপ ছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। ১৩ সেপ্টেম্বর হাজিরা দিতে বলা হয়েছে অভিষেককে। এর আগে কলকাতা হাইকোর্ট ১৪ সেপ্টেম্বরের মধ্যে তদন্তে অগ্রগতির রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয় ইডি’কে।

রবিবার সোশাল মিডিয়ায় ইডি’র নোটিশ পাওয়ার কথা জানিয়েছেন তৃণমূল সাংসদই। পোস্টে তিনি লিখেছেন, ১৩ সেপ্টেম্বর দিল্লিতে ‘ইন্ডিয়া’ কোঅর্ডিনেশন কমিটির বৈঠক। ওই দিনই তাঁকে ডেকে পাঠালো তদন্ত সংস্থা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে লক্ষ্য করে ‘ছাপ্পান্ন ইঞ্চি ছাতির কাপুরুষতা’ নিয়ে কটাক্ষও করেছেন তৃণমূল সাংসদ। 

শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ঘুষের টাকা চালানের তদন্তে আসে ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস’ সংস্থার নাম। এই সংস্থার বৃদ্ধি নিয়ে বহু আগেই সরব হয়েছিলেন বামপন্থীরা। তবে তদন্ত আটকে গিয়েছিল। এই সংস্থারই কর্তা অভিষেককে কেন জেরা করা হচ্ছে না ভরা আদালতে ইডি’কে সে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে। 

অভিষেক রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অভিযোগ তুলে ‘ফিয়ার ইন ইন্ডিয়া’ হ্যাশট্যাগ দিয়েছেন। বিরোধী মঞ্চ ‘ইন্ডিয়া’-কে ভয় পাওয়ার বহু লক্ষণই যে প্রধানমন্ত্রী এবং তাঁর দল দেখাচ্ছে, তা নিয়ে সন্দেহ নেই বহু অংশের। কিন্তু অভিষেককে তলব প্রকৃত বিচারে আদালতের গুঁতোয়, তা-ও স্পষ্ট। 

গত ২৯ আগস্ট নিয়োগ দুর্নীতির এই মামলায় কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি অমৃতা সিনহা প্রশ্ন তুলেছিলেন যে কেন এই সংস্থার এক কর্ণধার সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে গ্রেপ্তার করা হলে অভিষেক ব্যানার্জিকে সমন পাঠানো হবে না? ইডির আইনজীবীর অভিষেক ব্যানার্জির আরেকটি বিচারাধীন মামলার উল্লেখ করেন। বিচারপতি সিনহা বলেন, মামলা বিচারাধীন থাকলে সমন পাঠানো যাবে না কেন! তদন্তের অগ্রগতির রিপোর্ট ১৪ সেপ্টেম্বরের মধ্যে আদালতে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন তিনি। সেই সময়সীমার আগের দিন, ১৩ সেপ্টেম্বর অভিষেককে তলব করেছে ইডি।

নিয়োগ দুর্নীতি মামলা থেকে নিষ্কৃতি পেতে হাইকোর্ট এবং সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানিয়েছিলেন অভিষেক ব্যানার্জি। জেরা থেকে নিস্তার পাওয়ার আরজি জানিয়েছিলেন, কিন্তু সেই আবেদন আদালতে খারিজ হয়ে গিয়েছে আগস্টেই। তার আগে বিচারপতি বদলের জন্য দায়ের হয়েছে মামলা। বিচারপতি বদল হলেও এই মামলা থেকে নিস্তার পাননি তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। একদিকে আদালতে নিস্তার চেয়ে মামলা, অন্যদিকে প্রকাশ্য সমাবেশে ‘দোষ প্রমাণ হলে ফাঁসির মঞ্চে ঝুলে’ পড়ার ভাষণও দিয়ে গিয়েছেন তিনি। 

এ রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে ইডি বা সিবিআই নিজেরা তদন্ত করেনি। চালকরিপ্রার্থীদের দীর্ঘ আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালতের নির্দেশে চলছে তদন্ত। বরং, এই দুই কেন্দ্রীয় সংস্থার বিরুদ্ধে চিট ফান্ড কেলেঙ্কারির মতো তদন্ত ধামাচাপা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বারবার। তদন্ত না এগলে কেন্দ্রীয় সংস্থার দপ্তর ঘেরাওয়ের ডাক দিয়েছে সিপিআই(এম)।

Comments :0

Login to leave a comment