EU on Indo-Pak tension

উত্তেজনা প্রশমনের আবেদন ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের, ড্রোন হামলায় ক্ষয়ক্ষতি

আন্তর্জাতিক

ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধিতে গভীর উদ্বেগ জানালো ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন। দু’পক্ষকেই উত্তেজনা প্রশমনের জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে বিবৃতিতে। সেই সঙ্গে ফের তীব্র নিন্দা করা হয়েছে পহেলগামে সন্ত্রাসবাদী হামলারও।
ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘‘গভীর উদ্বেগের সঙ্গে দেখা যাচ্ছে যে উত্তেজনা দু’তরফেই বাড়ছে। দু’দিকেই প্রাণহানির আশঙ্কা দেখা দিচ্ছে। দু’পক্ষকেই সংযম দেখানোর অনুরোধ জানানো হচ্ছে। উত্তেজনার স্তর নামানোর জন্য প্রয়াসের অনুরোধ জানানো হচ্ছে। দু’পক্ষকেই বার্তালাপ শুরু করার অনুরোধ জানানো হচ্ছে।’’ 
পহেলগামে পত ২২ এপ্রিলের সন্ত্রাসবাদী হামলার নিন্দা করা হয়েছিল বিশ্বের প্রায় সব স্তর থেকে। এই বিবৃতিতেও পহেলগামে হামলার নিন্দা করা হয়েছে ফের। বলা হয়েছে যে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ২৭টি দেশইমনে করে পহেলগামের সন্ত্রাসবাদী হামলা একটি জঘন্য ঘটনা। হামলার জন্য দায়ী যারা তাদের বিচার হওয়া জরুরি। প্রত্যেক রাষ্ট্রের দায়িত্ব নিজেদের নাগরিকদের সন্ত্রাসবাদী হামলার থেকে রক্ষা করা। 
গত মঙ্গলবার গভীর রাতে পাকিস্তানের ৮টি সন্ত্রাসবাদী ঘাঁটি গুড়িয়ে দেওয়ার ঘোষণা করেছে ভারত। বুধবার দিল্লিতে সাংবাদিক সম্মেলনে বিদেশসচিব বিক্রম মিসরি বলেছেন যে কেবলমাত্র সন্ত্রাসবাদী ঘাঁটিতেই আক্রমণ করা হয়েছে। পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীর পরিকাঠামোয় আক্রমণ করা হয়নি। 
বৃহস্পতিবার সেনা জানায় যে পাকিস্তান এপারে ভারতের সামরিক পরিকাঠামোয় আক্রমণের চেষ্টা চালিয়েছে বুধবার রাত থেকে। এদিন পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা পরিকাঠামো আঘাত হানা হয়েছে।
এদিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেছেন, ‘‘আমরা সর্বদা দায়িত্বশীল রাষ্ট্রের ভূমিকা পালন করেছি। বার্তালাপের মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের পক্ষ নিয়েছি। কিন্তু আমাদের ধৈর্য দেখানোর সুযোগ নিয়ে অন্যায় সুবিধা কেউ নিতে চাইলে আমাদের ব্যবস্থা নিতে হবে।’’   
এদিকে পাকিস্তানের সূত্রের উল্লেখ করে সংবাদমাধ্যমে জানানো হয়েছে যে ড্রোন হামলায় রাওয়ালপিন্ডি স্টেডিয়াম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পাকিস্তান সুপার লিগের পেশোয়ার জালমি এবং করাচি কিংসের ম্যাচ বাতিল করা হয়েছে। 
পাকিস্তানের সেনা মুখপাত্র আহমেদ শরিফ চৌধুরী বলেছেন, লাহোর, গুজরনওয়ালা, চকওয়াল, বহওয়ালপুর, করাচি, রাওয়ালপিন্ডির মতো জায়গায় ড্রোন নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে। 
সংবাদমাধ্যমের একাংশের বক্তব্য, পাকিস্তান এইচকিউ-৯ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধী ব্যবস্থা ব্যবহার করে। এই প্রযুক্তি চীনের। ভারত ইজরায়েলের তৈরি হারোপ ড্রোন ব্যবহার করে এই ব্যবস্থায় আক্রমণ করেছে। 
পাকিস্তান বলেছে বৃহস্পতিবারের আক্রমণে লাহোরে তাদের সেনার চার কর্মী জখম এবং সিন্ধ প্রদেশের মিয়ানোতে এক অসামরিক নাগরিক নিহত।

Comments :0

Login to leave a comment