বৃহস্পতিবার রাতে জার্মানিকে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছে পর্তুগাল। ২৫বছর পর জার্মানিকে হারাল পর্তুগাল। দুর্দান্ত গোল পেয়েছেন ফ্রান্সিসকো কোয়েন্সিয়াও । এইবার এই ম্যাচ ঘিরেই উঠে এসেছে নতুন এক তথ্য। ২০০০সালের ইউরোতে শেষবার জার্মানিকে যে ম্যাচে হারিয়েছিল পর্তুগাল। সেই ম্যাচে হ্যাটট্রিক করেছিলেন ফ্রান্সিসকোর বাবা সার্জিও কোয়েন্সিয়াও। এই খেলাটি হয়েছিল নেদ্যারল্যান্ডসের রটারডামের ডি কুইপ স্টেডিয়ামে। খেলাটি ছিল গ্ৰুপ পর্বের শেষ ম্যাচ। ম্যাচটি জিতে ৯ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষদল হিসেবেই পরের রাউন্ডে গিয়েছিল পর্তুগাল। বৃহস্পতিবার সার্জিওর ছেলে ফ্রান্সিসকো জার্মানির বিরুদ্ধে শুধু দৃষ্টিনন্দন গোলই নয় , খেলাতেও যথেষ্ট পরিমাণে প্রভাব বিস্তার করেছেন। ফ্রান্সিসকো এবং ভিটিনহাকে নামানোর পরই জার্মানদের দুর্বল ডিফেন্স ও মাঝমাঠে হাইপ্রেস করতে থাকে পর্তুগাল। এই হাই প্রেসিংয়ের ফল হাতেনাতে পায় রবার্তো মার্টিনেজের দল। ৬৩ও ৬৫ মাত্র দুই মিনিটের ব্যাবধানেই দুই গোল করে রোনাল্ডোরা। নিজের গোলের পর রোনাল্ডোর গোলটির ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন কোয়েন্সিয়াও। ৬৩মিনিটে একক দক্ষতায় বক্সের বাইরে ডানদিক থেকে বাঁ পায়ের বিষাক্ত ইনসুইংটির কোনো জবাব ছিলোনা জার্মান গোলরক্ষক টার স্টেগানের কাছে । বর্তমানে এই ২২বছরের এই ফুটবলার প্যারেন্ট ক্লাব পোর্তো থেকে লোনে খেলছেন ইতালিয়ান ক্লাব জুভেন্তাসে । গত বছর ইউরোতেও চেক রিপাবলিকের বিরুদ্ধে তার করা শেষ মুহূর্তের গোলেই জয় ছিনিয়ে নিয়েছিল পর্তুগাল। সার্জিও কিছুদিন আগে পর্যন্তও কোচ ছিলেন এসি মিলানের। এই মরশুমে সুপার কোপা জিতিয়েছিলেন সার্জিও। তার ছেলের করা এই গোলে ২৫বছর পর জার্মানদের হারাল পর্তুগিজরা। বাবার ২৫ বছর পর ছেলের গোলেই একপ্রকার সেই একই প্রতিপক্ষকে হারানোয় যেন এক বৃত্ত সম্পূর্ণ হল। রোনাল্ডোসহ পর্তুগালের এই স্কোয়াডটি যথেষ্ট শক্তিশালী। তাই ২০২৬-এ নিজের অধরা বিশ্বকাপটি জেতার জন্য রোনাল্ডোকে সহায়তা করার লোকের অভাব অভাব হবেনা।
Comments :0