G20 Declaration Climate

জি-২০ ঘোষণাপত্রে সর্বাঙ্গীণ বৃদ্ধি, জলবায়ু

জাতীয় আন্তর্জাতিক

জোরালো, স্থিতিশীল এবং সর্বাঙ্গীন বৃদ্ধির আহ্বানে গৃহীত হয়েছে জি-২০ দিল্লি শীর্ষ সম্মেলনের ঘোষণাপত্র। মহামারীর পর বিশ্বজুড়ে নেমে যাওয়া অর্থনৈতিক বৃদ্ধির হাল ফেরাতে এই পথে এগনোর কথা বলেছে ‘দিল্লি ঘোষণা’। বিশ্ব উষ্ণায়ন রোধের লক্ষ্যে পৌঁছানে কয়েক লক্ষ কোটি ডলার প্রয়োজন। অর্থের সংস্থান করতে নির্দিষ্ট পরিকল্পনার আর্জি জানিয়েছে ঘোষণাপত্র। 

ভারতের সভাপতিত্বে হচ্ছে জি-২০ গোষ্ঠীর শীর্ষ সম্মেলন। আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহের সংস্কারের দাবি ঘোষণায় জায়গা পেয়েছে বলে জানাচ্ছে সংবাদসংস্থা পিটিআই।  

ঘোষণাপত্রে সম্মতির খবর সম্মেলনে ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে মোদী বলেছেন, ‘‘ভালো খবর রয়েছে। আমাদের বিভিন্ন টিমের কঠিন পরিশ্রমের ফলে শীর্ষ সম্মেলনের ঘোষণার ক্ষেত্রে সর্বসম্মতিতে পৌঁছানো গিয়েছে। এই ঘোষণাপত্র গ্রহণ করার আবেদন জানাচ্ছি। যে শেরপা এবং মন্ত্রীরা কঠিন পরিশ্রম করেছেন তাঁদের অভিনন্দন।’’মোদীর বক্তব্যকে স্বাগত জানান গোষ্ঠীর বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধানরা। 

চীনের সংবাদমাধ্যম শিনহুয়া জানাচ্ছে যে দিল্লির জি-২০ শীর্ষ বৈঠকে সহমতের বার্তাতেই জোর দিয়েছেন তাঁদের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াঙ। সমন্বয় এবং সর্বাঙ্গীন উন্নয়নের দৃষ্টিভঙ্গিতে জোর দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন লি কিয়াঙ। জানা গিয়েছে, আফ্রিকান ইউনিয়নকে গোষ্ঠীর সদস্য করার প্রস্তাবেও সম্মতি মিলেছে। 

ইউক্রেন যুদ্ধ পরিস্থিতিতে জ্বালানির দাম, বিশেষ করে প্রাকৃতিক গ্যাসের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। বস্তুত রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে পশ্চিমী দুনিয়া। তবে ভারত রাশিয়ার থেকে তেল আমদানি করে প্রক্রিয়াকরণের পর পশ্চিমী দুনিয়াতেই রপ্তানি করেছে। 

এই প্রসঙ্গে ঘোষণাপত্রে বলা হয়েছে, ‘‘বিভিন্ন উৎস থেকে জ্বালানির সরবরাহ বাধাহীন হওয়া উচিত। জ্বালানি সুরক্ষা নিশ্চিত করতে এবং বাজার দাম স্থিতিশীল করার লক্ষ্যে চলা জরুরি।’’ 

ইউক্রেন এবং রাশিয়া সংঘাতের প্রসঙ্গ ঘোষণায় সম্মতিতে পৌঁছাতে বাধা তৈরি করেছে বলে দাবি বিভিন্ন অংশের। আফ্রিকান ইউনিয়নকে সদস্য করার প্রস্তাব নিয়েও ভিন্নমত ছিল। জলবায়ু বান্ধব জ্বালানির জন্য উন্নয়নশীল এবং বিকাশমান দেশগুলিকে সস্তায় প্রযুক্তি হস্তান্তর করার প্রসঙ্গেও জোর দেওয়া হয়েছে। এই দায়িত্ব শিল্পোন্নত বিশ্বের। 

সমঝোতায় সই করে এই দেশগুলি প্রতিশ্রুতি থেকে বরাবর দূরে সরে থাকে। দু:দিনের আলোচনার পর শীর্ষ বৈঠকের বিবৃতি কী হবে, ‘গ্লোবাল সাউথ’ বা এশিয়া-আফ্রিকা-লাতিন আমেরিকার দেশগুলির পক্ষে নির্দিষ্ট এবং প্রয়োগযোগ্য কী সিদ্ধান্ত হবে, বিভিন্ন অংশের নজর এখন সে দিকে।  

  

Comments :0

Login to leave a comment