‘তদন্ত তো রোজ হচ্ছে। কিন্তু তদন্ত হচ্ছে না আইওয়াশ হচ্ছে?’
রবিবার তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র এবং রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের বাড়িতে সিবিআই তল্লাশির পরিপ্রেক্ষিতে এই প্রশ্ন তুলল সিপিআই(এম)। পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী বলেছেন এ কথা।
চক্রবর্তী বলেছেন, ‘‘কোনও সন্দেহ নেই নিয়োগে ভয়ঙ্কর দুর্নীতি হয়েছে। শিক্ষক নিয়োগে, পৌর নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে। রাজ্য সরকার তদন্ত করেনি। ফলে আদালতের নির্দেশে সিবিআই তদন্ত হচ্ছে। ’’
চক্রবর্তীর দাবি, ‘‘তদন্ত হোক, অপরাধীদের খুঁজে বের করা হোক। তদন্তকে ধামাচাপা দেওয়ার জন্য দিল্লি আর রাজভবনে নাটক অনেক হয়েছে।’’ তিনি বলেছেন, ‘‘তদন্ত ঠিক মতো হোক। আমাদের কথা হলো দিল্লির নির্দেশে তদন্ত যেন ফের ধামাচাপা দেওয়া না হয়।’’
উল্লেখ্য, রাজ্যের বকেয়া আদায়ের দাবির ঘোষণা করে চলতি মাসের ২ ও ৩ তারিখ দিল্লিতে যায় তৃণমূল। ফিরে এসে রাজভবনের সামনে বিক্ষোভ দেখায়। একশো দিনের কাজ এবং আবাস যোজনায় বরাদ্দ বন্ধ করেছে দিল্লি। ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগে বরাদ্দ বন্ধ করা হয়েছে। যদিও কেন্দ্রের বিজেপি সরকার তৃণমূল বা প্রশাসনের কারও বিরুদ্ধে আইনি অভিযোগ দায়ের করেনি। অপরাধীদের ছাড় দিয়ে মানুষকে শাস্তি দেওয়ার এই রাজনীতির প্রতিবাদ জানিয়েছে সিপিআই(এম)।
চক্রবর্তী বলেছেন, ‘‘দিল্লি বা রাজভবনে ধর্ণার নামে বিক্ষোভের নাটকে তদন্ত যেন ধামাচাপা পড়ে না যায়। অপরাধীরা ধরা পড়ুক, শাস্তি হোক। কিন্তু তল্লাশিতেই তদন্ত যেন আটকে না যায়। বারবার এমন দেখা যাচ্ছে। গ্রেপ্তার হতে হবে। বাংলার মানসম্মানের সর্বনাশ হয়ে গিয়েছে।’’
প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চ্যাটার্জির ঘনিষ্ঠের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে বিপুল টাকা। সেই প্রসঙ্গ মনে করিয়ে চক্রবর্তী বলেছেন, ‘‘এরপরও যাঁরা বলছেন দুর্নীতি নেই আসলে তারা বেপরোয়া দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দিচ্ছেন।’’
শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে প্রায় ১৯ মাস চলা তদন্তের ফল কী, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে কলকাতা হাইকোর্টই। আদালতের নির্দেশে ইডি’র তদন্তকারী আধিকারিককে সরানো হয়েছে। সিবিআই-ও আদালতের কড়া প্রশ্নের মুখে পড়ছে বারবার। সিপিআই(এম) দুর্নীতির তদন্ত চেয়ে ৫ অক্টোবর সমাবেশ করেছে সিবিআই দপ্তরের সামনে। সিপিআই(এম) প্রধানমন্ত্রীকে লক্ষ্য করে প্রশ্ন তুলেছে যে কার নির্দেশে বারবার ধামাচাপা দেওয়া হচ্ছে তদন্ত। পার্টি বলেছে, তৃণমূল এবং বিজেপি’র বোঝাপড়া ফাঁস হয়ে যাচ্ছে বারবার।
Comments :0