ফসলের দাম নেই। খেত থেকে আলু তোলা শুরু হচ্ছে। এর মধ্যেই শুরু হয়েছে হিমঘরে আলু রাখার বন্ড নিয়ে কালোবাজারি। এখনই সরকারি হস্তক্ষেপের দাবিতে জলপাইগুড়ির সর্বত্র অবরোধ করল সারা ভারত কৃষক সভা। জেলায় বৃহস্পতিবার রাস্তায় আলু ফেলে অবরোধ করেন কৃষকরা।
পশ্চিমবঙ্গ প্রাদেশিক কৃষকসভা ১১ মার্চ, শনিবার, সারা রাজ্যে অবরোধের ডাক দিয়েছে আলুর ন্যায্য দামের দাবিতে। তার প্রচারও চলছে সর্বত্র। সরকার ঠিক তার আগে, জলপাইগুড়িতে ১০ তারিখ থেকে আলুর বন্ড ছাড়ার ঘোষণা করেছে।
কৃষক নেতৃবৃন্দের অভিযোগ, কৃষক সভার কর্মসূচি রয়েছে বলেই এই ঘোষণা। বন্ড তোলার জন্য যাতে কৃষক অবরোধে শামিল না হতে পারে। তাই বৃহস্পতিবার, ৯ মার্চ জেলা জুড়ে অবরোধ করা হয়েছে।
আলুচাষীরা জানাচ্ছেন, মাঠ থেকে ফসল তোলা শুরু হচ্ছে। আগের মরশুমের আলুর দাম পাওয়া যাচ্ছে না। কৃষকসভার দাবি কুইন্টালে ১ হাজার টাকা করে সহায়ক মূল্যে আলু কেনার ব্যবস্থা করতে হবে রাজ্য সরকারকে। তা’হলে কেজি প্রতি অন্তত ১০ টাকা করে দাম পাবেন কৃষক। এখন কেজিতে ৩ থেকে ৪ টাকার বেশি পাচ্ছেন না।
হিমঘর নিয়েও কালোবাজারির গুরুতর অভিযোগ তুলছেন কৃষক নেতৃবৃন্দ। তাঁরা জানিয়েছেন, মোট ফলনের ৪৫ থেকে ৫০ শতাংশের বেশি আলু হিমঘরে রাখার পরিকাঠামোই নেই। সেই সুযোগে হিমঘরের জন্য আলুর বন্ড ছাড়া হলেই শুরু হয় কালোবাজারি। প্রকৃত কৃষক বন্ড সরাসরি পান না। ফড়ে, দালালদের হাতে ঘুরতে থাকে বন্ড।
তৃণমূল সরকার এবং স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে এই দালাল এবং ফড়ে চক্রকে মদত দেওয়ার অভিযোগে সরব কৃষকরা।
Comments :0