Khapur martyrdom day

প্রাণ দিয়ে লড়াই শিখিয়েছিল খাঁপুর

রাজ্য

খাঁপুর তেভাগা শহীদ দিবস। ৭ ফাল্গুন ১৩৫৩। এবার ৭৬তম বর্ষ। ঐ পর্বের সমস্ত তেভাগা-লড়াইয়ের ক্ষেত্রেই তাই। তবুও খাঁপুরের তেভাগার কথায় বলা যায়—  ৭ ফাল্গুন, ১৩৫৩ বাংলা তথা ভারতবর্ষের কৃষক আন্দোলনের এক স্মরণীয় দিন। একটি লড়াইয়ের সূত্রে ২২ জনের আত্মবলিদান এক বিরলতম ঘটনা।   
প্রতিবছর এই দিবসটি পশ্চিম দিনাজপুর, পরে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার মেহনতি ও গণতান্ত্রিক মানুষ মর্যাদার সঙ্গে পালন করে থাকেন। গত বছর বাংলাদেশের দিনাজপুর শহরে, ‘তেভাগা চেতনা পরিষদ’ নামে একটি সংগঠন দিবসটি পালন করেছেন। এবারও করবেন এবং আগামীতেও। এপারে এই দিবসটি পালনের  মূল সংগঠক সারাভারত কৃষকসভা হলেও, অন্যান্য বাম কৃষক সংগঠনগুলিও তাতে অংশ নেয়। অংশ নেয় শ্রমিক, খেতমজুর, মহিলা, ছাত্র, যুর, শিক্ষক, কর্মচারী, সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলিও।
তেভাগার ৭৫ বছর আরম্ভের ও পূর্তির সময় এ বিষয়ে অনেক লেখা প্রকাশিত হয়েছে। প্রকাশিত হয়েছে খাঁপুর নিয়েও গণশক্তি, মার্কসবাদী পথ ও অন্যান্য কয়েকটি পত্রিকায়। তাই এ বিষয়ে এবার বিস্তারিত কিছু না লিখে, সংশ্লিষ্ট অন্য কয়েকটি বিষয় পাঠকদের জানালে, ভালো হবে বলে বিবেচনা করছি।


দুই
দিনাজপুর শহর— ১৯৩৭ সালে কারামুক্ত কয়েকজন স্বদেশি বিপ্লবী দিনাজপুর শহরের নিমতলায় বসতেন। তাঁরা অতঃপর কী করা যায় আলোচনা করতে করতে, কলকাতায় মুজফ্‌ফর আহ্‌মদের সঙ্গে যোগাযোগ করলেন। তিনি কৃষক নেতা বঙ্কিম মুখার্জিকে পাঠিয়ে দেন। তিনি এসে ঐ শহরে, প্রাণসাগরে ও লালপুরডাঙ্গায় তিনটি সভা করেন কৃষকসভার। গোপন কমিউনিস্ট পার্টিরও একটি প্রস্তুতি কমিটি তৈরি হলো।  
ফুলবাড়ি - লালপুর ডাঙ্গার সভার মূল সংগঠক ছিলেন ঐ কতিপয় যুবকের সঙ্গে কারামুক্ত আরও একজন– কালী সরকার। তাঁর বাড়ি লালপুর ডাঙ্গার পাশেই চকচকায়। হিলি মেইল রাবারি কেসের সংগঠক ‘অনুশীলন’ নামক জাতিয়তাবাদী সন্ত্রাসবাদী বিপ্লবী দলের কনিষ্টতম সদস্য। মাত্র ১৫ বছর বয়স তখন তাঁর। বহরমপুর জেলবাস অন্তে দিনাজপুরে ফিরে কৃষকসভা ও কমিউনিস্ট পার্টির সঙ্গে যখন যুক্ত হলেন, তখনও কতই বা বয়স! মাত্র ঊনিশ বছর। 
লালপুর ডাঙ্গায় ছিলেন ৫/৬ বিঘা জমির মালিক এক দরিদ্র কৃষক। নাম তাঁর রূপ নারায়ণ রায়। তিনি বঙ্কিম মুখার্জির ভাষণ শুনে মোহিত হয়ে যান। তবুও মনে কিছু প্রশ্ন থেকে যায়। বঙ্কিম মুখার্জি সব প্রশ্নের নিরসন করে দেন। রূপনারায়ণ কৃষকসভার সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে যুক্ত হন। যিনি পরে এমএলএ হয়েছিলেন ১৯৪৬ সালের নির্বাচনে যুক্ত বাংলার আইন সভায়। 
ফুলবাড়ি ভিত্তিক এলাকাটিতে পূর্বোক্ত দু’জন নেতা ছাড়াও খবীর শেখ, গণেন সরকার এরকম আরও  কয়েকজনও ছিলেন নেতা। গণেন সরকার একজন সুলেখক ছিলেন। তিনি ‘আমি’ নামে একটা পুস্তিকারও রচয়িতা।  এই এলাকায় জেলা কৃষকসভার নেতৃত্বে লড়াই করে পর পর দশটি দাবি আদায় হয় তেভাগা পর্বের আগেই। 


১৯৪৪ সালে বঙ্গীয় প্রাদেশিক কৃষকসভার সম্মেলন ফুলবাড়ি – লালপুরে অনুষ্ঠিত হয়েছিল।  
পতিরাম ( দক্ষিণ দিনাজপুর)— গত শতাব্দীর প্রথম দিকে বর্ধমানের কাটোয়া শহর থেকে ফনি দে সরকার নামে এক স্বদেশি বিপ্লবী যুবক মাথায় হুলিয়া নিয়ে, হয়তো কোনও যোগসূত্রে, পতিরামে এসে পড়লেন। পতিরামের কৈলাশ মহন্ত তাঁর আশ্রয়দাদা ও অন্নদাতা এবং কন্যাদাদাও হলেন। এখানে শেষ পর্যন্ত বিবাহাদি করে তাঁর নাম হলো কৃষ্ণদাস মহন্ত। তিনি প্রথমে বিপ্লবী ধারার কংগ্রেস করতেন। পরে সাম্যবাদী দর্শণ গ্রহণ করেন। কৃষকসভার নেতৃত্ব দেন।   
কৃষ্ণদাস মহন্তের চার পুত্র সন্তান আর এক কন্যা। প্রথম পুত্র বোবা। তারপরের তিন পুত্র সাম্যব্রত দর্শনে দীক্ষিত হয়ে কৃষকসভার সঙ্গে যুক্ত হলেন।
দিনাজপুর শহরের ২৫ মাইল পাশে পতিরামের কমিউনিস্ট কেন্দ্র। জেলা থেকে এখানকার দায়িত্ব প্রাপ্ত নেতা  কালী সরকার ও রূপনারায়ণ রায়। অন্য নেতারাও আসতেন। 
পতিরামের হাজরা পাড়া, বর্ষাপাড়া, মাঝিয়ান, ঝাপুর্ষি, বটুনের মাদারগঞ্জ এবং সর্বোপরি নাজিরপুরের খাঁপুর– এসব জায়গায় ভালো সংগঠন গড়ে উঠলো। পতিরাম গঞ্জের দক্ষিণ প্রান্তে বর্মণ পাড়ায় একজন সরলপ্রাণ নেতা ছিলেন শরৎ বর্মণ। তাঁর বাড়িতে এগাঁয়ের ওগাঁয়ের  কৃষক কর্মীরা আসতেন। প্রতিদিন ৩০/৩৫ জনের ভাত-তরকারি রাঁধতেন বাড়ির মেয়ে-বউরা তাঁদের খাবার জন্য। শরৎ বর্মণ যে কতজনকে সাহায্য করেছিলেন, তার ইয়ত্তা নেই। পার্টি তাঁকে ১৯৫৭ সালের ইলেকশনে প্রার্থী করে। কলকাতা থেকে প্রখ্যাত ছাত্র নেতা হীরেণ দাশগুপ্ত এই কেন্দ্রের নির্বাচনের কাজ দেখাশুনার জন্য আসেন। 
পতিরামে শুরু থেকেই কৃষকসভার লড়াই শুরু হয়। এখানকার হাট ও মেলার মালিক ছিল ঠাকুর এস্টেট। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরদের শরিক। তারা হাটে অন্যায়ভাবে তোলা আদায় করতো, মেলায় তার সঙ্গে গবাদি পশু বিক্রি ও কেনার লেখাই খরচ ছিল অস্বাভাবিক। দিনাজপুর শহর থেকে অজিত রায়কে এখানে পাঠানো হয় আন্দোলন সংগঠিত করতে। তিনি বোচাগঞ্জ বা সেতাবগঞ্জের মেলার আন্দোলনেরও দায়িত্বে ছিলেন। পতিরাম মেলায় কালী সরকার ও রূপনারায়ণ রায় এক হাজার ভলান্টিয়ারের মিছিল নিয়ে আসেন। পতিরাম থেকে ফুলবাড়ি ১২ মাইল পথ। 


মেলা কর্তৃপক্ষ দাবি না মানায় মেলা ভেঙে, পাশের জমিদার গোবিন্দ ঘোষের জমিতে আনার ঘোষণা দিলে, মেলা কর্তৃপক্ষ নতিস্বীকার করে। কৃষকসভার ক্যাম্পে এসে, লেখাই খরচ অর্ধেক ও তোলা আদায় স্থায়ীভাবে বন্ধের দাবি মেনে নিয়ে চুক্তি পত্র করতে বাধ্য হয়। এটা ১৯৩৯-৪০ সালের কথা। 
১৯৪২ সালের প্রথম দিকে মাথায় হুলিয়া নিয়ে কুড়িগ্রাম থেকে ছাত্র নেতা জীবন দে আসেন পতিরাম পার্টির কেন্দ্রে। তিনি খাঁপুরের চিয়ারসাই শেখকে নিয়ে বালুরঘাটে এস ডি ও’র কাছে গিয়ে, জমিদারের দ্বারা উচ্ছেদ নোটিস প্রাপ্ত খাঁপুর ও তার আশেপাশের দেড় হাজার কৃষককে উচ্ছেদ থেকে বাঁচাতে সক্ষম হন। আর এতদ্‌এলাকা থেকে পায়ে হাঁটা একটা মিছিল ৯ আগস্ট তাঁরা নিয়ে যান রায়গঞ্জে। পরদিন রায়গঞ্জ স্নেহলতা ইনস্টিটিউটের সামনে একটা জনসভা করেন। যার মূল বক্তব্য- ৯ আগস্ট যে সমস্ত জাতীয় নেতাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে– তাঁদের ছেড়ে দিতে হবে। 
এই ঘটনার কয়েকদিন আগে কমিউনিস্ট পার্টি থেকে ব্যান উঠে গিয়েছে। রায়গঞ্জের ঐ মিছিলের পরে পতিরামে একটি বড় সমাবেশ হয়। তাতে রংপুরের কমিউনিস্ট নেতা দীনেশ লাহিড়ী বক্তব্য রাখেন। ঐ সভার জন্য দু’গোরুর গাড়ি চাল ও তরিতরকারি সংগ্রহ হয়েছিল।
এই পতিরামে তেভাগার প্রত্যক্ষ রণপর্বে, ১৯৪৭ সালের ১৪ মতান্তরে ১৭ ফেব্রুয়ারি,  লক্ষ্মী চক্রবর্তী ও সুধীর ঘোষের খইলান ভেঙে আধিয়াররা ধানের আঁটি নিজ নিজ বাড়িতে নিয়ে যান। কয়েকজন নেতাকে পুলিশ হন্যে হয়ে খোঁজে গ্রেপ্তার করার জন্য। কিন্তু নারী নেতৃত্বের বুদ্ধি কৌশলে তারা ব্যর্থ হয়। 
খাঁপুর— খাঁপুরের কৃষক সংগঠন ও আন্দোলনগুলি পরিচালিত হতো পতিরাম কেন্দ্রের দ্বারা। 
খাঁপুরে নীলমাধব সরকার এবং বর্মণ পাড়ার ও কোল পাড়ার কয়েকজন প্রথমে নেতৃত্বে এসেছিলেন। কালী সরকার তাঁর বাসস্থান এলাকার পাশের সুজাপুর থেকে গোপেশ ডাক্তার নামে একজনকে নিয়োগ করেন। তিনি চিকিৎসার সঙ্গে সঙ্গে মূলত কমিউনিস্ট পার্টির তথা কৃষকসভার কাজ করতেন। এখানে বলার নীলমাধব সরকারের স্ত্রী নারীনেত্রী যশোদা রানি খাঁপুরের প্রথম শহীদ।  
চিয়ারসাই শেখ ছিলেন, জমিদার অসিতমোহন সিংহ রায়ের কাছে ১০০ বিঘা জমি পত্তনি নেওয়া জোতদার, বুদ্ধেশ্বর মহন্তের বাড়ির ‘খামারু”। মানে মূল ও স্থায়ী কৃষি মজুর। তখন বর্ষার দিনে রাস্তা চলা দায়। তিনি তাঁর শক্ত কাঁধে বুদ্ধেশ্বরবাবুর দুই পুত্র হরেন্দ্র ও মণীন্দ্রকে নিয়ে প্রাইমারি স্কুলে পৌঁছিয়ে দিয়ে আসতেন ও আবার বাড়িতে নিয়ে আসতেন। 
বলশালী এই যুবকটি কালে দিনে এই এলাকার কৃষক নেতায় পরিণত হন। তাঁকে সঙ্গে নিয়ে জীবন দে কী করে উচ্ছেদ নোটিসকে রদ করেছিলেন, তা আমরা দেখেছি। ১৯৪২ সালে ব্রিটিশরাজ ও জমিদারদের জোগসাজশে মহামন্বন্তরের সূচনা হয়। জমিদার অসিত মোহন সিংহরায়, হাজার হাজার মন চাল, হাজার খানেক গোরুর গাড়িতে করে, কয়েক মাইল দূরের ত্রিমোহিনী-বিনসিরার লাহাদের গুদামে পাচার করার চক্রান্ত করেছিল রাতের অন্ধকারে। চিয়ার সাই শেখের নেতৃত্বে সেই গাড়িগুলো আটক করে, সমস্ত চাল গরিবদের মধ্যে ন্যায্যমূল্যে বিক্রি করে, পাই পয়সা পর্যন্ত জমিদারকে বুঝিয়ে দেন এখানকার কৃষক সভার কর্মীরা। 


১৯৪২ সালেই সেপ্টেম্বর মাসে বালুরঘাট সদরে এসব এলাকা থেকে ভুখ মিছিল নিয়ে যাওয়া হয়। চিয়ার সাই শেখ অন্যতম বলিষ্ঠ নেতা।
৭ ফাল্গুন তিনি জ্বরাক্রান্ত ছিলেন। কিন্তু যশোদা মা’র  কথা শোনা মাত্র তিনি বাড়ি থেকে একটা শাবল নিয়ে বেরিয়ে এসে, সেই শাবল দিয়ে পুলিশের গাড়ির চাকায় চোট দিতে থাকেন। পর পর তিনটি গুলি বিদ্ধ হলে, তাঁর জীবন দীপ নিভে যায়।     
তিন
৭ ফাল্গুন খাঁপুরের রণক্ষেত্রে তেভাগা সংগ্রামে পুলিশ ও জমিদারের গুলিতে বিদ্ধ হয়ে মৃত ১৪ জন, পরে বালুরঘাট হাসাপাতালে মৃত ৮ জন, মোট ২২ জন বীর শহীদের নাম শহীদ স্তম্ভে খোদিত আছে। আমরা অনেকে তাঁদের নাম জানি। নতুন প্রজন্মের অনেকে জানেন না। তাই তাঁদের নামগুলো লিখছি- ১। কমরেড যশোদারানি সরকার ২।কমরেড চিয়ারসাই শেখ ৩।কমরেড কৌশল্যা কামারনী ৪। কমরেড গুরুচরণ বর্মণ  ৫। কমরেড হোপন মার্ডি  ৬। কমরেড মাঝি সরেন ৭। কমরেড দুখনা কোলকামার   ৮। কমরেড পুরণা কোলকামার ৯। কমরেড ফাগুয়া কোলকামার ১০। কমরেড  ভোলানাথ কোলকামার ১১। কমরেড কৈলাশ ভুঁইমালী ১২। কমরেড থোতো হেমরম   ১৩। কমরেড ভাদু বর্মণ  ১৪। কমরেড আশু বর্মণ – শহীদ স্তম্ভে ভুলক্রমে আলু বর্মণ লেখা হয়।  ১৫। কমরেড মঙ্গল বর্মণ  ১৬। কমরেড শ্যামাচরণ বর্মণ ১৭। কমরেড নগেন বর্মণ ১৮। কমরেড ভুবন বর্মণ  ১৯। কমরেড ভবানী বর্মণ   ২০। কমরেড জ্ঞান বর্মণ  ২১। কমরেড নারায়ণ মুর্মু  ২২। কমরেড গহুনিয়া মাহাতো। 
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা কৃষকসভার সভাপতি অমিত সরকার, খাঁপুরের কৃষক নেতা নকুল বর্মণকে প্রধান সহায়ক হিসাবে সঙ্গে নিয়ে, আফাজ শেখ ও শচীন রায়ের সাহায্যে তেভাগার ৭৫ বৎসর পূর্তিতে একটা বড় কাজ নিস্পন্ন করেন। তা হলো শহীদ পরিবারের বর্তমান প্রজন্মের খবরাখবর নিয়ে একটা প্রতিবেদন প্রস্তুত করা।। নিবন্ধের আয়তন বড় হয়ে যাবার কারণে, তা অনুল্লিখিত থাকলো। 
তাঁদের মধ্যে –
ক) নারী– দু’জন – যশোদারানি ও কৌশল্যা কামারনী।।
খ) গর্ভবতী মা– একজন – কৌশল্যা কামরনী। ( এখানে উল্লেখ্য, শহীদ গুরুচরন বর্মণের স্ত্রী বিশাখা বর্মণ তখন গর্ভবতী ছিলেন)। 
গ) অবিবাহিত যুবক– ৫ জন – হপন মার্ডি, থোতো হেমরম, ভোলানাথ কোলকামার, মঙ্গল বর্মণ ও জ্ঞান মাহাতো
ঘ) শহীদদের সকলেই বালুরঘাট থানার খাঁপুর ও গুটিন গ্রামের।


তিন
তখনও চক্রান্ত ছিল। সাম্প্রদায়িকতা ভেদ বাদিতা, পরিচিতি সত্তার রাজনীতি– সবই ছিল। পুলিশের আক্রমণ-অত্যাচার ছিল। কিন্তু বৃহত্তর দিনাজপুরে এসব বিকার ও আক্রমণ, তোলাবটি থেকে তেভাগা – কোনও লড়াইকেই কাবু করতে পারেনি। দল হিসাবে কংগ্রেস, মুসলিম লিগ, জনসংঘের বিরোধিতা– চক্রান্ত এবং পরিচিতি সত্তা নিয়ে বর্গ ক্ষত্রিয় সমিতির ভেদবাদিতা, কোনও কিছুই হালে পানি পায়নি। 
আসল কথা, লড়াই করার সংগঠন, লড়াই করা ও জেতার মেজাজ সাহস ও জেদ। আর সব থেকে বড় কথা, মানুষের সঙ্গে সব সময় লগ্ন হয়ে থাকা। 
চলমান ও আগামীর আন্দোলন সংগ্রামে আমরা যদি পূর্বসূরিদের পদরেখা ধরে চলতে পারি, তবে আমরা অপ্রতিরোধ্য। জয় আমাদের হবেই। 
                   
 

 

Comments :0

Login to leave a comment