‘ট্রাম্পবিরোধী’প্রচারে জোর দিয়ে টিকে গেল লিবারাল পার্টি। প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী কনজারভেটিভ পার্টির নেতা পিয়ের পলিভেরে পরাজয় স্বীকার করে নিয়েছেন। তবে লিবারাল পার্টির সরকার স্পষ্ট গরিষ্ঠতা পাবে কিনা স্পষ্ট নয়।
মঙ্গলবার ভোট শেষ হওয়ার কিছু পর থেকেই ফলাফল আসতে থাকে। স্পষ্ট গরিষ্ঠতার জন্য কানাডার জাতীয় আইনসভাব ১৭২ আসন দরকার। সেই সীমা টপকাতে আসীন প্রধানমন্ত্রী এবং লিবারাল পার্টির নেতা মার্ক কানিকে অন্য একাধিক দলের সহায়তা নিতে হতে পারে।
কানি বিজয়ভাষণে বলেছেন, ‘‘আমেরিকার চাপের কাছে নতিস্বীকার করার প্রশ্ন নেই। কানাডার সব বাসিন্দার জন্য কাজ করবে সরকার।’’
কানি বলেছেন, ‘‘কয়েকমাস ধরে বলে চলেছি যে আমেরিকা আমাদের দেশ দখল করে নিতে নেমেছে। আমাদের সম্পদ, আমাদের জলসম্পদ সব লুট করে নিতে নেমেছে। আমেরিকার রাষ্ট্রপতি ট্রাম্প আমাদের ভেতর থেকে ভাঙতে চাইছেন যাতে আমাদে দখল করে নেওয়া সহজ হয়। আমরা তা কখনও হতে দেব না।’’
২০১৫ থেকে কানাডায় সরকার চালাচ্ছে লিবারাল পার্টি। এবার জনতার অসন্তোষ তীব্র ছিল প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর বিরুদ্ধে। জনজীবের মান নেমে যাচ্ছিল। কাজ, আয়, আবাসনের মতো চাহিদা মেটাতে ট্রুডো সরকারের ব্যর্থতায় লিবারাল পার্টির পরাজয় নিশ্চিতও মনে করা হয়েছিল। সে সময়ে বিভিন্ন সমীক্ষায় তারই পূর্বাভাস ছিল। দলের চাপেই ট্রুডোকে পদ ছাড়তে হয় জানুয়ারিতে। মার্চে কানিকে দায়িত্ব দেয় লিবারাল পার্টি।
খেলা ঘুরতে শুরু করে ডোনাল্ড ট্রাম্পের নীতিতে। কানাডাকে আমেরিকার ৫১-তম প্রদেশে পরিণত করার ঘোষণা করে ফেলেছিলেন ট্রাম্প। পাশাপাশি প্রতিবেশী এই দেশের ওপরও আমদানি শুল্কের ভারী বোঝা চাপিয়ে দেন। আমেরিকার শর্ত মেনে চলার উগ্র দক্ষিণপন্থী এই কৌশলের তীব্র প্রতিক্রিয়া হয় কানাডায়। ভোটের কয়েক সপ্তাহ আগে থেকে সমীক্ষায় দেখা যায় কনজারভেটিভ পার্টিকে পিছনে হলে সামান্য এগিয়ে থাকছে লিবারাল পার্টি। ভোটে সেই অনুমান মিলে গিয়েছে।
Canada Election
ট্রাম্পের বিরোধিতায় সুর চড়িয়ে কানাডায় ফের জয় লিবারাল পার্টির

×
Comments :0