লক্ষ্ণৌয়ের রাস্তায় আলো জ্বালান তাঁরা। কিন্তু ছয় মাস কোন অর্থ পাননি লখনৌ কর্পোরেশনের থেকে। বারবার দাবি জানিয়েও লাভ হয়নি। এবার ধর্মঘটের রাস্তায় গেলেন প্রায় ৪০০ ঠিকা কর্মী।
ঠিকাকর্মীদের এই আন্দোলনের নেতা সঞ্জয় সাহু সংবাদ প্রতিষ্ঠান নিউজ ক্লিক-কে জানিয়েছেন যন্ত্রণার কথা। তিনি বলেছেন, এমনিতেই অস্থায়ী কর্মচারী হিসেবে তাঁরা মাসিক ভাতা অত্যন্ত কম পান। বিদ্যুৎ স্তম্ভ দেখভাল করা, যেখানে প্রয়োজন আলো জ্বালানো নেভানো, আবার কোথাও বিদ্যুতের লাইনে গন্ডগোল হলে তাও দেখতে হয় তাঁদের। কিন্তু এত ঝুঁকি সত্ত্বেও ঠিক সময়ে বেতন মেলে না। এই দফায় প্রায় ৬ মাস কোন টাকায় পাননি তাঁরা।
একটি বেসরকারি সংস্থাকে বিদ্যুতের পরিকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব আউটসোর্স করেছে লক্ষ্ণৌ কর্পোরেশন। এই কর্পোরেশন কর্মীদের প্রাপ্য থেকে ভালো অংকের অর্থ বেসরকারি সংস্থাকে কমিশন বাবদ দিয়ে দেয়। বাকিটুকু ভাগ হয় ঠিকা কর্মচারীদের মধ্যে। সাহু নিউজ ক্লিক কে বলেছেন এত কম অর্থ, তাও ঠিক সময় মেলে না। আবার কোন বিপদ ঘটলে কাজের সময়ে তার জন্য কোন আর্থিক দায়ভার নেওয়ার কেউ নেই। এর আগে চিঠি দিয়ে লখনৌ কর্পোরেশনের শীর্ষ স্তরে সংকটের কথা জানানো হয়েছে। কিন্তু সমস্যায় মাথা ঘামানোর কেউ নেই ফলে আমরা ধর্মঘটে নামতে বাধ্য হয়েছি।
মাসে মাত্র ৭৫০০ থেকে ৮ হাজার টাকার বিনিময়ে এই কর্মীদের দিয়ে কাজ করানো হয়। ১১০ টি ওয়ার্ডে বিদ্যুৎ পরিকাঠামো এবং বিদ্যুৎ পরিষেবা রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে তাঁরা। কর্মীরা জানিয়েছেন ভিভিআইপি-রা শহরে এলে তাঁদেরই ২৪ ঘন্টা কাজে থাকতে হয় টানা। রবিবারেও কোন ছুটি নেই। অতিরিক্ত কাজের জন্য বাড়তি একটি পয়সাও মেলে না
Comments :0