সব অংশের সঙ্গে সরাসরি কথোপকথন চালাবেন সিপিআই(এম) রাজ্য সম্পাদক এবং পলিট ব্যুরো সদস্য মহম্মদ সেলিম। সেই মর্মে সোশাল মিডিয়ায় প্রচারও শুরু করেছে পার্টি। কর্মী এবং সমর্থকদের পাশাপাশি সব অংশের প্রশ্ন নিয়েও চলবে মতবিনিময়।
সোশাল মিডিয়ায় পরের পর্বে মতবিনিময় করবেন সিপিআই(এম) নেতৃবৃন্দ। সিপিআই(এম)’র প্রচারে ই-মেল করে প্রশ্ন পাঠানোর অনুরোধ জানানো হয়েছে।
বুধবার শেষ হয়েছে সিপিআই(এম)’র দু’দিনের রাজ্য কমিটির বৈঠক। ৫ অক্টোবর সিবিআই’র প্রধান দপ্তর সিজিও কমপ্লেক্স অভিযান করবে পার্টি। রাজ্যের নিয়োগ দুর্নীতি সহ একের পর এক বেনিয়মে কেন্দ্রীয় সংস্থার তদন্তে ঢিলেমির কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছে রাজ্য কমিটি। জনতার দরবারে তা তুলে ধরার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এদিকে বুধবারই সেলিম বলেন, ‘‘দুর্নীতির মামলায় বারেবারে ইডি-সিবিআই’র ‘মুষিক প্রসব’ রাজ্যের মানুষের প্রতি অবমাননা। আইনকে বেলাইন করার বিরুদ্ধে আগামী ৫ অক্টোবর সিবিআই’র দপ্তর সিজিও কমপ্লেক্সে অভিযান করবে সিপিআই(এম)। আমাদের লক্ষ্য স্থির, দল, রঙ না দেখে আইনকে আইনের পথে চলতে দিতে হবে, দুর্নীতির মাথাদের গ্রেপ্তার করে আইন অনুযায়ী শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।’’
কেন্দ্রের সরকার থেকে বিজেপি-কে হটানোর লক্ষ্যে তৈরি বিরোধী মঞ্চে শামিল হয়েছে তৃণমূল। সাগরদিঘি উপনির্বাচনে তৃণমূল এবং বিজেপি’র পরাজয়ের পর যদিও একেবারে উল্টো কথা বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী এবং তৃণমূল নেত্রী মমতা ব্যানার্জি। তিনি এক লড়ার ঘোষণা করেছিলেন লোকসভা ভোটে। বামপন্থী এবং কংগ্রেসকে বাইরে রাখতে তৈরি এমন দলগুলির সঙ্গে সমন্বয়ের চেষ্টা করেন। বিজেডি নেতা নবীন পট্টনায়েকের সঙ্গে বৈঠক করেন ওডিশায় গিয়ে। নবীন যদিও জানিয়েছেন তিনি বিজেপি বিরোধী মঞ্চে নেই!
সেলিম বলেছেন, ‘‘তৃণমূল আর বিজেপি এমন প্রচার করে যেন তাদের মধ্যে মুখ দেখাদেখি বন্ধ। আর যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি রাজ্যের প্রকল্প রূপায়ণের জন্য দিল্লিতে যান না, পরিকল্পনা কমিশনের বৈঠকে যান না, কিন্তু তিনিই ডিনার খেতে দিল্লি চলে গেলেন! কেমন আশ্রয় ও প্রশ্রয় সেখান থেকে পেলেন যে নিশ্চিন্তে বিদেশ সফরে চলে গেলেন!’’
পরিস্থিতির কারণেই নানা প্রশ্ন রয়েছে। বাড়ি বাড়ি ঘরে জনতার সব অংশের সঙ্গে প্রচারে জোর দেওয়ার কথা জানিয়েছে সিপিআই(এম)। সেই সঙ্গে নেতৃবৃন্দের সঙ্গে কথোপকথন পর্বও চালু হচ্ছে সোশাল মিডিয়াকে ব্যবহার করে।
Comments :0