হরিপদ রায়- দিনহাটা
মানুষ ঐক্যবদ্ধ হচ্ছেন, জোট বাঁধছেন। মানুষই চোরেদের তাড়াবেন, লুটেরাদের তাড়াবেন। লুটেরাদের হাত থেকে পঞ্চায়েত ফেরত নেবেন। বামপন্থীরা সেই লক্ষ্যেই লড়াই চালাচ্ছে যাতে লুটেরাদের হটিয়ে মানুষের হাতে ফেরানো যায় পঞ্চায়েত।
শুক্রবার দিনহাটায় সংবাদমাধ্যমে এই লক্ষ্য জানিয়েছেন সিপিআই(এম) রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। এদিন এখানে সিপিআই(এম)’র কর্মীসভায় বক্তব্য রেখেছেন তিনি। বক্তব্য রাখেন সিপিআই(এম) রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলী সদস্য জীবেশ সরকারও।
এদিন দিনহাটা নৃপেন্দ্র নারায়ণ স্মৃতি সদনে হয় কর্মীসভা। এরপর দিনহাটা শহরে একটি বিশাল মিছিল বের হয়। সেই মিছিলে হাঁটেন পার্টি রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম, জীবেশ সরকার, জেলা সম্পাদক অনন্ত রায়, তারাপদ বর্মন প্রমুখ।
কর্মীসভায় জীবেশ সরকার বলেন, পঞ্চায়েত দখলে রাখতে নিজেদের মধ্যে খুনোখুনি করছে তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু কেন? কারণ পঞ্চায়েত দখলে রাখতে পারলে সিন্ডিকেটের দখল থাকবে, লুট করতে পারবে। বামপন্থীদের মনোভাব ঠিক উলটো। গ্রামের মানুষ গ্রামের সরকার চালাবে। তাই মানুষের হাতে থাকবে পঞ্চায়েত।’’
সেলিম বলেন, ‘‘আরএসএস পশ্চিমবঙ্গে তাদের প্রসারে তৈরি করেছে তৃণমূলকে। আরএসএস’র বরাত নিয়েই চলছে তৃণমূল। আর চলছে দুর্নীতি।’’ সেলিম বলেন, ‘‘কেবল তৃণমূলের নেতা না, পুলিশ এবং প্রশাসনের একটি অংশের যোগেই তৈরি হয়েছে দুর্নীতিতন্ত্র। বীরভূমে অনুব্রত মণ্ডলকে ঘিরে দেখা গিয়েছে পাথর খাদান, কয়লা খাদান, গোরু পাচারের মতো একের পর এক কাণ্ডে গোটা দুর্নীতিতন্ত্র সক্রিয়। আর কালীঘাটে জমা হচ্ছে দুর্নীতির কোটি কোটি টাকা।’’
সেলিম মনে করিয়েছেন যে মানুষের ঐক্যকে ভেঙে দিতে চেষ্টা করে আরএসএস-বিজেপি’র সাম্প্রদায়িক বিভাজনের রাজনীতি। তৃণমূলের মতো দুর্নীতিগ্রস্ত, নীতিহীন শক্তি প্রতিরোধ করতে পারে না। প্রতিরোধ করতে চায়ও না। এর আগে, রামনবমী ঘিরে অশান্তির ঘটনাতেও সিপিআই(এম) সরব হয়েছে তৃণমূল নেতৃত্বাধীন রাজ্য প্রশাসনের এমন মদতের ভূমিকায়। সিপিআই(এম) বলেছে, মানুষ যখন জোট গড়ে অধিকার চাইছেন মজুরির, আবাসের। মানুষ যখন জোট গড়েছেন দুর্নীতি-দুষ্কৃতী জোটের বিপক্ষে। তখনই বিভাজনে নেমেছে বিজেপি এবং তৃণমূল, দুই শক্তিই। পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রস্তুতিতে দুই শক্তিকেই প্রতিরোধের আহ্বান এদিন দিনহাটায় জানিয়েছেন সিপিআই(এম) নেতৃবৃন্দ।
Comments :0